টপিকঃ ফুলের নাম : বোতল ব্রাশ
বোতল ব্রাশ
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : বতল ব্রাশ
Common Name : Weeping Bottlebrush; Creek Bottlebrush; Drooping Bottlebrush; Red Bottlebrush.
Scientific Name : Melaleuca viminalis / Callistemon viminalis
ডালের আগায় ফুলের ঝুলন্ত ছোট ছোট লাল ছড়া দেখতে বাচ্চাদের দুধের বোতল পরিষ্কার করার ব্রাশের মত বলে এর নাম “বোতল ব্রাশ” ফুল। এতো চমৎকার একটি ফুলের আর কোনো সুন্দর বাংলা নাম নেই। থাকলেও আমার জানা নেই। অথচ বাংলায় প্রতি ফুলেরই একাধিক নামের প্রচলন রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার অসাধারন এই চীর সবুজ ঝোপাকৃতির গাছটি ৪০ থেকে ১৫০ বছর পর্যন্ত দীর্ঘায়ু পায়। এই দীর্ঘায়ু পেয়েও বোতল ব্রাশ গাছ লম্বায় ১৫ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত উচু হতে পারে মাত্র। তাছাড়া এর বৃদ্ধির গতি খুবই মন্থর। গাছ বাংলাদেশে মূলত শৌখিন বৃক্ষ হিসেবেই এর পরিচিতি।
বোতল ব্রাশ গাছের সরু ডালের আগায় গুচ্ছবদ্ধ ভাবে ফুল ফুটে। এটি নিখুঁত ফুল, অর্থাৎ প্রতিটি একক ফুলে পুরুষ ও মহিলা অংশ থাকে। এ গাছের ফুল, পাতায় হালকা মিষ্টি একটা গন্ধ রয়েছে।
সারা বছরে কয়েকবার ফুল ফোটে। তবে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ফুল ফোটে। সাধারনত ফুলের রং হয় লাল। সাদাও হতে দেখেছি আমি। ফুল ফুটলে ছোট পাখি এবং মৌমাছি আকর্ষিত হয়।
ফুল শেষে ছোট ছোট ফল হয়। ফলে অসংখ্য বীজ থাকে। বীজ বা কলম থেকে চারা হয়। বন্যপ্রাণীরা এই ফল খায়।
এর কোনো ঔষধী গুণ আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে ফুলের রেণু বাতাসের মাধ্যমে নাকের ভেতর গিয়ে অ্যাজমা রোগীদের হাঁচি–কাশির উদ্রেক বাড়িয়ে দেয়। ফলে এটি ক্ষতিকর গাছ বলেও অনেকে মনে করেন।
ছবি তোলার স্থান : বোটানিক্যাল গার্ডেন, মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার স্থান : রমনা পার্ক, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ২০১৭ ও ২০১৮ সাল।