টপিকঃ নদী বিজ্ঞান
নদী বিজ্ঞান
গিনি
পৃথিবীর বহুল নদী যুক্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম। অন্য দেশ গুলি নেদারল্যান্ড, ভিয়েতনাম, প্যারাগুয়ে, কঙ্গো। বর্তমানে এই নদীর দীর্ঘ ২৪০০০ কিমি প্রায় যা কিনা ১৯৪৭ ইং এ ছিল প্রায় ৫০০০ কিমি।
বাংলাদেশে প্রায় ৭০০ নদী আছে। এই সকল নদী প্রতি বৎসর প্রায় ৩ বিলিয়ন টন পলি বহন করে বঙ্গ পো সাগরে আনে। যৌথ ভাবে পানি পরিবহণ করে বৎসরে প্রায় ১১৭০ বিলিয়ন কিউব মিটার।
বর্ষা কালে কখন কখন পদ্মা মেঘনার মোহনায় পানির পরিমাণ প্রায় ১২০০০ কিউবিক মিটার প্রতি সেকেন্ড হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের ৫৪ টি নদী ভারত থেকে আর ৩ টি মিয়ানমার থেকে প্রবেশ করে। ১৮৯৭ ইং এ আসাম ভূমিকম্প বাংলাদেশের নদী গুলির গঠন আর পলি পরিবহণে ব্যপক পরিবর্তন করে।
অবশ্য নদী কখন স্থায়ে ভাবে চলে না, আর যে সকল নদীর গতি পথ প্রথম থেকেই আঁকাবাঁকা থাকে সেগুলি আরও চর আর দিক পরিবর্তন করে।
নদী একটা আশীর্বাদ। কিন্তু এর যথাযত ব্যবস্থা আর ব্যবহারের অভাবে এরা প্রায়ই মৃত। ১৯৪৭ ইং কে যদি সীমারেখা ধরা যায়, দেখা যাবে এ অব্দি প্রায় ৫০০ বিদেশী নদী গবেষক এ দেশে এসেছে কিন্তু নদী তার নিয়মে নাব্যতা হারিয়েছে বা শেষ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত এক আশ্চর্য দৃশ্য পদ্মা- মেঘনার মিলন স্থল যে এক চাক্ষুষ সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয় তা বিশ্বে জাহির করতে পারে নাই ফলে পর্যটক ও হয় না।
ঐ আশ্চর্যের কারণ অনেক তার মধ্যে দুইটি নদীর দীর্ঘের ব্যবধান, পলি পরিবহণ অবস্থা আর তাদের আঁকার গত পরিবর্তন, গতি প্রধান।
নদী দ্বারা মাল পরিবহণ সব চেয়ে সস্তা তা সত্ত্বেও যত্রতত্র রাস্তা নির্মাণ হওয়ায় পানির গতি পথ বন্ধ হয় আর বন্যা আরও বাড়ে। পানির সীমিত চলাচলের জন্য নদীতে, খালে বা জলাশয়ে পলি অধিক পরিমাণে হয়।
নদী যদি সতেজ থাকে তবে কৃষিকাজ, মতস চাষ, দৈনিন্দিন ব্যবহার, কলকারখানার প্রয়োজন, স্বল্প ব্যয় পরিবহণ সহ নানা সুবিধা হয়। মাটি দিয়া নদী পথ বন্ধ না করে উচ্চ সেতু নির্মাণ অবিশ্যি।
নদী রক্ষা করতে নদীকে চিহ্নিত করা বিশেষ প্রয়োজন। আজ কাল তা অতি সহজে করা যায় শুধু মাত্র জিপিএস ছোটো যন্ত্র ব্যবহার করে। যথাযত ক্তৃপক্ষ তা করতে পারে। এ করা গেলে কেউ নদীর গ্রাস করতে পারবে না। বালু উত্তলন আর যে কোনো নিরমানের জন্য ক্তৃপক্ষের প্রকৌশল যাচাইয়ের পরই তা করতে পারবে। পূর্বে এই নিয়ম গুলি কঠিন ভাবে পালন হত তাই আজ কিছু নদী বর্তমান।