টপিকঃ হারানো স্বপ্ন - চাকরি করতে করতে নিজের স্বপ্ন গুলো হারিয়ে ফেলার গল্প
"মা,স্যারের আঁকা টা বাকি।করে শুতে যাই?" "পরের সপ্তাহ থেকে টেস্ত,আর এখন রাত জেগে আঁকবি ?না,এখন শুয়ে পর।সকাল এ উঠে পড়তে বসতে হবে।" "মা,বেশি সময় লাগবে না।আকাশ, নারকেল গাছ,পাড়ে বাঁধা নৌক কে যে রং ছাড়া কেমন ফ্যাকাশে লাগছে।রং টা করে নিই?" "বলছি তো না।তোর বাবা কে বলে পরের মাস থেকে আঁকার ক্ল্স বন্ধ করে দেব।" "না,না মা।আঁকা বন্ধ হয়ে গেলে আমি যে ঝিমিয়ে পরবো।আঁকা-ই আমাকে সজীব রাখে।" "পড়াশুনো করে নিজেকে সজীব রাখো।ওসব এঁকে কী উদ্ধার করবে শুনি?" "সবসময় কী বই নিয়ে বসে থাকতে ভালোলাগে?আমাকে টিভি দেখতেও দাও না,পড়তে দাও না গল্পের বই ও।শুধু বলো মাধ্যমিক টা শেষ হতে দে।পড়াশুনোর সঙ্গে কী আনুষঙ্গিক কিছু করা যায় না মা??" "না যায় না।মাধ্যমিক টা অতো সোজা না যা ভাবছিস।" রিনি দেখল মায়ের সাথে তর্ক করে কোন লাভ হবে না।নিরুপমা দেবী যে শুনবে না তার কথা। খাতায় আঁকা দূরের ঝাউ গাছ,ক্লান্ত নদীর ঢেউ ও দু তিনটে নৌক যেন রিনির দিকে তাকিয়ে একটু রং চাইছে। চাতক পাখির মত তারা অপেক্ষারত,কখন রিনি তার তুলির ছোয়ায় তাদের রঙিন করে তুলবে। রিনি তার আঁকা নানা জিনিসের সাথে যে দৈন কথা বলে। আঁকতে আঁকতে তাদের ভাষা ও বুঝে গেছে সে। এই তো আঁকতে বসে কোন এক নাম না জানা গ্রামের দৃশ্য একে ফেলল সে।রং দিয়ে ভরিয়ে দিল গোটা গ্রামকে। আঁকা ছবিটার দিকে তারপর থেকে যখন ই সে তাকায়,দেখতে পায় গ্রামের নানা দৃশ্য,জানতে পারে তাদের সুখ-দুঃখের গল্প। নিজের সৃষ্টির সঙ্গে সময় কাটাতে বড়ো ভালো লাগে রিনির। এদিকে নিরুপমা দেবী এসব বোঝে না। পুরনো আঁকার খাতাগুলো সব ট্যাঙ্কে রাখা।আঁকা ছবিগুলোর সাথে কথা বলতে রিনি যে আকুল হয়ে ওঠে। কিন্তু তাদের কি মনে পড়ে রিনির কথা? মায়ের কথামত বালিশে মাথা দিয়ে শুয়ে কষ্টের ঘোরে রিনি এসব ভাবতে লাগল। পাশ থেকে নিরুপমা দেবী বললেন- "ছটার এলার্ম দিলাম।উঠে বই নিয়ে বসে যাবে।" নিজেকে বড়ো অসহায় মনে করে রিনি।তার এই কষ্টটা বোঝার মত যে কেও নেই। মা বলেছে মাধ্যমিক টা হয়ে গেলে নাকি সব আঁকার খাতা,গল্পের বই বের করে দেবে। সেই দিনটার -ই অপেক্ষায় রিনি। ঘুম ভাঙল এলার্মে।এলার্ম টা শুনলেই রাগ হয় রিনির।আর কটা মিনিট পরে বাজতে পারল না? মনে মনে এসব ভাবে রিনি।অনিচ্ছায় বই নিয়ে টেবিল ল্যাম্প টা জ্বালিয়ে পরতে বসল সে।সামনে উচ্চমাধ্যমিক। মায়ের দেওয়া কথার খেলাপ যে মা নিজেই করেছে। মাধ্যমিক হয়ে যাওয়ার পরও লুকোনো জায়গা থেকে বের হয় নি আঁকার খাতা। বের হয় নি গল্পের বই ও। বরং সেই গুপ্ত জায়গায় জড়ো হয়েছে আরো আঁকার বই,রং তুলি ও প্যালেট। রিনি যেন এখন আরো একা হয়ে গেছে। চারিদিকে শুধু দেখতে পায মোটা মোটা এস এন দে,ছায়া প্রকাশনীর রসায়ন বিজ্ঞান ও পাল চক্রবর্তীর ভৌত বিজ্ঞান বই।