টপিকঃ =বসন্ত বেলা=
০১।
বসন্ত মানেই সুখ শিহরণ মনের তারে। বসন্ত মানেই হইচই সুর কলরব, চারিদিকে সুরসুরাসুর। অন্য রকম ভালো লাগা এই ফাগুন জুড়ে। বাইরে বের হলেই মিষ্টি হাওয়া গায়ে এসে লাগে, কী যে ভালো লাগে।
পথে ঘাটে, অফিস আদালতে সব জায়গাতেই রঙবাহারী ফুল ফুটে থাকে। কখনো হাওয়ায় ভেসে আসে বসন্ত ঘ্রাণ। ঝরা পাতাগুলো পড়ে থাকে গাছের তলায়। পাতাগুলো রঙ হলুদ কমলা সবুজ।
০২। জলে ভেজা রক্তজবা, হাত বাড়িয়ে নিয়ো
এই বসন্তে ভালোবেসো আমায় তুমি প্রিয়।
০৩। রংবাহারী গাঁদার বালা চাই, যদি তোমার মনে আসে ফাগুন
দিয়ো হাতের বালা গলার মালা, পাশে বসে গেয়ো প্রেমের সুর গুনগুন।
০৪। বাসন্তি রঙ গোলাপে রেখে দিলাম মন
একটু ছুঁয়ে দিয়ো, দেখো তাকিয়ে গোলাপী আভা...
সুখ রোদ্দুরে ভরে যাবে তোমার আমার মন উঠোন।
০৫। একেকটি পাপড়িতে লিখে রাখবো প্রেম কাব্য, পড়ে নিয়ো
ছিঁড়ো না সে ফুল..... মনে বসন্ত নিয়ে এসো ভালোবেসো সময় প্রিয়।
= মনে আনো বসন্ত রঙ=
ফড়িংয়ের ডানায় মন রেখেছি,
তুমি তোমার মন রাখো প্রজাপতির ডানায়।
এখানে বসন্তের কোকিল নেই, নেই কুহুতান
তাই বলে কি মন শহরে প্রেম উঠবে না ডেকে!
এখানে কাকের কা কা কর্কশ সুরে প্রেম খুঁজি
তুমি মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না, শান্ত হও,
মনের ভিতর পলাশ ফুটাও কিংবা সাদা বেলী
প্রেম আনো মনে সুজন, গুনগুনিয়ে কহ কুজন,
ভালবাসারা হারিয়ে যায় না,
কেবল মন ছুঁয়ে দিতে হয়।
ফাগুনের হাওয়ার কোলে তোমার মন রাখো
হাওয়ার ঝাপটায় আমি ভাসতে থাকি।
এখানে হাম্বরের আঘাতের শব্দে প্রেম ওড়ে যায়
উঁচু ইমারতের বুকে শুয়ে থাকে প্রেম আকাশ...
এখানে শরত আসে না,
আকাশ ঢাকা পড়ে যায় বিষ ধূয়ায়...
যন্ত্রগুলো সাঁই সাঁই করে দাপিয়ে বেড়ায় শহরের বুকে
তাতে কি প্রেম মরে যাবে অবেলায়
না এ হয় না...
তুমি ক্লান্ত হয়ো না, গলে পড়ো না অবষাদে
কিংবা অতৃপ্তিতে দীর্ঘশ্বাসের ঢেঁকুর তুলোনা....
মনে তোমার একটি বসন্ত দিনের বীজ বপন করো
ফুটুক ভালবাসার কৃষ্ণচুড়া কিংবা একটি প্রেম গোলাপ।
সব মরে যাক, ধুলায় মিশে যাক....
কাকে'রা গলা উঁচিয়ে ডাকুক বেসুরা সুরে
যন্ত্রগুলো পিষে মারুক সময়...
ধূয়ায় ছেঁয়ে যাক নীল আকাশটা....
