সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন ???? (০৩-০২-২০০৮ ২৩:৩০)

টপিকঃ অবিশ্রান্ত স্মৃতির মিছিল

রংধনু দেখতে হলে বৃষ্টিকেও হাসিমুখে বরণ করতে হয়। বৃষ্টি নিজেই তখন রূপান্তরিত হয় আনন্দের উৎসে।

রুমন'এর ওয়েবসাইট

লেখাটি by 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত

Re: অবিশ্রান্ত স্মৃতির মিছিল

হঠাৎ করে মনে হল আমি যদি আপনার মত এইরকম নষ্টালজিয়ার অনুভূতি ব্যাক্ত করতে পারতাম। কিন্তু হায়, সব ক্ষমতা তো আর সবার থাকে না। খুব ভাল লাগল আপনার লেখা পড়ে। ধন্যবাদ এরকম হৃদয় ছোয়া লেখা দেবার জন্য।

সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন মুশাফ (০৫-০২-২০০৮ ০৩:৪৭)

Re: অবিশ্রান্ত স্মৃতির মিছিল

পুরো লেখাটা পড়ে আমি প্রায় ভাষাহীন হয়ে গেছি মুগদ্ধতায়। কি চমৎকারভাবে প্রতিটা ঘটনা বর্ণনা করেছেন। খুবই ভাল লাগল পড়ে।

Re: অবিশ্রান্ত স্মৃতির মিছিল

সত্যিই স্মরনীয়....
সময় হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু....নাকি বন্ধু!!!

কেমন জানি সব!!

Re: অবিশ্রান্ত স্মৃতির মিছিল

সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

রংধনু দেখতে হলে বৃষ্টিকেও হাসিমুখে বরণ করতে হয়। বৃষ্টি নিজেই তখন রূপান্তরিত হয় আনন্দের উৎসে।

রুমন'এর ওয়েবসাইট

লেখাটি by 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত

Re: অবিশ্রান্ত স্মৃতির মিছিল

কি চমৎকার সাবলীল লেখা! রুমন ভাই, হৃদয় ছুয়েঁ গেল।
আর ছবি কই? শুধু একটা দিয়ে হবে না। আরো ছবি চাই।

তোমাকে ভালবাসি, তোমারই চরণে ঠাঁই,
মা,
তোমার ভালবাসার কোন তুলনা নাই।

Re: অবিশ্রান্ত স্মৃতির মিছিল

রংধনু দেখতে হলে বৃষ্টিকেও হাসিমুখে বরণ করতে হয়। বৃষ্টি নিজেই তখন রূপান্তরিত হয় আনন্দের উৎসে।

রুমন'এর ওয়েবসাইট

লেখাটি by 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত

Re: অবিশ্রান্ত স্মৃতির মিছিল

আগের মতই বলবো
"কেনো যে এমন লিখতে পারি না !!!"

Re: অবিশ্রান্ত স্মৃতির মিছিল

বুঝতে পারছি আবেগ উছলে পড়ছিলো লেখার সময় .... চমৎকার প্রকাশভঙ্গি। আমি এখনও ঘরের কাছের বুয়েটে গেলে নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হই.. আর আপনার তো .... ।

শামীম'এর ওয়েবসাইট

লেখাটি CC by-nc-sa 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত

১০ সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন রুমন (০৫-০২-২০০৮ ০৯:৪৫)

Re: অবিশ্রান্ত স্মৃতির মিছিল

রংধনু দেখতে হলে বৃষ্টিকেও হাসিমুখে বরণ করতে হয়। বৃষ্টি নিজেই তখন রূপান্তরিত হয় আনন্দের উৎসে।

রুমন'এর ওয়েবসাইট

লেখাটি by 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত

১১ সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন শিপলু (০৫-০২-২০০৮ ১৫:৩৮)

Re: অবিশ্রান্ত স্মৃতির মিছিল

শিরোনাম দেখে ভাবলাম কবিতা। তাই খুলতে এত দেরি।;q

শেষ ছবিটায় যা দেখলাম।
গাছগুলো অনেক বড় হয়েছে।

আমাদের ব্যাচের সবার চাইতে সিলেটে আমি ১ মাস বেশি থেকেছি। চাকরীর জন্য। ঐ একমাস শুধু আপন মনে কাজই করেছি। আর কিছু নয়।
শেষ কদিন মন খুব খারাপ থাকত। বিভিন্ন ঘটনার কথা মনে পড়ত আর ভাবতাম এগুলো আর হবে না। গল্ফ ক্লাবে যেতাম সবাই বিকেল বেলা আড্ডা মারতে। সেখানেও গিয়েছিলাম। ক্যাম্পাসে গেলাম। পুরো ফাকা লেগেছিল। কেউ নেই। একটা খা খা ভাব।
তল্পি-তল্পা সহ যখন শেষবারের জন্য বাসে উঠলাম, তখন মন খারাপের চুড়ান্ত। পুরো রাস্তাই ইউনিভার্সিটি লাইফের কথা ভেবেছি।

