টপিকঃ করোনার বিপদ থেকে আমরা এখনো মুক্ত হতে পারিনি: ডব্লিউএইচও
করোনার বিপদ থেকে আমরা এখনো মুক্ত হতে পারিনি- তবে কি ৩য় - ৪থ ঢেউ দেয়ে আসছে ?
আমাদের আচার আচরন চলা ফেরায় তা ত মনে হচ্ছে না, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সব কিছু স্বাভাবিক - কিন্তু আজ কোন শিক্ষার্থী টীকার আওতায় আসেনি - শুধু মাত্র যাদের এন আই ডি আছে সেইসব পাবলিক - শিক্ষার্থী টিকার আওতায় - কিন্তু অনেকই ২০ বছর বয়সেও এন আই ডি পায় নি - তাই "নো- টীকা" অথচ অনেক দেশে আগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের টীকা দিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আগে ! বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বেশীদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের রেকর্ড গড়লেও " কোন শিক্ষার্থীদের" টিকার আওতায় আনতে পারলেন না, এখন যদি এই শিশুরা আক্রান্ত হতে থাকে দায় কার ? নিশ্চয় যে আক্রান্ত হবে তার !!!
করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এখনো বিপদমুক্ত হওয়া যায়নি বলে সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কোভিড-১৯-বিষয়ক প্রধান মারিয়া ভ্যান কারখোভ। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার ডব্লিউএইচওর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চ্যানেলে দেওয়া সরাসরি বক্তব্যে মারিয়া এই সতর্কতার কথা বলেন।
ডব্লিউএইচওর কোভিড-১৯-বিষয়ক প্রধান বলেন, যদিও অনেকে মনে করছেন করোনা মহামারি প্রায় শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু এই মহামারির ঝুঁকি এখনো শেষ হয়ে যায়নি।
মারিয়া বলেন, ‘পরিস্থিতি এখনো অবিশ্বাস্য রকমের শক্তিশালী। একে এ জন্যই শক্তিশালী বলছি যে এই ভাইরাসের ওপর আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’
করোনাভাইরাস ও টিকা নিয়ে ভুল তথ্যের ছড়াছড়ির কারণে মানুষের মৃত্যু বাড়ছে বলেও সতর্ক করেন ডব্লিউএইচওর কোভিড-১৯ টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান মারিয়া।
মারিয়া বলেন, গত সপ্তাহে বিশ্বে ৩১ লাখ মানুষ নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গেছেন আরও ৫৪ হাজার মানুষ। জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থার কাছে এই তথ্য এসেছে। তবে প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে মারিয়া বলেন, ‘আমরা বিপদমুক্ত হতে পারিনি। মহামারি পরিস্থিতির একটি মাঝামাঝি জায়গায় আমরা অবস্থান করছি। তবে মাঝামাঝি অবস্থানের ঠিক কোন জায়গাটায় আমরা আছি, সে ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত নই। খোলাখুলিভাবে বললে, এই পরিস্থিতির অবসানের জন্য এই মুহূর্তে আমাদের কাছে যে উপায় আছে, আমরা সেগুলো ব্যবহার করছি না।’
বার্তা সংস্থা এএফপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বে কমপক্ষে ৪৮ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ডব্লিউএইচওর কোভিড-১৯-বিষয়ক প্রধান বলেন, যেসব মানুষ টিকা নেননি, এখন তাঁরাই বেশি করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা যাচ্ছেন। বিভিন্ন দেশের সরবরাহকৃত তথ্য থেকে দেখা গেছে, যাঁরা টিকা নেননি, তাঁদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও মৃত্যুহার বেশি।
করোনাভাইরাস নিয়ে ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঘুরতে থাকা ভুল ও মিথ্যা তথ্যের ছড়াছড়ি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মারিয়া। তিনি বলেন, এর কারণেও মানুষ মারা যাচ্ছে।
ডব্লিউএইচওর এই কর্মকর্তা জানান, পরবর্তী ৩ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে মহামারি কেমন আকার ধারণ করতে পারে, তা নিয়ে সংস্থার ভেতরে আলোচনা চলছে। তবে খুব তাড়াতাড়ি করোনা বিদায় নেবে বলে মনে করেন না তিনি।
মারিয়া বলেন, এখনো অসংখ্য মানুষ আছেন, যাঁরা টিকার বাইরে রয়েছেন। হয় তাঁরা টিকা পাননি, অথবা তাঁরা টিকা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। আর এ কারণে এখনো করোনার বিস্তার চলছে।
করোনাভাইরাস নির্মূলে বৈশ্বিক পদক্ষেপে ঘাটতি ছিল বলে আক্ষেপ করেন মারিয়া। তিনি বলেন, বৈশ্বিক পর্যায়ে এই ভাইরাস দূর বা নির্মূল করার সুযোগ আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। এর কারণ হলো, বৈশ্বিক পর্যায়ে এই ভাইরাস মোকাবিলায় যতটা কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যেত, তা নেওয়া হয়নি।https://www.prothomalo.com/world/europe … A%E0%A6%93