Re: রবিবাবুর চন্দ্রকণা
৪১।
জাগ্রত আঁখির আগে কখনো বা চাঁদ জাগে
কখনো বা প্রিয়মুখ ভাসে--
আধেক উলস প্রাণ আধেক উদাস।
আপনি প্রবেশ করেন নি। দয়া করে নিবন্ধন অথবা প্রবেশ করুন
প্রজন্ম ফোরাম » সাহিত্য-সংস্কৃতি » ছড়া-কবিতা » রবিবাবুর চন্দ্রকণা
৪১।
জাগ্রত আঁখির আগে কখনো বা চাঁদ জাগে
কখনো বা প্রিয়মুখ ভাসে--
আধেক উলস প্রাণ আধেক উদাস।
৪২।
স্বপ্নাকুল আঁখি মুদি ভাবিতেছি মনে
রাজহংস ভেসে যায় অপার আকাশে
দীর্ঘ শুভ্র পাখা খুলি চন্দ্রালোক পানে তুলি--
পৃষ্ঠে আমি কোমল শয়নে,
সুখের মরণসম ঘুমঘোর আসে।
৪৩।
তীরে কুটিরের তলে স্তিমিত প্রদীপ জ্বলে,
শূন্যে চাঁদ সুধামুখচ্ছবি।
সুপ্ত জীব কোলে লয়ে জাগ্রত ধরণী।
৪৪।
মেঘেরা চলে চলে যায়, চাঁদেরে ডাকে 'আয়, আয়'।
ঘুমঘোরে বলে চাঁদ 'কোথায় কোথায়'॥
না জানি কোথা চলিয়াছে, কী জানি কী যে সেথা আছে,
আকাশের মাঝে চাঁদ চারি দিকে চায়॥
সুদূরে, অতি অতিদূরে, বুঝি রে কোন সুরপুরে
তারাগুলি ঘিরে বসে বাঁশরি বাজায়।
মেয়েরা তাই হেসে হেসে আকাশে চলে ভেসে ভেসে,
লুকিয়ে চাঁদের হাসি চুরি করে যায়॥[
৪৫।
বেঁধেছ প্রেমের পাশে ওহে প্রেমময়।
তব প্রেম লাগি দিবানিশি জাগি ব্যাকুলহৃদয় ॥
তব প্রেমে কুসুম হাসে, তব প্রেমে চাঁদ বিকাশে।
৪৬।
তপন-উদয়ে হবে মহিমার ক্ষয়
তবু প্রভাতের চাঁদ শান্তমুখে কয়,
অপেক্ষা করিয়া আছি অস্তসিন্ধুতীরে
প্রণাম করিয়া যাব উদিত রবিরে।
৪৭।
বল, গোলাপ, মোরে বল,
তুই ফুটিবি, সখী, কবে।
ফুল ফুটেছে চারি পাশ, চাঁদ হাসিছে সুধাহাস,
বায়ু ফেলিছে মৃদু শ্বাস, পাখি গাইছে মধুরবে--
তুই ফুটিবি, সখী কবে॥
৪৮।
নাম রেখেছি বাবলারানী,
একরত্তি মেয়ে।
হাসিখুশি চাঁদের আলো
মুখটি আছে ছেয়ে।
৪৯।
আকাশেতে চাঁদ দেখেছে,
দু হাত তুলে চায়,
মায়ের কোলে দুলে দুলে
ডাকে "আয় আয়'।
চাঁদের আঁখি জুড়িয়ে গেল
তার মুখেতে চেয়ে,
চাঁদ ভাবে কোত্থেকে এল
চাঁদের মতো মেয়ে।
কচি প্রাণের হাসিখানি
চাঁদের পানে ছোটে,
চাঁদের মুখের হাসি আরো
বেশি ফুঠে ওঠে।
এমন সাধের ডাক শুনে চাঁদ
কেমন করে আছে --
তারাগুলি ফেলে বুঝি
নেমে আসবে কাছে!
৫০।
চিরদিন চাঁদ বহি চলে সাথে সাথে।
কেন বাধা হল দিতে মাধুরীর কণা
হায় হায়, হে কৃপণা।
৫১।
এক যে ছিল চাঁদের কোণায়
চরকা-কাটা বুড়ী
পুরাণে তার বয়স লেখে
সাত-শ হাজার কুড়ি।
৫২।
সন্ধ্যেবেলায় আকাশ চেয়ে
কী পড়ে তার মনে।
চাঁদকে করে ডাকাডাকি,
চাঁদ হাসে আর শোনে।
৫৩।
হেনকালে মায়ের মুখে
যেমনি আঁখি তোলে
চাঁদে ফেরার পথখানি যে
তক্খনি সে ভোলে।
৫৪।
হে বিলাসী, তব ঐশ্বর্যের ভার
ক্ষুদ্র রুদ্ধদ্বারে শুধু একাকী তোমার।
নাহি পড়ে সূর্যালোক, নাহি চাহে চাঁদ,
নাহি তাহে নিখিলের নিত্য আশীর্বাদ।
৫৫।
পথে আসিতে ফিরে, আঁধার তরুশিরে
সহসা দেখি চাঁদ আকাশে আঁকা।
অশথ উঠিয়াছে প্রাচীর টুটি,
সেখানে ছুটিতাম সকালে উঠি।
৫৬।
হেথাও ওঠে চাঁদ ছাদের পারে,
প্রবেশ মাগে আলো ঘরের দ্বারে।
আমারে খুঁজিতে সে ফিরিছে দেশে দেশে,
যেন সে ভালোবেসে চাহে আমারে।
৫৭।
আজিকে চাঁদ উঠবে প্রথম রাতে
নদীর পারে নারিকেলের বনে,
দেবালয়ের বিজন আঙিনাতে
পড়বে আলো গাছের ছায়া-সনে।
জোয়ার যখন মিশিয়ে যাবে কূলে,
থমথমিয়ে আসবে যখন জল,
বাতাস যখন পড়বে ঢুলে ঢুলে,
চন্দ্র যখন নামবে অস্তাচল,
শিথিল তনু তোমার ছোঁওয়া ঘুমে
চরণতলে পড়বে লুটে তবে।
৫৮।
ফুলবাগানের বেড়া হতে
হেনার গন্ধ ভাসে,
কদমশাখার আড়াল থেকে
চাঁদটি উঠে আসে।
৫৯।
ঘাটের সিঁড়ি ভেঙে গেছে,
ফেটেছে সেই ছাদ--
রূপকথা আজ কাহার মুখে
শুনবে সাঁঝের চাঁদ।
৬০।
মলয় তব প্রণয়-আশে ভ্রমে না হেথা আকুল শ্বাসে,
পায় না চাঁদ দেখিতে তোর শরমে-মাখা মুখানি ।
প্রজন্ম ফোরাম » সাহিত্য-সংস্কৃতি » ছড়া-কবিতা » রবিবাবুর চন্দ্রকণা
০.০৬৭৬১৫০৩২১৯৬০৪৫ সেকেন্ডে তৈরী হয়েছে, ৮৬.০৯৭৭৬৫৯৯২৭০৮ টি কোয়েরী চলেছে