আমি যেমন নস্টালজিক তাতে এখনি বুঝতে পারি পরবর্তিকালে সিলেটে গেলে কেমন লাগবে।

আমরা হয়তো কনভোকেশনে যাব আরও ১০ বছর পর।
দুর্ভাগ্যবসত এই কনভোকেশনটা পেলাম না।

শিপলু'এর ওয়েবসাইট

লেখাটি GPL v3 এর অধীনে প্রকাশিত

১২

Re: অবিশ্রান্ত স্মৃতির মিছিল

শিপলু
১০ বছর পরে পেলেই হয়তো ভালো হবে।
আমার কাছে লেগেছে দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে যেন ভার্সিটি ফিরে যাচ্ছি। এবং এর ২ দিন পর সারা জীবনের জন্য একটা অধ্যায় শেষ করে অনেক কিছু ফেলে রেখে - হয়তো জীবনের সবচেয়ে আনন্দদায়ক, সবচেয়ে পীড়াদায়ক, সবচেয়ে উজ্জ্বল, সবচেয়ে ম্লান কিছুকে ফেলে রেখে কোথায় যেন ফিরে আসছি।
কিছু কিছু কথা বাংলায় অমন করে হয়তো বলা যায় না ----
আজকে এই সুযোগে বলে ফেলি ---
Thank you for being there at the time I was.

১৩

Re: অবিশ্রান্ত স্মৃতির মিছিল

রংধনু দেখতে হলে বৃষ্টিকেও হাসিমুখে বরণ করতে হয়। বৃষ্টি নিজেই তখন রূপান্তরিত হয় আনন্দের উৎসে।

রুমন'এর ওয়েবসাইট

লেখাটি by 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত

১৪

Re: অবিশ্রান্ত স্মৃতির মিছিল

শিপলু'এর ওয়েবসাইট

লেখাটি GPL v3 এর অধীনে প্রকাশিত

১৫ সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন র'মুস্তাফিজ (০৭-০২-২০০৮ ১২:১৩)

Re: অবিশ্রান্ত স্মৃতির মিছিল

চমৎকার একটি লেখা।পুরনো সব স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়।
কিন্তু আমি ভুলে থাকতে চাই সব।
তাইতো এই "ভবঘুরে ছন্দ"  ............

স্মৃতি বড় স্পর্শ কাতর,
কস্ট বাড়ায় বুকের ভিতর।
তাইতো সদাই থাকি ভুলে,
আবেগগুলো সব শিকেয় তুলে।

............................................................

১৬

Re: অবিশ্রান্ত স্মৃতির মিছিল

আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়টা কাটিয়েছি এই ক্যাম্পাসে! যখন প্রথম ক্যাম্পাসে যাই, ১৯৯৬, এত সবুজ ছিল না। আক্ষরিক অর্থেই মরুভুমি ছিল। কোন গাছই টিকতে পারত না। চারিদিকে ছিল মরে যাওয়া গাছ। দীর্ঘ ছ'বছরের উচ্ছল সময়টা কাটিয়েছিলাম এখানে। কত কিছু যে করেছি, যখন যেটা মনে হয়েছে। আবৃত্তি ওয়ার্কশপ, রিম মিউজিক্যাল ক্লাবে অডিশন কত ধরণের পাগলামি! থিয়েটার সাস্ট যখন তৈরি করলাম আমরা বন্ধুরা মিলে। আমার ধারণাই ছিল না, এটা এত ভালো একটা সংগঠন হয়ে যাবে। তুপা (ক্লাসমেট, জার্মানী আছে এখন) আমাকে জোর করেই নামাল অভিনয় করতে। দু'টো নাটকে ছোট্ট দু'টো চরিত্র রূপায়ন করলাম ('মড়া'তে কিশোর, 'অতঃপর হরেণ মণ্ডল'-এ হরেণ মণ্ডল)। মোটামুটি উতরে গিয়েছিলাম। মাস্টার্সের শেষ বর্ষে প্রেমে পড়ে গেলাম। এটা যে কোত্থেকে পড়ল আমার উপর, বুঝতেই পারিনি। মাস্টার্সের শেষ বছরটা কাটল দু'বছরে (সেশন জ্যামের কল্যাণে)। এই দু'টো বছর সবচেয়ে রোমান্টিক সময় কাটে আমার। প্রায় সারদিন একসাথে থাকতাম আমরা দু'জন। প্রচুর স্মৃতি ওই ক্যাম্পাসে। ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে আসার পরও প্রায়ই যেতাম ঢাকা থেকে। খুবই ভালো লাগত।