তার কেমন শ্বাস রোধ হয়ে আসে। এই বইগুলো যে তার পছন্দ না এমন টা নহে। বরং সেই তো মাধ্যমিকের পর বিজ্ঞান নিয়ে পরার সিদ্ধান্ত নিল। তবে এসবের সঙ্গে সে চেয়েছিল একটু আঁকতেও। আঁকা ছাড়া তার যেন দিন কাটে না।নিজের আঁকা ছবির সঙ্গে কথা না বললে কেমন অস্থির লাগে তার। নিরুপমা দেবী কে এগুলো অনেক বার বোঝানোর চেষ্টা করেছে সে। মা কেবলই বলেছে- "পাগলামি করিস না।" রিনি চুপ করে যায়।মুখে মুখে তর্ক করলে মা যে উলটে রেগে যাবে। নিজের ঘরে গিয়ে অঙ্ক করতে বসে গেল রিনি। পরন্ত বিকেলের ম্লান রোদ জানলা দিয়ে ঘরে এসে ঢুকেছে। খুলে রাখা সাদা অঙ্ক বইয়ের পৃষ্ঠা হঠাৎ রঙিন হয়ে উঠল সেই রোদের ছোয়ায়। সেটা দেখা মাত্র রিনির ঠোঁটের কোনে একফোঁটা হাসি ফুটে উঠল। রোদ পড়া বইটার উপর হাত রাখতে একটা অদ্ভুত আলো ছায়ার সৃষ্টি হল।বেরং হয় যাওয়া জীবনে হঠাৎ ই যেন সে দেখতে পেল একফোঁটা হলদে আলো।নিজের হাত দিয়ে ছায়া সৃষ্টি করে সেই হলুদের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে হালকা কালোর আভা। হলদেটে কালো রঙের সঙ্গে অনেকক্ষণ খেলতে লাগল রিনি। হঠাৎ ই পাশের ঘর থেকে মায়ের গলা পাওয়া গেল- রিনি একবার এদিকে আয় তো। রিনি গিয়ে দেখল মা অমল পাল বই টা খুলে রচনা দেখছে। সামনে যেতেই মা বলল- " 'কলকাতা পুস্তক মেলা' এই রচনাটা দাগ দিয়ে রাখলাম।রাতে শোয়ার আগে মুখস্থ চাই।" আনমনা হয়ে ঘাড় নাড়ল রিনি। তার মন যে পড়ে আছে নতুন বন্ধুত্ব হওয়া খেলার সাথির কাছে। ঘর থেকে বেরোতে যাবে অমনি মা বলল- "দারা হরলিক্স টা খেয়ে যা।" প্রায় দশ পনেরো মিনিট চলে গেল। নিজের ঘরে ঢুকে রিনি দেখল কোথায় সেই রোদ? কোথায় সেই হলদে রং? রং টা তবে তাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল??
জানলার গ্রিল ধরে দাড়িয়ে বাইরে চেয়ে থাকল রিনি। লাল সূর্যটা অস্ত যেতে বসেছে। আঁধার ঘনিয়ে আসছে যে। আকাশটা যেন কালো রং এ ছেয়ে গেল। মেঘ মুক্ত আকাশে চাঁদ দেখা যাচ্ছে না যে।হয়ত অমাবস্যা আজ। রিনির মনে পড়ে গেল এরকম একটা স্নিগ্ধ আঁধার রাতের ছবি এঁকেছিল সে। তবে তার কালো রং একদম যে পছন্দ না। রঙিন জিনিসকেও যে বেরং করে দেয় এই কালো।
দেখতে দেখতে নয়টা বেজে গেল। মা যে আবার রচনা মুখস্ত ধরবে আজ।
প্রায় এক মাস হল উচ্চমাধ্যমিক শেষ হয়েছে।গল্পের বই আঁকার খাতা সব কিছু কে মা বের করে দিয়েছে তো বটেই,তবে বাড়ি তে এখন নতুন অশান্তি। রিনি আর্ট কলেজে পড়তে চায়। এতদিন মায়ের কথা শুনে প্রায় চার বছর আঁকা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল সে ,তবে আর না। এখন সে বড়ো হয়েছে।এতদিনের ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া জীবনটাকে এবার যে রং দিয়ে ভরিয়ে তুলতে হবে তাকে। কিন্তু নিরুপমা দেবীর ইচ্ছে মেয়ে ইঞ্জিনিয়ার হবে। অতএব এই নিয়ে মা মেয়েতে ঝগড়া প্রায় লেগেই আছে। রিনির মন খারাপ।তার ভালোবাসার জিনিসটাকে যে সবসময় তার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
