টপিকঃ গোয়ালা

গোয়ালা
গিনি
গোয়ালা যায়। গোয়ালা। গাইএর দুধ দোয়াবে।
এই গোয়ালা কত নিবে। টাকা ত নেই না। তোমার গাভীর  দুধ, এই বাটির চার বাটি  হলে এক  বাটি আমার।
এসো এসো।
তোমার গাই আজ তিন বাটি দিল, ত আমাকে আধা বাটি দাও।
এতো টুকু দুধ দিয়ে কি করবে?
না, আরও ঘরে যাবো। সবার থেকে পাবো। পরে নিজের কিছু রেখে। বাকি দিয়ে দৈ, মাখন, ঘি, পনির, ছানা, সন্দেশ যত টুকু পাড়ি করবো। ভোরে যত দূর যাওয়া যায় ততই পাবো।
এখন ত মানুষ টিনের দুধ বেশী ব্যবহার করে।
কি বলব, যত টিন ব্যবহার করবে তত রোগ বালাই বাড়বে।
আমাদের এই শিক্ষা ত বাপ, দাদার। আর কোনো কাজ ত শিখি নাই, পারিও না। যারা এই খাদ্যের উপকার বুঝে তারা টিনে যায় না।
টিনের জন্য ত এখন আর কেউ ঘরে গরু পালেনা। পালাও কষ্ট। বাজারে তেমন ঔষধ পাওয়া যায় না। গাভীর খানা জোগার ও সমস্যা।
তয় কি, আমরা যত দিন পাড়ি এই কাজ করে যাবো। ছোয়াল, পাওয়াল ত অন্য কাজ খোঁজে। এখনও আপানাদের মত কিছু জন আছে গরু পালে। তারাই আমাদের ভরসা। এক দিন সব কিছু শেষ হয়। আমরাও এক দিন বিদায় নিব। এখন যেমন প্লাস্টিকের দিন শুরু হইছে। তাতে ওরা গরু ও প্লাস্টিকের বানাবে আর দুধ পান করবে। তখন আমারা কোথায়।
সে সময় বাঁচার চেয়ে মরবে বেশী। সেদিন খবরে পড়ি, মাছে প্লাস্টিক খাইয়া মরছে। ঐ মাছ যে খাবে সেও মরবে। মরা হবে সহজ। স্বাদের , আহ্লাদের জীবন আর নাই। শোনেন নাই, এখন গাঁও, গ্রামের বিবাহে কেউ আর সেই পুরাতন দিনের হলুদ বাঁটো, মরিচ বাঁটো গায় না, ছেলে ,পুলেরা কি গায় বুঝি না, আবার নাচেও। এ সময় আর বুঝি না। আমাদের জীবনেই সব কিছু বদলায়ে গেল। সামনে আরও কত বদল আসবে কে জানে।
দেখেন নাই পালকির দিন শেষ তেমন বেহারাও বা কাহার আর নাই। তেমনি গোয়ালাও শেষ হবে। তখন শুদ্ধ ঘি, দৈ, সন্দেশ, পনির, ছানা, মাখন সব বিদায় নিবে। প্লাস্টিকের ঘরে প্লাস্টিক খাবে।