টপিকঃ ফুলের নাম : বিড়াল নখা
ফুলের নাম : বিড়াল নখা
কি বিচিত্র নাম!!
ফুলটি দেখতে নাকি অনেকটা বিড়ালের থাবার মতো। অনেকে বলে বাঘের থাবার মতো। আবার কারোকারো মতে পাতার বোঁটার গোড়ায় একটা করে বিড়ালের নখের মত বাঁকানো ছোট কাঁটা থাকে তাই এই নাম। বিলাই আঁচড়া, বাঘনলি, ব্যাঘ্র নোখি ইত্যাদি নামকরণের হেতু এগুলিই।
অন্যদিকে লতানো ঝোপাকৃতির এই গাছে কাঁটা থাকে বলে এর নাম কন্টকলতা, নেটুকাটা ইত্যাদি।
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : কন্টকলতা, কালো ওকড়া, নেটুকাটা, বিলাই আঁচড়া, বাঘনলি, ব্যাঘ্র নোখি, চুনফুল, আষাঢ়িলতা, আসাঢ়িয়া, গোবিন্দকাল, তাপসপ্রিয়া, ঝিরিস।
Common Name : Flinders rose, caper bush, Indian Caper, Ceylon Caper.
Scientific Name : Capparis brevispina / Capparis Spinosa
তুমি কবি ছিলেনাকো, একেলা বিজনে
নিজ হাতে—বসি হেথা—দুঃখের কন্টকলতা
রোপিতেছিলাম, কবি, আপনারি মনে,
তাই নিয়ে অনুক্ষণ—যেন আদরের ধন—
----- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -----
আমি এদের দেখেছি বলধা গার্ডেনে, জিন্দা পার্কে আর জয়দেবপুরে। বাংলাদেশের প্রায় সব গ্রামেই দেখা যায় একে। এরা পুরোপুরি লতা নয়, আবার ঝোপাল গুল্মও নয়। তাই বলা যায় বিড়াল নখা লতা জাতীয় ঝোপালো গাছ।
বিড়াল নখা বহুবর্ষজীবি উদ্ভিদ। লতার গায়ে দেড় থেকে দুই ইঞ্চি দূরে দূরে একটা করে পাতা থাকে। পাতার রং সবুজ।
উঠিতেছে কত কণ্টকলতা,
ফুলে পল্লবে ঢাকে--
গভীর গোপন বেদনা-মাঝারে
শিকড় আঁকড়ি থাকে।
----- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -----
বিড়ালনখার ফুল দেখতে খুবই সুন্দর। চারটি পাপড়ি যুক্ত ফুলের রং সাদা। মাঝের দুটি পাপড়ির গোড়ার দিকটা খয়রী লাল অথবা হলুদ হয়। ফুলের চার পাপড়ির মাঝখানে বেশ বড় বড় ২০/২২ টা কেশোর থাকে।
আল রাধে।
সরস কর মন সত্বরে কর গমন দেখি আসি মোর বৃন্দাবন।
দিবস রআনী এথাঁ একোহি না জাণী নাহিঁ লাগে রবির কিরণে।।
আস্নই আসাঢ়িয়া ভূমিচম্পক চম্পক গন্ধটগর বনমাহ্লী।
নাগেশর কেশর আর তিণিশ শিরিষ বহুল মহুল সেআলী।।
সিঅলি কুসুম্ভ ওড় রেবতী রাঙ্গনাগর ধাতকী আমুলিঅ করবীরে।
----- শ্রীকৃষ্ণকীর্তন – বৃন্দাবনখণ্ড -----
ছবি তোলার স্থান : বলধা গার্ডেন, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১৬/০৩/২০১৭ ইং