টপিকঃ ৩-০ ছাড়া আর কিছুই ভাবছে না বাংলাদেশ
বাংলাদেশের অপ্রত্যাশিত সাফল্যের পর এখন ভীষণ প্রত্যাশিত স্কোরলাইন, ৩-০। এবং সেটা সোমবার থেকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্বাগতিকদের তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের। যদিও জিম্বাবুয়ের এই দলটার কাছে হেরে গ্রামীণফোন ট্রাইনেশন কাপের ফাইনালেই ওঠার কথা ছিল না তাদের। সেখান থেকে শিরোপা ছুঁতে ছুঁতেও না ছোঁয়া পর্যন্ত চলে যাওয়া নতুন আরেকটা সিরিজে পা হড়কানোর ভয়ও আর দেখাচ্ছে না। এজন্য প্রত্যাশার কথা বলতে গিয়ে গলা কেঁপে ওঠেনি মোহাম্মদ আশরাফুলেরও, "আমরা সবাই ধরে নিচ্ছি, এই সিরিজের ফল ৩-০ হবে।"
কিন্তু ধরে নিলেই তো আর সব হয়ে যায় না। ত্রিদেশীয় সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচেও বাংলাদেশের জয়ই ধরে রাখা হয়েছিল। অথচ ২০৫ রান তাড়া করতে নামা স্বাগতিকরা দেখেছিল ৩৮ রানে হারের মুখ। ওই হারের পর বাংলাদেশ অধিনায়কের দেখানো অনেক কারণের একটা ছিল এরকম, "সবাই ধরে রেখেছিল আমরা জিতবো। এই প্রত্যাশার চাপও আমাদের বাজে পারফরম্যান্সে কিছুটা ভূমিকা রেখেছে।" তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজেও একইরকম প্রত্যাশাই থাকছে। এবারো কী তাহলে চাপে নুয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকছে?
আশরাফুলের জবাব, আশঙ্কা নেই। আর না থাকার কারণ জানার আগে কোচ জেমি সিডন্সের কথাই শুনে নেওয়া যাক। যিনি জিম্বাবুয়ের কাছে ওই হারের অন্য ব্যাখ্যাও খুঁজে পেয়েছেন, "জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আমরা খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ওভাবে হোঁচট খেলাম। আমার ধারণা টেস্ট ক্রিকেট খেলার পর ওই মুহূর্তে ওয়ানডে খেলার জন্য আমাদের প্রস্তুতি যথাযথ ছিল না। ওই ম্যাচে ওয়ানডে ক্রিকেটের তালের সঙ্গে তাল মেলাতে আমরা তাই হিমশিম খেয়েছি। দ্রুতই অবশ্য আমরা ওয়ানডের মেজাজটা ধরে ফেলেছিলাম।" কোচের সঙ্গে পুরো একমত হয়ে গেলেন তার অধিনায়কও, "কোচ যেটা বললেন, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ম্যাচের আগে আমরা বেশ কিছুদিন ওয়ানডে খেলিনি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দুটো টেস্ট খেলার পর ওয়ানডে খেলতে নেমে একটু সমস্যাই হয়েছিল তাই। আমরা ঠিকমতো চেজ করতে পারিনি।"................................