Re: রবিবাবুর চন্দ্রকণা
১৫৬।
শশী যবে নিত নয়নে নয়নে কুমুদীর ভালোবাসা
এরে দেখি হেসে ভাবিত, এ লোক জানে না চোখের ভাষা।
আপনি প্রবেশ করেন নি। দয়া করে নিবন্ধন অথবা প্রবেশ করুন
প্রজন্ম ফোরাম » সাহিত্য-সংস্কৃতি » ছড়া-কবিতা » রবিবাবুর চন্দ্রকণা
১৫৬।
শশী যবে নিত নয়নে নয়নে কুমুদীর ভালোবাসা
এরে দেখি হেসে ভাবিত, এ লোক জানে না চোখের ভাষা।
১৫৭।
ক্ষুদ্র এই তৃণদল ব্রহ্মান্ডের মাঝে
সরল মাহাত্ম্য লয়ে সহজে বিরাজে।
পূরবের নবসূর্য, নিশীথের শশী,
তৃণটি তাদেরি সাথে একাসনে বসি।
১৫৮।
রজনী একাদশী
পোহায় ধীরে ধীরে,
রঙিন মেঘমালা
উষারে বাঁধে ঘিরে।
আকাশে ক্ষীণ শশী
আড়ালে যেতে চায়,
দাঁড়ায়ে মাঝখানে
কিনারা নাহি পায়।
১৫৯।
পথিকেরা এসে তাহারে শুধায়,
"কে তুমি কাঁদিছ বসি।'
সে কেবল বলে নয়নের জলে,
"হাতে পাই নাই শশী।'
১৬০।
মুখ ফিরাইয়া সে রহে বসিয়া,
কহে সে নয়নজলে,
"তোমাদের আমি চাহি না কারেও,
শশী চাই করতলে।'
শশী যেথা ছিল সেথাই রহিল,
সেও ব'সে এক ঠাঁই।
১৬১।
বারেক ভালোবেসে যে জন মজে
দেবতাসম সেই ধন্য,
দ্বিতীয়বার পুন প্রেমে যে পড়ে
মূর্খের অগ্রগণ্য।
আমিও সে দলের মূর্খরাজ
দুবার প্রেমপাশে পড়ি;
তপন শশী তারা হাসিয়া মরে,
আমিও হাসি-- আর মরি।
১৬২।
আনন্দধারা বহিছে ভুবনে,
দিনরজনী কত অমৃতরস উথলি যায় অনন্ত গগনে ॥
পান করি রবে শশী অঞ্জলি ভরিয়া--
সদা দীপ্ত রহে অক্ষয় জ্যোতি--
নিত্য পূর্ণ ধরা জীবনে কিরণে ॥
১৬৩।
সকল সংসার দাঁড়াবে সরিয়া তুমি হৃদয়ে আসিছ দেখি--
জ্যোতির্ময় তোমার প্রকাশে শশী তপন পায় লাজ,
সকলের তুমি গর্বগঞ্জন ॥
১৬৪।
রাখিল না কিছু আর,
স্ফটিক সে নির্বিকার
আকাশের মতো--
সেথা আসে শশী রবি,
যায় চলে, তার ছবি
কোথা হয় গত।
১৬৫।
নিবিয়া বাঁচিল নিশার প্রদীপ উষার বাতাস লাগি,
রজনীর শশী গগনের কোণে লুকায় শরণ ****।
১৬৬।
প্রভাত হইল নিশি কানন ঘুরে,
বিরহ-বিধুর হিয়া মরিল ঝুরে।
ম্লান শশী অস্ত গেল ম্লান হাসি মিলাইল
কাঁদি উঠিল প্রাণ কাতর সুরে।
১৬৭।
এ-হেন কালে যেন
মায়ের পানে মেয়ে
রয়েছে শুকতারা
চাঁদের মুখে চেয়ে।
১৬৮।
ও চাঁদ যামিনীর
হাসির অবশেষ,
ও শুধু অতীতের
সুখের স্মৃতিলেশ।
[sb]চাঁদ নিয়ে ঘাটাঘাটি[/sb] করার সময় হঠাৎ মাথায় এলো রবিবাবুর কোন কোন ছড়া-কবিতা-গানে চাঁদের উপস্থিতি আছে তা খুঁজে দেখি। প্রথম ৮টি পর্বে সেগুলি দেখিয়েছি। এরপর চাঁদের সমার্থক শব্দ [sb]চন্দ্র[/sb] নিয়ে কবিতাংশ ৮ থেকে ১৫ তম পর্ব পর্যন্ত দিয়েছি। তারপর চাঁদের সমার্থক শব্দ [sb]শশী[/sb] কে উপস্থাপন করেছি ১৬ ও ১৭মত পর্বে। এবার চাঁদের আরেক নাম [sb]ইন্দু[/sb] সংক্রান্ত কবিতাংশগুলি রইলো।
১৬৯।
কোন শুভখনে উদিবে নয়নে অপরূপ রূপ-ইন্দু
চিত্তকুসুমে ভরিয়া উঠিবে মধুময় রসবিন্দু ॥
১৭০।
ঢালে কুসুম সুরভভার,
ঢালে বিহগ সুরবসার,
ঢালে ইন্দু অমৃতধার
বিমল রজত ভাতি রে।
১৭১।
হৃদয়ানন্দ পূর্ণ ইন্দু, তুমি অপার প্রেমসিন্ধু।
যাচে তৃষিত অমিয়বিন্দু, করুণালয় ভক্তবন্ধু
প্রেমনেত্রে চাহ' সেবকে,
বিকশিতদল চিত্তকমল হৃদয়দেব হে ॥
১৭২।
পশ্চিমে ডুবেছে ইন্দু, সম্মুখে উদার সিন্ধু,
শিরোপরি অনন্ত আকাশ,
লম্বমান জটাটুটে, যোগিবর করপুটে
দেখিছেন সূর্যের প্রকাশ।
১৭৩।
হে অনাদি অসীম সুনীল অকূল সিন্ধু, আমি ক্ষুদ্র অশ্রুবিন্দু
তোমার শীতল অতলে ফেলো গো গ্রাসি,
তার পরে সব নীরব শান্তিরাশি–
তার পরে শুধু বিষ্মৃতি আর ক্ষমা–
শুধাব না আর কখন্ আসিবে অমা,
কখন্ গগনে উদিবে পূর্ণ ইন্দু।।
১৭৪।
উৎসবের বাঁশরীসংগীতে। তার পরে
সুদিনে দুর্দিনে, কল্যাণকঙ্কণ করে,
সীমন্তসীমায় মঙ্গলসিন্দূরবিন্দু,
গৃহলক্ষ্মী দুঃখে সুখে, পূর্ণিমার ইন্দু
সংসারের সমুদ্রশিয়রে। দেবগণ,
১৭৫।
মাসের মধ্যে বারেক এসে
অস্তে পালায় পূর্ণ-ইন্দু,
শাস্ত্রে শাসায় জীবন শুধু
পদ্মপত্রে শিশিরবিন্দু--
প্রজন্ম ফোরাম » সাহিত্য-সংস্কৃতি » ছড়া-কবিতা » রবিবাবুর চন্দ্রকণা
০.০৫৮৯৮৪০৪১২১৩৯৮৯ সেকেন্ডে তৈরী হয়েছে, ৮৭.৮১০২৬২১৪৫৪৫৯ টি কোয়েরী চলেছে