টপিকঃ গাঁয়ের পাশে অজয় নদী

গাঁয়ের পাশে অজয় নদী
                 -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


গাঁয়ের পাশে অজয় নদী বইছে চিরকাল,
শাওন মাসে বান ডেকেছে উথাল পাথাল।
ঝমা ঝম বৃষ্টি পড়ে মাঝিরা নাইকো ঘাটে,
পথেঘাটে জল জমেছে জল জমেছে মাঠে।

আকাশ হতে বৃষ্টি নামে অঝোরধারায় ঝরে,
কালো করে মেঘ করেছে মেঘ গর্জন করে।
আকাশপারে বিজলি হাসে নদী ওঠে ফুলে,
মড়মড় করে গাছটি ভেঙে পড়ে নদীর কূলে।

শাওন মাসের বাদলা দিনে রাঙা মাটির পথে,
জল কাদায় পথ চলা দায় হাঁটছে কোন মতে।
বাঁশের ছাতা মাথায় নিয়ে চলছে কৃষক ঘরে,
রাখাল ছেলে ঘরে ফেরে, গাঁয়ের পথটি ধরে।

গাঁয়ের পাশে অজয় নদী কানায় কানায় বান,
শাওন মাসের বাদল ধারায় মেতে ওঠে প্রাণ।

Re: গাঁয়ের পাশে অজয় নদী

(কিছু বিশেষ কারণে কয়েক মাস পোস্ট দিতে পারিনি। তাই বহুদিন বাদে এই কবিতাটি আজ একই সাথে পোস্ট করলাম। অসুবিধার জন্য বিশেষ দুঃখিত।)

অজয়ের ঘাটে মকরস্নান
                লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

অজয়ের ঘাট ভরে মানুষের ভিড়ে,
মানুষের ঢল নামে অজয়ের তীরে।
গোরু-গাড়ি চড়ি কেহ নদীঘাটে আসে,
কেহ আসে সাইকেলে কেহ মিনিবাসে।

অজয়ের ঘাট ভরে জন কোলাহলে,
মকর সিনান করে সবে নদীজলে।
জলে নামি স্নান করে যত নর-নারী,
বসেছে দোকান কত ঘাটে সারিসারি।

পূবেতে অরুণ রবি দিতেছে কিরণ,
মকর স্নানের তরে এ মহা মিলন।
টুসুর ভাসান আজি অজয়ের ঘাটে,
মহানন্দে সবাকার সারাদিন কাটে।

অজয়ের ঘাটে আজি মহা ভিড় জমে,
বেলা হলে অবশেষে ভিড় যায় কমে।


ঘরে ঘরে পিঠা আজি
              লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

ঘরে ঘরে পিঠা আজি মহা ধূমধাম,
পিঠাপুলি উত্সবে মেতে ওঠে গ্রাম।
তিল গুড় নারকেল দুধ চাঁছি দিয়ে,
দুধপুলি তিলপিঠা ভাজা হয় ঘিয়ে।

বাংলার ঘরে ঘরে পিঠাপুলি হয়,
মকরে পিঠা পরব সকলেই কয়।
ঘরে ঘরে সবাকার ভারি ধূম পড়ে,
চালগুঁড়ি দিয়ে সবে তিলপিঠা গড়ে।

মহানন্দে আজি সবে দুধ-পিঠা খায়,
বাটি পিঠা, সরা পিঠা, সকলি বানায়।
পিঠা গড়ে নারকেল পুর দিতে হয়,
পিঠা খেলে পেটে সয় সর্বজনে কয়।

পিঠা পুলি উত্সব, আজি ঘরে ঘরে,
ঘরে ঘরে পিঠা গড়ে আহারের তরে।
ধন্য ধন্য পল্লী-গ্রাম পিঠার পরব,
ছেলেবুড়ো শিশুদের কত কলরব।

Re: গাঁয়ের পাশে অজয় নদী

ভাল লাগলো ।