টপিকঃ মসজিদ দর্শন : ০৫ : নয় গম্বুজ মসজিদ
বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলার ঠাকুর দিঘী বা খাঞ্জেলী দিঘীর পশ্চিম পাড়ে নয়গম্বুজ মসজিদটির অবস্থান। এটি বাংলাদেশের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। নয় গম্বুজ মসজিদটি ১৫ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। বর্তমানে মসজিদটি বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের অধীনে পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষিত।
মসজিদটির দৈর্ঘ্য ১৫.২৪ মিটার এবং প্রস্থ ১৫.২৪ মিটার, আর মসজিদের দেয়াল ২.৫৯ মিটার পুরু।
মসজিদের অভ্যন্তরে অষ্টভুজাকৃতির দুই সারি পাথরের পিলার দিয়ে মোট নয়টি চারকোনা খণ্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। এই নয়টি খণ্ডের উপর তিন সারিতে মসজিদের নয়টি গম্বুজ অবস্থিত। গম্বুজ গুলো পরস্পর থেকে সমান দূরত্বে অবস্থিত। এই নয়টি গম্বুজের কারণেই মসজিদের নামকরণ হয়েছে নয় গম্বুজ মসজিদ।
মসজিদের পশ্চিম দেয়ালে নির্দিষ্ট দূরত্বে তিনটি মেহরাব রয়েছে। মিহিরাবের চারপাশে ফুলের নকশার টেরাকোটা দেখা যায়। মেহরাবগুলির দেয়াল বাইরের দিকে বর্ধীত।
মসজিদটির চার কোণায় চারটি মিনার বা বুরুজ রয়েছে। মিনার বা বুরুজ খান জাহানী রীতিতে গঠিত গোলাকৃতির। এরা মসজিদটির চার কোণকে মজবুত করেছে। মিনার বা বুরুজগুলি ছাদ সমান উঁচু। ছাদের কার্নিশগুলি সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে সামান্য বাঁকানো। কার্নিশের বক্রতা ভবনটিকে একটি দৃষ্টিনন্দন অভিব্যক্তি এনে দিয়েছে।
মসজিদের ভেতরে এবং বাইরে পুরো মসজিদের গায়ে ইটের নকশা ও পোড়ামাটির কারুকাজ খচিত রয়েছে।
মসজিদে প্রবেশের জন্য সামনের অংশে একটি প্রধান ও সমদূরত্বে দুটি পার্শ্ব দরজা আছে। মাঝের প্রধান খিলানযুক্ত দরজাটি একটি আয়তাকার কাঠামোয় সন্নিবেশিত এবং পার্শ্ববর্তী দরজাগুলি অপেক্ষা বড়।
স্থানীয় জনশ্রুতি থেকে জানা যায়, খান জাহানের কোন এক কর্মকর্তা মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন এবং তার বাসগৃহও ঐ একই এলাকার ঠাকুরদিঘির পাড়ে অবস্থিত ছিল।
ছবি তোলার তারিখ : ২৪/১১/২০১৪ইং
অবস্থান : বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ।
GPS coordinates : 22°39'30.6"N 89°45'19.6"E
তথ্য সূত্র : অন্তর্জাল