টপিকঃ ২১মে আদনান তাসিন হত্যার ১০০তম দিন !!
২১শে মে মানব্বন্ধন প্রেসক্লাব ও শেওড়া বাস স্টপে, আপনি আসছেন তো?
সড়কে আর কত ফাইজা, মীম , করিম, আদনান তাসিন,রাজিব, দিয়া, আবরার, লাবণ্য, আরিফদেরকে কে খুন হতে হবে আর তাদের নিস্পাপ রক্তাক্ত শরীর পড়ে থাকতে দেখতে হবে ?
শেওড়া বাস স্টপ জেব্রা ক্রসিংয়ে বাস চাপায় আমার আদরের নিস্পাপ সন্তান আদনান তাসিন হত্যার সাথে জড়িত ঘাতকদের বিচারের দাবিতে নানান মহলে বিচার চেয়েও এখনো কোন বিচার মিলেনি। এখন পর্যন্ত ঘাতক চালক হেল্পার গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
আগামী ২১মে (তাসিন হত্যার ১০০ তম দিনে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে #দুপুর_২টায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে
এবং একই দিন ২১মে #সন্ধা_৭:৩০মিনিটে শেওড়া বাস স্টপে বিচার ব্যবস্থাকে আলোর পথ দেখাতে এবং #আদনান_তাসিন স্বরণে অনুষ্ঠিত হবে ।
এখানে উল্লেখ্য যে, আমি আহসানউল্লাহ টুটুল, পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলাম, গত ২০১৭ সাল থেকে হটাত করে জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সম্পূর্ণ শরীর প্যারালাইসিস হয়ে বর্তমানে শয্যাশায়ী ছিলাম, এখন একটু হাঁটতে পারি, তবে বেলেঞ্চেইং সমস্যা হয়, আমি দুই সন্তানের জনক, আমার জ্যেষ্ঠ ছেলে আদনান সামিন (১৮) নটারডেম কলেজে ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স ২য় বর্ষের ছাত্র এবং কনিষ্ঠ ছেলে আদনান তাসিন (১৭),বারিধারা স্কলার্স থেকে পিএসসি ও জেএসসি তে জিপিএ-৫ পায়, ২০১৮ সালে ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাশ করে, সেন্ট যোসেফ এ একদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯,রোজ সোমবার, প্রায় দুপুর ২টার দিকে কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে বিমানবন্দর সড়কে শেওড়া রেলগেট নামক স্থানে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পারাপারের সময়, আমার ছোট ছেলে আদনান তাসিনকে দ্রুতগামী উত্তরা পরিবহনের বাস ঢাকা মেট্রো ব- ১১ ৪৫৮৪ চাপা দিয়ে সড়কে ফেলে চলে যায়। তার একজন সহপাঠী ও পথচারী তাৎক্ষনিক ভাবে তাকে স্থানীয় সরকারি কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়, কিন্তু সেখানে তারা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে, তার দুর্ঘটনার সংবাদ মা বাবা বা তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জানান হয়নি, প্রায় ১ ঘণ্টা পর তার বাসায় ফেরার বিলম্ব দেখে আমারা ফোন করলে বিষয়টি অবগত হই এবং তাৎক্ষনিক ভাবে তাকে এম্বুলেঞ্চে করে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে রওনা দেই, কিন্তু বনানী এলাকায় তীব্র ও দীর্ঘ যানজটে আমার ছেলের অবস্তা আরও খারাপ হতে থাকে, তাই বনানী কবরস্থান রোড এ এম্বুলেঞ্চ ঘুরিয়ে ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে আনা হয়, ততক্ষণে আমার ছেলে আর ইহজগতে নেই, আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই। আমার সন্তান মৃত্যুতে তার কলেজ, শিক্ষার্থী , শিক্ষক কেউ কোন প্রতিবাদ করেনি, যেন কেউ প্রতিবাদ না করতে পারে তার জন্য পরদিন কলেজ বন্ধ রাখে, তার পরদিন কলেজ খোলার সাথে সাথে প্রচার করে দেয়া হয় - আদনানের হত্যা কারীকে ধরা হয়েছে, তাই সবাই ভুলে গেছে আদনান তাসিন কে, তাদের এমন আচরণে -কোন মিডিয়া আমার সন্তানের মৃত্যু সংবাদ প্রচার করেনি , মিডিয়া প্রচার না করায় তা আলোড়ন সৃষ্টি করেনি , আলোচিত হয়নি, আমি এখনো আমার নিস্পাপ সন্তান হত্যার বিচার পাইনি, তার উপর #আদনান_তাসিন যে স্কুলে জীবনের ১৩ বছর অধায়ন করেছে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠান তার অনেক অর্জন সাফল্য মেডাল ট্রফি সনদ !! প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী কেউ তার নির্মম হত্যা কাণ্ডের কোন প্রতিবাদই করলনা, বরং .........
আমার ছেলের নির্মম হত্যা কাণ্ডের জন্য দায়ী ও কারনগুলো ঃ-
১। জেব্রা ক্রসিং দেখেও ঘাতক চালক গাড়ির গতি কমায়নি ও ব্রেকও করেনি, এবং আমার ছেলেকে ইচ্ছাকৃত ভাবে মেরে চলে যায়
২। এস্থানে আগে ফুট ওভারব্রিজ ছিল, বিকল্প ব্যবস্থা না করে হটাত করে ওভারব্রিজ সরানো হলো? ইদানীং নুতুন ভাবে আবার ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণাধীন, যা এখন করা হচ্ছে তা সেই ফুট ওভারব্রিজ সরানোর সময়ে করলে, আমার ছেলেকে মরতে হত না,
৩। রঙ দিয়ে জেব্রা ক্রসিং করা হলেও, বিমান বন্দর সড়কের মত সড়কে জেব্রা ক্রসিং এর দুইপাশে স্পিড ব্রেকার নাই। জেব্রা ক্রসিং এর দুইপাশে স্পিড ব্রেকার থাকলে আমার ছেলেকে মরতে হত না,
৪। যাত্রীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারে কোন ট্রাফিক পুলিশ বা ট্রাফিক সিগন্যাল লাইট নাই – পথচারি পারাপারে ট্রাফিক পুলিশ বা ট্রাফিক সিগন্যাল থাকলে আমার ছেলেকে মরতে হত না,
৫। আহত অবস্তায় আমার ছেলেকে সরকারি কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়া হলে , তারা তার যথাযথা চিকিৎসা না দিয়ে , তাকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠাতে বলে, তারা তার চিকিৎসা করলে আমার ছেলেকে মরতে হত না, এবং ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানোর সময়ে তাকে অক্সিজেন বা লাইফ সাপোর্ট দেয়া উচিৎ ছিল
এখানে উল্লেখ্য, একই স্থানে ইতিমধ্যে আরো অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে পঙ্গুত্ব ও মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু সমস্যা সমাধানে এলাকার কোন লোক এগিয়ে আসেনি, আমার ছোট ছেলেটাও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে শেষমেশ। তার মৃত্যুতে খিলখেত থানায় একটি মামলা হলেও, ঘাতক এখনও ঘাতক চালক , হেল্পার গ্রেফতার হয়নি, তার এমন নির্মম হত্যা কাণ্ডের প্রতিবাদন ও বিচারের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন,এলাকাবাসী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানব্বন্ধন ও প্রতিবাদ করে, এবং আমি ২ বার মেয়র মহদয়ের সাথে দেখা করি, তার সমর্থন চাই, #সেন্ট_জোসেফ কলেজের অধ্যক্ষ , শিক্ষক , অভিভাবক, শিক্ষার্থী দের সমর্থন চাই !!