কিন্তু এখন একটু পরিবর্তন হয়ে গেছে। ক্যাম্পাসে আর যেতে ইচ্ছে করে না আমার। বাহ্যিক রূপটা এখন খুব সুন্দর হলেও ভেতরে খুবই কুৎসিত। শিক্ষক-ছাত্র রাজনীতির কুৎসিত রূপ দেখেছি, ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে আসার পর। এবার যখন বাড়ি ঘুরে এলাম, একবারও যেতে ইচ্ছে করেনি ক্যাম্পাসে। এতে আমি নিজেও খুব অবাক হয়েছি। এই ক্যাম্পাস আমার পর হয়ে যাবে, এটা কখনও ভাবতেও পারিনি।

এই সমাবর্তনে যোগদানের জন্যই আমি গিয়েছিলাম দেশে। অথচ আমি সবকিছু ঠিকঠাক করে ফেলার পর জানলাম, সমাবর্তন পিছিয়েছে এক মাস। মাত্র ৩০ দিনের জন্য থাকতে পারলাম না অনুষ্ঠানটাতে। কত মজাই না হত। বউয়ের সাথে সার্টিফিকেট নিয়ে ঘুরতাম। পুরনো বন্ধুদের (ক্লাসমেট, সিনিয়র, জুনিয়র) সাথে দেখা হত। জম্পেশ একটা আড্ডা দিতাম। বউয়ের ছবিগুলো দেখে খুব মন খারাপ হয়েছিল। কী সুন্দর গাউন আর টুপি মাথায় দিয়ে বন্ধুদের সাথে ছবি তুলেছে। আমারও থাকার ইচ্ছে ছিল সেখানে। কপালে নাই তো কী আর করা sad

এখন আরও কাটা ঘাঁয়ে নুনের ছিটা দিল রুমন। দারুণ লিখেছ। আমারও হয়তো এরকম বা আরও সুন্দর কিছু স্মৃতি হত থাকতে পারলে। কপাল!!!

১৭

Re: অবিশ্রান্ত স্মৃতির মিছিল

চমৎকার লিখেছেন। আমি কয়েকদিন ফোরমে অনুপস্থি্ত ছিলাম। তাই  অসাধারণ এই  টুকরো স্ম্বৃতি-কথাটি চোখ এঁড়িয়ে গিয়েছিল। এত সাবলীল  আবেগে লিখেছেন মনে হয়েছে যেন আমি নিজেই ছিলাম ঐ স্থানগুলিতে! আমি নিজেও ভয়ানক স্মৃতিকাতর। তবে বাস্তবতা হলো, প্রায়শ: বিরাট ধাক্কা খেয়েছি পুরোনো জায়গাগুলোতে স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে। আসলে নস্টালজিয়ায় সুখ-বেদনার স্ম্বতিগুলোতে কখন যে বাড়তি কিছু কল্পনা জুড়ে দেই-খেয়ালই করি না। তবুও পুরোনো দিনের গভীর গোপন সুখের নিবিড় পদ্ম-পুকুরে আনমনে ডুব দিতে ভালই লাগে। আপনার লেখাটি গভীর নাড়া দিয়েছে আমাকে। ফেলে আসা শিক্ষাজীবনের আনাচে কানাচে কখন যে অনায়াস পৌঁছে গেছি.....বলতেই পারি না। ধন্যবাদ আপনাকে। এরকম আবেগমন্ডিত লেখা আরও চাই।

উদাসীন'এর ওয়েবসাইট

লেখাটি CC by-nc 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত

১৮

Re: অবিশ্রান্ত স্মৃতির মিছিল

ধন্যবাদ রূপম ভাই, নাসিম ভাই এবং উদাসীনকে বিচ্ছিন্ন অনুভূতিগুলো পড়বার জন্যে।

রংধনু দেখতে হলে বৃষ্টিকেও হাসিমুখে বরণ করতে হয়। বৃষ্টি নিজেই তখন রূপান্তরিত হয় আনন্দের উৎসে।

রুমন'এর ওয়েবসাইট

লেখাটি by 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত

১৯

Re: অবিশ্রান্ত স্মৃতির মিছিল

হুমম:-?
ইস আমি আর ১ বছর পরেই আপনাদের সাথে কান্না করতে পারব)+D

২০

Re: অবিশ্রান্ত স্মৃতির মিছিল

রংধনু দেখতে হলে বৃষ্টিকেও হাসিমুখে বরণ করতে হয়। বৃষ্টি নিজেই তখন রূপান্তরিত হয় আনন্দের উৎসে।

রুমন'এর ওয়েবসাইট

লেখাটি by 3.0 এর অধীনে প্রকাশিত