টপিকঃ সবুজের বুকে একদিন (একটি শর্টকাট ভ্রমণ, ঢাকা)
কী সবুজ আর প্রশস্ত পথ...... ছায়ায় হাঁটতে খুব ভালো লাগে। তবে সেদিন গরম ছিলো প্রচুর।
১।
প্রায় দু'মাস লকডাউনের পর গত আগষ্টে পরিবারের সবাই মিলে বেড়াতে গিয়েছিলাম গ্রীণ মডেল টাউন। এলাকাটা এত সুন্দর । গেলেই মন ভালো হয়ে যায়। কিন্তু সেদিন প্রচন্ড রোদ থাকায়, আনন্দের মাত্রা স্তিমিত ছিলো। বাচ্চারা নেয়ে ঘেমে একাকার। দেবরের ছোট মেয়েটা কোল থেকে নামেই নি। তবুও ভালো লেগেছিলো সময়টুকু। বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ। তাদের তো কোথাও যাওয়া হয়নি একটানা অনেকদিন।
তাই ভাবলাম একটু ঘরের বাইরে গিয়ে ঘুরে আসি। আমার কষ্ট লাগলেও বাচ্চারা বলে তাদের খুব ভালো লাগছে। গ্রীণ মডেল টাউনে একদিন হয়তো আমাদের বাড়ী হবে ইনশাআল্লাহ। এখন বাড়ী ঘর হচ্ছে , এক এক করে বাড়ছেই দিন দিন। বেশী মানুষের বসবাস নাই বলে , বাইরের মানুষের জন্য এ জায়গা খুলে রাখা হয়েছে। তাই রাস্তাঘাটে কেবল হুন্ডা আর কার। এই হুন্ডা কারের জন্য খুবই বিরক্তি লেগেছে। মাঝ রাস্তা বরাবর হাঁটতে পারিনি। হয়তো শুক্রবার ছিলো বলে। গ্রীণ মডেল টাউনে তখন কাশবন সবুজ কয়েকদিন পরেই কাশফুল ফুটবে । তখন হয়তো অন্য রকম সৌন্দর্যে ভরা ছিলো। আর যাওয়া হয়নি। যদিও আমরা সবাই বলি, কয়েকদিন পর আবার বেড়াবো কিন্তু সে আশায় গুঁড়েবালি। পরিকল্পনা মাফিক কিছুই করা যায় না। হুটহাট ভ্রমন হয় মাঝে মাঝে।
২। দুই ভাই গল্প করে আমাদের আগে হাঁটছে (তাসীন তামীম)
৩। এমন অনেক পথ আছে, আছে অলিগলি, বৃষ্টি ভেজা মৌসুমে সবুজ আর সবুজ। চোখ জুড়ানো সবুজ।
৪। রোদের উত্তাপ বুঝাতে এই ছবিটা
৫। নতুন বিল্ডিং উঠতেছে....... এমন করেই
৬। একটি একলা বাড়ীর উপর আকাশটা
৭। গোধূলী বেলা গ্রীণ মডেল টাউন।
ক্যামেরাও নিয়েছিলাম কিন্তু এত দ্রুত সবাই হাঁটছে । আমি ছবি তুলতে গেলেই ধমক। তাড়াতাড়ি করে সবাই । কেমন লাগে। তাই স্যামসাং ক্যামেরা দিয়েই হুটহাট ক্লিক। তাসীনের বাপের লাগি আমি সুন্দর মত ছবি তুলতে পারি না। কারণ ছবি তুলতে গেলে একটু থেমে ক্যামেরা পজিশনে নিয়ে ছবি উঠাতে হয়। সেদিন ক্যামেরায় একটা ছবিও ভালো আসেনি। আফসোস।
৮। ওপারে ময়লার ভাগাড়, প্রচুর পাখি থাকে এখানে, সবই কাউয়া দেখছি।
৯। দুজন প্রেমিক প্রেমিকা রোদ্দুর মাথায় নিয়েও প্রেম করে যাচ্ছে হাহাহা
১০। ছোটোবেলার রান্না বাটির খেলাঘরের টমেটো সবজি গাছ
১১। এগুলো ভরাট হয়ে যাবে। একদিন এখানে আর স্বচ্ছ জল থাকবে না।
১২। আমাদের জায়গাসহ সবার জায়গাতেই এমন সবজি লাগায় মানুষ, যে যার ইচ্ছে মত। তাই জায়গা আরও ভালো লাগে । অসাধারণ সবুজের মেলা।
১৩। একটি সবজি ক্ষেত ও একটি জ্বলন্ত আকাশ রাজা
১৪। দুই ভাই সামনে এগুচ্ছে রোদ মাথায় নিয়ে। তাদের গল্প আর ফুরায় না। আমার কলিজাগুলো তাসীন তামীম
১৫। বুনোফুল পেয়েছিলাম পথের ধারে। ছবি তুলেই দেই ভো দৌড়, গিয়ে সবার সাথে মিলিত হই হাহাহা। এত বুড়া বয়সেও দৌড়ান লাগে আমার খালি ছবি তোলার জন্য । এর জন্য তাসীনের বাপ দায়ী।
১৬। স্বচ্ছ জলের আয়না আকাশটা নুয়ে পড়েছে। এ এক অপূর্ব দৃশ্য।
১৭। একই ক্যামেরায় দু রকম ছবি আসছে
১৮। ঐ যে সূর্যটা ডুবে যাচ্ছে আমাদের রেখে সে চলে যাবে অন্য দেশে। আধারে ছেয়ে যাবে গ্রীণ মডেল টাউন।
১৯। একটি মাটির পথ, আর চারিদিকে সবুজের আস্ফালন
২০। সবুজের মাঝে একটু বসারও জো ছিলো না গরমের জন্য। উফ
২১। একটি ঝিল, নিরব বসে থাকা যায় ঘন্টার পর ঘন্টা ।
২২। একটি গোধূলী বেলা
২৩। নীল আকাশে কিছু সাদা মেঘের টুকরো
২৪। সবুজ আর সবুজ।
২৫। মডেল টাউনের কোণে পাহারা বসানো হয়েছে।
২৬। অবশেষে লাচ্ছি আর আইসক্রিম পেলাম উফ কী যে শান্তি। আমি দুইটাই খাইছি। প্রথমে লাচ্ছি তারপর আইসক্রিম। লাচ্ছি খেয়ে আইসক্রিম হাতে নিয়ে ঔই জায়গা ছেড়েছিলাম ছবি তুলতে পারিনি। এটাও তাসীনের বাপের দোষ । খালি তাড়াহুড়া অসহ্য উফ
২৭। আহা লাচ্ছি খাচ্ছি কী যে মজা পাচ্ছি
২৮। আবার পথ খুঁজে নেই নীড়ে ফেরার জন্য।......... আবারও কিছু সবুজ চোখের সম্মুখ
২৯। সূর্য ডুবে যাচ্ছে আর আমরা নীড়ে ফিরছি।
৩০। রাস্তায় এসে এটাকে পেয়েছিলাম। হাওয়াই মিঠাই
এই মেঘ এই রোদ্দুর