টপিকঃ আকাশ জোড়া মেঘ – হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনী সংক্ষেপ)
বইয়ের নাম : আকাশ জোড়া মেঘ
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট
কাহিনী সংক্ষেপ :
ফিরোজ অপালাদের বাড়িতে এসেছে তাদের ড্রইংরুমটা নতুন করে সাজিয়ে দিতে। কিন্তু সেই সময় অলাপার বাবা ফখরুদ্দিন সাহেব দেশের বাইরে ছিলেন। আর অপালার মা হেলেন আছেন লন্ডনে। তার হার্টের একটি বাল্বে সমস্যা রয়েছে, তিনি সেখানে চিকিৎসার নিচ্ছেন।
ফিরোজ কাজ শুরু করার পরে ফখরুদ্দিন সাহেব যখন জানতে পারলেন তিনি যেই লোক চেয়েছেন সেই লোক কাজ করছে না, তখন তিনি কাজ বন্ধ করিয়ে দিলেন। এর ফলে ফিরোজের চাকরিটা চলে গেলো। কিছু দিন পরে অপালা আবার ফিরোজকে ড্রইংরুম সাজানোর কাজটা দিলো। সে ড্রইংরুমটা তার মনের মতো করে সাজাল। সাজানো ড্রইংরুমটা সৌন্দর্য দেখে অপালা অভিভূত হয়ে গেলো।
ফখরুদ্দিন সাহেব সিঙ্গাপুর থেকে লন্ডনে গেলেন তার অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে, কিন্তু সেখানে গিয়ে হোটেলে রাতের বেলা তিনি নিজেই অসুস্থ হয়ে পরলেন। হোটেল থেকে তাকে হাসপাতালে ভর্তী করানো হলো। বেশকদিন তার কোনো সেন্স ছিলো না। পরে তিনি সামান্য সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন দেশে।
এদিকে অপালা ঘটনা চক্রে জানতে পারে সে ফখরুদ্দিন সাহেব আসলে তার সত্যিকারের বাবা না। অপালা খুবই গরীব ঘরের সন্তান। তার একটি জমজ বোন ছিল। তার পিতা-মাতা বাধ্য হয়ে তাকে ফখরুদ্দিন সাহেবকে দিয়ে দেন। বিনিময়ে ফখরুদ্দিন সাহেব ১৫ হাজার টাকা ও একটি ছোট দোকান দেন অপালার বাবাকে।
অন্যদিকে ঘটনা চক্রে ফিরোজ তার বাড়িওয়ালার ছোট মেয়েকে বিয়ে করে সুখী নতুন জীবন শুরু করে।
ফখরুদ্দিন সাহেবের ব্যবসায়ী কিছু ঝামেলা ছিল, দেশে ফিরে তিনি সেগুলি দক্ষহাতে সামাল দেন। এরমধ্যে লন্ডন থেকে খবর আসে তার স্ত্রীর অবস্থা খুবই খারাপ, বাচার কোনো আশা নেই, সে কোমায় চলে গেছে, এখন লাইফ সাপোর্টে আছে। সেদিন রাতেই তিনি তার ঘুমের ঔষধের কৌটাটা খুঁজে পান না।
----- সমাপ্ত -----