সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন মরুভূমির জলদস্যু (১৮-১১-২০২০ ১২:৪৭)

টপিকঃ রবিবাবুর চন্দ্রকণা

Re: রবিবাবুর চন্দ্রকণা

২।
ও চাঁদ, তোমায় দোলা দেবে কে!
ও চাঁদ, তোমায় দোলা--
কে দেবে কে দেবে তোমায় দোলা--
আপন আলোর স্বপন-মাঝে বিভল ভোলা॥

Re: রবিবাবুর চন্দ্রকণা

৩।
ও চাঁদ,     চোখের জলের লাগল জোয়ার দুখের পারাবারে,
হল          কানায় কানায় কানাকানি এই পারে ওই পারে॥

Re: রবিবাবুর চন্দ্রকণা

৪।
জাগি রহে চাঁদ আকাশে যখন
সারাটি রজনী!
শ্রান্ত জগত ঘুমে অচেতন
সারাটি রজনী!

Re: রবিবাবুর চন্দ্রকণা

৫।
চির-পুরানো চাঁদ,
চিরদিবস এমনি থেকো   আমার এই সাধ।।

Re: রবিবাবুর চন্দ্রকণা

৬।
হাতে তুলে দাও আকাশের চাঁদ--
এই হল তার বুলি।
দিবস রজনী যেতেছে বহিয়া,
কাঁদে সে দু হাত তুলি।

Re: রবিবাবুর চন্দ্রকণা

৭।

চাঁদ হাসো, হাসো।
হারা হৃদয় দুটি ফিরে এসেছে।
কত দুখে কত দূরে, আঁধার সাগর ঘুরে,
সোনার তরণী দুটি তীরে এসেছে।

Re: রবিবাবুর চন্দ্রকণা

৮।
"কদম গাছের ডালে
পূর্ণিমা-চাঁদ আটকা পড়ে
যখন সন্ধেকালে
তখন কি কেউ তারে
ধরে আনতে পারে।'

Re: রবিবাবুর চন্দ্রকণা

৯।
ওই তো ছোটো চাঁদ,
দুটি মুঠোয় ওরে
আনতে পারি ধরে।'

১০ সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন মরুভূমির জলদস্যু (১৫-১১-২০২০ ২৩:৪১)

Re: রবিবাবুর চন্দ্রকণা

১০।
যখন    এসেছিলে অন্ধকারে
চাঁদ ওঠে নি সিন্ধুপারে॥
হে অজানা, তোমায় তবে   জেনেছিলেম অনুভবে--
গানে তোমার পরশখানি বেজেছিল প্রাণের তারে॥
তুমি    গেলে যখন একলা চলে
চাঁদ উঠেছে রাতের কোলে।
তখন দেখি, পথের কাছে   মালা তোমার পড়ে আছে--
বুঝেছিলেম অনুমানে এ কণ্ঠহার দিলে কারে॥

১১

Re: রবিবাবুর চন্দ্রকণা

১১।
সারা জীবন দিল আলো সূর্য গ্রহ চাঁদ
          তোমার আশীর্বাদ, হে প্রভু, তোমার আশীর্বাদ ॥

১২

Re: রবিবাবুর চন্দ্রকণা

১২।
হাজার হাজার বছর কেটেছে, কেহ তো কহে নি কথা--
ভ্রমর ফিরেছে মাধবীকুঞ্জে, তরুরে ঘিরেছে লতা,
চাঁদেরে  চাহিয়া চকোরী উড়েছে, তড়িৎ খেলেছে মেঘে,
সাগর কোথায় খুঁজিয়া খুঁজিয়া তটিনী ছুটেছে বেগে।

১৩

Re: রবিবাবুর চন্দ্রকণা

১৩।
না জানি সে কবি জগতের  কোণে কোথা ছিল দিবানিশি,
লতাপাতা চাঁদ মেঘের সহিতে এক হয়ে ছিল মিশি!
ফুলের মতন ছিল সে মৌন মনের আড়ালে ঢাকা,
চাঁদের মতন চাহিতে জানিত নয়ন স্বপনমাখা।

১৪

Re: রবিবাবুর চন্দ্রকণা

১৪।
একদা ফাগুনে সন্ধ্যাসময়ে সূর্য নিতেছে ছুটি,
পূর্ব গগনে পূর্ণিমা চাঁদ করিতেছে উঠি-উঠি।

১৫

Re: রবিবাবুর চন্দ্রকণা

১৫।
এ কথা কে কবে স্বপনে জানিত, আকাশের চাঁদ চাহি
পাণ্ডুকপোল কুমুদীর চোখে সারা রাত নিদ নাহি।

১৬

Re: রবিবাবুর চন্দ্রকণা

১৬।
চকোরী ফুকারি কাঁদে, ওগো পূর্ণ চাঁদ,
পণ্ডিতের কথা শুনি গনি পরমাদ!
তুমি নাকি একদিন রবে না ত্রিদিবে,
মহাপ্রলয়ের কালে যাবে নাকি নিবে!
হায় হায় সুধাকর, হায় নিশাপতি,
তা হইলে আমাদের কী হইবে গতি!
চাঁদ কহে, পণ্ডিতের ঘরে যাও প্রিয়া,
তোমার কতটা আয়ু এসো শুধাইয়া।

১৭

Re: রবিবাবুর চন্দ্রকণা

১৭।
কৃষ্ণপক্ষে আধখানা চাঁদ
            উঠল অনেক রাতে,
  খানিক কালো খানিক আলো
            পড়ল আঙিনাতে।
  ওরে আমার নয়ন, আমার
            নয়ন নিদ্রাহারা,
  আকাশ-পানে চেয়ে চেয়ে
            কত গুনবি তারা।

১৮

Re: রবিবাবুর চন্দ্রকণা

১৮।
আজিকে এই খণ্ড চাঁদের
        ক্ষীণ আলোকের 'পরে
  ব্যাকুল হয়ে অশান্ত প্রাণ
        আঘাত করে মরে।
  কী লুকিয়ে আছে ওরে,
        কী রেখেছে ঢেকে--
  কিসের কাঁপন কিসের আভাস
        পাই যে থেকে থেকে।

১৯

Re: রবিবাবুর চন্দ্রকণা

১৯।
ওই)    ভাঙল হাসির বাঁধ।
অধীর হয়ে মাতল কেন পূর্ণিমার ওই চাঁদ॥
    উতল হাওয়া ক্ষণে ক্ষণে    মুকুল-ছাওয়া বকুলবনে 
    দোল দিয়ে যায়, পাতায় পাতায়, ঘটায় পরমাদ॥

২০

Re: রবিবাবুর চন্দ্রকণা

২০।
ঢাল! ঢাল চাঁদ! আরো আরো ঢাল!
          সুনীল আকাশে রজতধারা!
হৃদয় আজিকে উঠেছে মাতিয়া
          পরাণ হয়েছে পাগলপারা!
গাইব রে আজ হৃদয় খুলিয়া
          জাগিয়া উঠিবে নীরব রাতি!
দেখাব জগতে হৃদয় খুলিয়া
          পরাণ আজিকে উঠেছে মাতি!
হাসুক পৃথিবী, হাসুক জগৎ,
          হাসুক হাসুক চাঁদিমা তারা!