টপিকঃ অভিবাসী পাখি

অভিবাসী পাখি
গিনি
পাখির অভিবাস এক গবেষণার বিষয়। আজ পর্যন্ত এর সঠিক কারণ জানা না থাকলেও ধারনা করা হয় খাদ্যের অভাব এবং প্রকৃতি গত কারনে সাময়িক বসবাস অযোগ্য হওয়ায় পাখি কুল স্থান পরিবর্তন করিয়া থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে উত্তর আমেরিকার প্রায় ৬৫০ প্রজাতির পক্ষির মধ্যে প্রায় ৩৫০ প্রজাতি অভিবাস করিয়া থাকে। এই অভিবাস কখন স্বল্প দীর্ঘ যেমন এক সময় পাহারের উপর অংশে অবস্থান ত কখন পাহারের নীচে সমতলে অবস্থান। আবার কিছু পক্ষি যেমন হাঁস বা সারস হাজার মাইল পথ অতি ক্রম করিয়া থাকে। এই ধীরঘ পথ চলার সময় এরা প্রায় কিছু এলাকায় স্বল্প কালিন স্থায়ী হয়, বিশ্রামের কারনে। আরও ল ক্ষ করা গিয়াছে যে এরা বেশীর ভাগ সময় যে পথে আসে আবার সেই পথেই ফেরত যায়, আবার কিছু ছোটো পাখি একেক সময় একেক ভিন্ন পথে যাতায়েত করে। বর্তমানে পাখির এই অভিবাসের কারণ অন্য বিষয় গুলি জানার জন্য স্যাটেলাইট ও অতি ক্ষুদ্র জিপিএস যন্ত্র এদের শরীরের লাগিয়ে দিয়ে বৎসরের পর বৎসর গবেষণার ডাটা সংগ্রহ বিজ্ঞানীরা করিয়া থাকেন।
পরবর্তীতে এই সকল তথ্যের দ্বারা তাহাদের জীবনের সুরক্ষা ও বাস স্থান গুলি যেন সঠিক থাকে তার প্রতি নজর রাখা হইয়া থাকে এবং সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নিয়া থাকেন।
এই সকল পাখিরা যখন উড়ে তখন তারা একটি ভি আঁকার ধারন করিয়া উরিয়া থাকে। ইহাতে ধারনা করা হইয়া থাকে একজন দলপতি যে বহু অভিজ্ঞ তাহাকে অনুসরণ করাই ঐ পক্ষি কুলের জন্য শ্রেয়।
এই সকল পাখির চলাচল পথে এক নতুন সমস্যা সামনে দাঁড়াইয়াছে তা হল উঁচু দালান। ঐ সকল দালানের আলো সাধারণত পাখিদের আকর্ষণ করিয়া থাকে আর এর কাছে যাওয়ার জন্য ধাক্কায় এরা অধিক সংখ্যায় জীবন নাশ হইয়া থাকে।
ভারত ও বাংলাদেশেও বহু অভিবাসী পাখির আগমন হইয়া থাকে। ধারনা করা হইয়া থাকে যে ঐ সকল পাখি সুদূর সাইবেরিয়ার শীত হইতে রক্ষা কল্পে এই দুরহ যাত্রা পথ পারি জমায়।
প্রকৃতির ভেষজ পরিবেষের সমতা রক্ষার জন্য ঐ সকল অতিথি পাখিদের সুরক্ষা করা উচিত হইবে।