প্রায় দু মাস পনেরো দিন পর রেজাল্ট বেরোল। পাঁচশো তে চারশো পঁয়তিরিশ পেয়েছে রিনি। মেয়ের রেজাল্ট এ যে মা খুব খুশি। এখন নতুন যুক্তি দেখাচ্ছেন তিনি- "এত ভালো রেজাল্ট করে শেষে কিনা আর্ট কলেজে পরবি?" "কেন ভালো রেজাল্ট করা ছাত্রছাত্রীরা পরে না আর্ট কলেজে?" "না পরে না।তারা ইঞ্জিনিয়ার হয় ডাক্তার হয় বৈজ্ঞানিক হয় গবেষণা করে।" "মা আমি আঁকতে চাই।" "না তুমি ইঞ্জিনিয়ারিং করবে।জয়েন্ট টা তো এমনি এমনি দেওয়া নো হয়নি তোমাকে।" "মা???????" "একটাও কথা না আর।তুমি বড়ো হয়ে যাও।তারপর আর কিছুতে বারণ করব না তোমায়।নিজের ইচ্ছে মতো যেটা ভালো বুঝবে করবে তখন।" "এই কথা তো মাধ্যমিক থকে শুনে আসছি।এখন কলেজে ভরতি হতে চললাম।তোমার চোখে কবে বড়ো হব আমি? " হালকা হেসে নিরুপমা দেবী বললেন- "হয়ত কখনোই না।" প্রতিবারের মতে এবার ও রিনি মায়ের কাছে হেরে গেল। অবশেষে ভরতি হয়ে গেল কলকাতার একটা বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। এখন যে রিনি আঁকার সময় অনেক পেত।চাইলেই সে বাড়ি তে পড়ে থাকা সাদা ক্যানভাস গুলো কে রং দিয়ে ভরিয়ে তুলতে পারত। কিন্তু রং যে আর আসত না তার মনে। রিনির অনিচ্ছায় তাকে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়িয়ে নিরুপমা দেবী যে রিনির মধ্যে থেকে সমস্ত রং কেড়ে নিলেন। আঁকা যে আর শেখা হল না রিনির। চারিদিকে রং দিয়ে রাঙিয়ে তোলার ইচ্ছেটাও তার যে অধরা রয়ে গেল। আঁকার খাতা,রং,তুলি,সেডিং পেনসিল সব কিছু গুছিয়ে নিজেই ট্রাঙ্কে রেখে দিয়ে এসেছে রিনি। চারিদিককে ছড়িয়ে থাকা এত আলো যে এখন আর দৃষ্টিগোচর হয় না তার। এই যুগে প্রতিযোগিতার স্বীকার যে রিনিকেও হতে হয়েছে। বেরং হয়ে যাওয়া রিনি যেন কলেজে উঠে অনেকটাই বড়ো হয়ে গেছে।বুঝতে শিখেছে সে।প্রতিযোগিতায় উন্মত্ত এই যুগে খরগোশ কচ্ছপের দৌড়ে তাকেও যে নেমে পড়তে হয়েছে। এখন অনেক চুপচাপ হয়ে গেছে সে। বাড়িতে থাকলে খুবই কম কথা বলতে দেখা যায় তাকে। মেয়েকে দিন দিন শান্ত হয়ে যেতে দেখে অধীর বাবু নিরুপমা দেবী কে বলতেন- "কেন যে মেয়ে কে জোর করে ইঞ্জিনিয়ারিং পরাচ্ছ?আঁকা শেখালে ক্ষতি টা কি হত?" "ও ঠিক হয়ে যাবে।চার বছর পরে চাকরি পেলে তখন সব ভুলে যাবে।" দরজার পিছনে দাড়িয়ে রিনি শুনছিল এসব কথা।মনে মনে সে বলল- "আমি যে চাকরি করতে চাই না।আঁকা শিখে আমি যে আঁকার স্কুল খুলতে চেয়েছিলাম।" তার এই কথা গুলো যে ঘরের মধ্যেই প্রতিধ্বনিত হতে লাগল। তার ঘর ই কেবল জানতে পারল তার ইচ্ছের কথা।
............... দেখতে দেখতে সাড়ে তিন বছর কেটে গেল।রিনি এখন সপ্তম সেমিস্টারে পরছে। গেল বছর হৃদ রোগে বাবাকে হারিয়েছে সে। ফলে সংসার চালানোর সমস্ত ভার এসে পড়েছে মায়ের কাঁধে।বাবা চলে যাওয়ায় আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।ব্যাঙ্কে জমানো টাকা ভেঙে কোনোক্রমে সংসার চালাচ্ছেন নিরুপমা দেবী। মুখে না বললেও মেয়ের চাকরি পাওয়ার আশায় বুক বেঁধে আছেন তিনি। রিনি সেটা বেশ বুঝেছে।