তুমি কেবল তোমার মনের প্রেম মরতে দিয়ো না,
মরে গেলে প্রেম মনের, কিইবা থাকে বল আপন হয়ে
তার চে তুমি তোমার মন প্রজাপতির ডানায় তুলে দাও
আমি বসন্ত দিন মন নিয়ে এখানে ঠাঁয় বসে আছি।
০৬। দুটো ডালে তুমি আমি, এসো ফুল হয়ে ফুটি,
এই বসন্তে ঘুরি ফিরি, ব্যস্ততাকে আর কাজকে দিয়ে ছুটি।
০৭। কাঁটামুকুটের মত করে একটা নাকফুল গড়ে দিয়ো, চাই নাকফুল হেম
কড়ি না থাকলে বুকপকেটে দিয়ো বন্ধু প্রেম।
০৮। ভালোবাসার রঙ লাল
তুমি তাতেই মিলাতে পারো না তাল,
লালকে ভাবো বাসন্তি, বন্ধু মনে তোমার বারোমাসি ফাগুন নাকি?
এই যে নিরামিষ মানুষ তুমি, এসো ভালোবাসি সময় সময় যে আর নেই বাকি।
০৯। গাঁদার বালা, বেলির মালা,
এই ফাগুনে বাড়িয়ে দিয়ো প্রেম জ্বালা;
যদি মুখ ফিরিয়ে থাকিস শালা,
মনে মেরে তালা
তোর নামের উপর বসাবো সিলগালা।
১০। গামারী ফুল রঙের একটা শাড়ি এনো ফেরার পথে,
মনে যদি প্রেম আসে, উঠো বসন্ত হাওয়ার রথে
ফিরে এসো ত্বরা, আর এনো কাঁচের চুড়ি,
এবেলা তুমি হবে নাটাই তুমি হবে ঘুড়ি।
১১। বসন্ত ফুলে সাজিয়েছি চায়ের আসর, তুমি ব্যস্ততা ঠেলে ফিরে এসো মন নীড়ে
এই শুনো না, আমাকে না, বসন্ত হাওয়ায় ধরেছে ঘিরে
ফুরফুরে মন, কী যে হইহল্লা বুকের ভিতর, ভালোবাসার ঢেউ,
এ খবর তুমিই যেন আর যেন না জানে কেউ।
১২। লাল বাসন্তিতে সেজে বসে আছি, অপেক্ষা এক সমুদ্দুর
মন উঠোনে আজ উঠেছে বন্ধু সোনা রোদ্দুর
অথচ ফিরেই যদি বলো, আজ জানি কী,,
আমার সাজুগুজুর মূল্য রইবে না এক সিকি।
১৩। ক্লান্তি ঘিরে ধরলে তোমায়
যদি পড়ে যাও ব্যস্ততার কোমায়,
ফিরে এসো, রঙিন চায়ে ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলো
বারান্দায় বসলেই সুখে তোমার মন হবে এলোমেলো।
বসন্ত দিনে ঘুরতে নিয়ে যেয়ো
বলো, কানে কানে ভালোবাসি প্রিয়।
১৪। গোলাপ দিতে বললেই বলো এতে আছে কাঁটা,
কান পেতে শুনো এক সমুদ্দুর কান্না বক্ষ ফাঁটা
উফ! গোলাপের ঘ্রাণে হতে চাই মাতাল
না হয় গোলাপের চারায় ভরে ফেলে মন চাতাল।
তাতে প্রেম ফুল ফুটবে, বড় হবে ভালোবাসার চারা
এই শুনো, বসন্ত হাওয়ায় মন আজ সুখে মাতোয়ারা।
১৫। ঝরা ফুলের পাপড়িতে যেন বিষাদ কাব্য আছে লিখা,
ঝরা ফুল দেখলেই জানো, মনের আনন্দ হয়ে যায় ফিকা;
তুলে দিয়ো হাতে ঝরা ফুল, আমি মনদানিতে রেখে দেব;
এই একটুকরো অবসরে একদিন আমার কথা ভেবো।
১৬। আমি সবুজ লতাপাতা, আর তুমি যেন এক নীল অপরাজিতা
বিষাদে জীবন ভরো, ভাবতে পারি না প্রাণের মিতা;
অপরাজিতা তো সাদাও আছে, আছে গোলাপী, তা হতে পারো না?
মন তোমার পাথর, প্রেমের কাছে তুমি তো একটুও হারো না।
এই মেঘ এই রোদ্দুর