বাবার অবর্তমানে এখন যে সংসার চালানোর দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে। ফলে আঁকার স্কুল খোলার সমস্ত রকম স্বপ্ন ই যে চুরমার হয়ে গেল রিনির। মাঝে মধ্যে জানলার ধারে বসে নিজের মনে কাঁদে সে। নিরুপমা দেবীকেও প্রায়সই আঁচলে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে দেখা যায়। হাসি খুশি পরিবারটা হঠাত ই যেন নির্জীব হয়ে গেছে। বাড়িতে এখন বাসা বেঁধে আছে শুধু কান্না আর মন খারাপ।হাসি গুলো সব যেন কোথায় হারিয়ে গেছে। একটা বেসরকারি সফ্টওয়ার কম্পানিতে চাকরি পেয়েছে রিনি।নিরুপমা দেবী বেজায় খুশি। স্বামীর ফটোর দিকে তাকিয়ে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন।মা কে এই অবস্থায় দেখে রিনি ও যে নিজেকে সামলাতে পারল না।এতদিনের জমিয়ে রাখা কষ্ট যেন স্রোতের মতো অঝোরে বেরিয়ে এল।মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলেন নিরুপমা দেবী। মা কে এত টা অসহায় হতে কখনো দেখেনি রিনি। এতদিন ধরে মায়ের প্রতি জমিয়ে রাখা মান-অভিমান,রাগ সব যেন নিমেষে গলে গেল।
.............. কলেজের চার বছর শেষ। ইতিমধ্যে অফার লেটার ও পেয়ে গেছে রিনি।ছয় মাসের ট্রেনিং এর জন্য বাইরে যেতে হবে তাকে।মা মেয়ে যে এই প্রথম একে অন্যকে ছাড়া থাকবে। মা কে নিঃসঙ্গ করে দিয়ে রিনি এখন ট্রেনিং করতে অন্য একটা শহরে এসেছে। সবসময় বাড়ির দিকে মন পড়ে থাকে তার।ট্রাঙ্কে গুছিয়ে রেখে আসা আঁকার সরঞ্জাম গুলো যেন তাকে হাত ছানি দিয়ে ডাকে,তার ঘরে এসে পড়া পড়ন্ত বিকেলের রোদ তাকে ঘর ফেরার আহ্বান জানায়।বার বার তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে মায়ের শুকনো মুখটা। কেন সব কিছু ছেড়ে এতদূর এসেছে রিনি।সে যে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়নি। চেয়েছিল সে একটু আঁকতে। ভাগ্যের পরিহাস তাকে আজ কোথায় এনে দার করিয়েছে। ফেলে আসা জীবনের স্মৃতি রোমন্থন করতে থাকে রিনি।অদৃষ্টে যে কী লেখা আছে তা কেই বা জানে।
প্রায় দু মাস হতে চলল রিনি অন্য শহরে এসে থাকছে। কলকাতায় এখন দুর্গা পুজো চলছে।এখানে নব রাত্রি। ঘড়িতে পোনে তিনটে। লাঞ্চ করে সবেমাত্র এসেছে রিনি। অনেকেই ছুটি কাটাতে গেছে কলকাতায়। রিনি ছুটি পায়নি।পড়ে আছে এই অচেনা যান্ত্রিক শহরে। হঠাৎ তার ঘেন্না হতে লাগল নিজের জীবনের প্রতি। কেন সে পারল না নিজের স্বপ্ন কে ছুঁতে? কেন হেরে যেতে হল তাকে?? কেন এই অঘোষিত প্রতিযোগিতার স্বীকার হয়ে দিনে দিনে পিষে যেত হচ্ছে তাকে??? ডেস্কে মাথা রেখে কেঁদে ফেলল রিনি। সামনে কম্পিউটারে একসেলের ওয়ার্ক সিট খোলা।দু দিন পরেই কনফারেন্স।তার আগেই যে তাকে বানিয়ে ফেলতে হবে তিনটে প্রেজেনটেশান ও পাই চার্ট।
কাজের চাপে,স্বপ্নকে ছুঁতে না পারার আক্ষেপে,জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণায় রিনির বয়স বেড়ে চলল। শরতের আকাশে তখনও যে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ ঘুরে বেড়াচ্ছে।।