টপিকঃ কত টুকু চাই
কত টুকু চাই
গিনি
শৈলেশ দর্শন শাস্ত্রের অধ্যাপক। ছেলে বেলা থেকেই একটু ভাবুক। অল্প বয়স থেকেই কবিতা লেখা লেখি করে। মাঝেই মাঝেই কবিতা গুলি একপ্রকার জীবন জিজ্ঞাসর পটভূমিতে প্রকাশ পায়। সারাদিন তার চিন্তা চলছেই, এটা কেন হয়, ওটা কেন হয়। কোনো আচার অনুষ্ঠানে সে প্রায়ই চেষ্টা করে কোন অদ্ভুত বিষয় আলোচনা শুরু করতে, কিন্তু বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই অকৃতকার্য হয়। তার কঠিন বিষয় শুনে সবাই মুখ ফিরায়।
বর্তমান সময়ে মানুষের যে অপরিসীম চাহিদার স্পৃহা দেখে তা তাকে ভাবায়। তার এখন সমস্যা মানুষের জীবনে কত টুকু প্রয়োজন! সে যে ক্ষেত্রেই হউক। প্রথমত জীবনের সীমা কত টুকু? অর্থাৎ বাঁচার কাল। খাদ্য কত টুকু, অর্থ , জ্ঞান, ধর্ম কত টুকু?
এ সব ভাবতে ভাবতে সে ঠিক করে তবে এই চিন্তাটা সে প্রথম কোথা থেকে শুরু করবে, তখন তার মনে আসে এতো কিছুর পূর্বে শুধু মানুষ কিসের বলে মানুষ, সেটা যদি নির্ণয় করা যায় তবে ঐ শক্তি টুকু ধারন করার যে শারীরিক কাঠামো প্রয়োজন সে টুকু হলেই ত পূর্ণ একটা মানুষ হওয়া যায়।
প্রাচীন বই, শিলা লিপি, আরও অন্য কিছু ঘাটা শুরু করে। এরি সুত্র ধরে দেশে বিদেশের পাঠাগারে যাওয়া শুরু হয়। বর্তমান বিশ্বের বড় বড় দার্শনিকদের নিকট পত্র লেখা শুরু করে। তার গবেষণার জন্য অনেক সময় দেয়। সঠিক উত্তর বেশ দুষ্কর মনে হয়। এখন সে নিজেই গভীর চিন্তায় নিম্মজিত হয়। খাওয়া দাওয়া অর্ধেক হয়। অধ্যাপনার কাজে অমনোযোগী হয়ে উঠে। তার মেজাজ প্রায়ই উরধে থাকে। এক রাতে মশারিতে হাত লেগে থাকার জন্য মশা যখন তাকে ডেকে তুলে সে তার সমস্যার সমাধানের নিকটে। পাশেই থাকা খাতায় লেখে, মানুষের মস্তিস্ক ই হইলো একমাত্র পদার্থ যার জন্য মানুষ, মানুষ। তার অর্থ মানুষের শুধু মস্তিস্ক থাকলেই চলে। আর সব হইলো বিভ্রান্তি সৃষ্টি সহায়ক। অন্য অঙ্গ প্রত্নগ সকল সঠিক কাজ কে ব্যহত করে। এরা সমস্যা বাঁড়ায়। একটু থামে। কিন্তু মস্তিস্কে যে রক্তের প্রয়োজন। রক্ত তৈরী হয় শরীরে। তাহলে শরীর প্রয়োজন। শরীর কে ঠিক রাখতে খ্যাদের প্রয়োজন। হাত তা জোগার করে, পা তাতে সাহায্য করে। সঠিক খাদ্যের জন্য চোখ প্রয়োজন। কিন্তু চোখের সমস্যা লালসা সৃষ্টি করে। লালসা ত লুকানো মস্তিস্কে। তা হলে ত মস্তিষ্কই প্রধান সমস্যা। মস্তিস্ক না থাকেলেই ত মানুষ সমস্যা মুক্ত। কিন্তু মস্তিস্ক বিহীন আবার মানুষ কি ভাবে হবে? তাহলে লালসাই প্রধান সমস্যা। তবে লালসা কে কিভাবে রুখবে? লালসা ত মানুষের মস্তিস্কে গাঁথা। এতো জন্ম থেকেই সক্রিয়। এঁকে রুখতে চায় সু কথা। ধর্মে আসে সু কথা, শান্তির, কথা, লোভ, লালসা ত্যাগের দিশা। ধর্ম তাহলে পালন করলে লালসা যাবে। ধর্ম কি ভাবে পালন হবে? অর্থ লোভ ছারতে হবে। কেমন করে পরিবার পালন হবে অর্থ না থাকলে। দান, শুধু দানের মাধ্যমে। কিন্তু যে দান করবে তার নিশ্চয় একজনের যার অধিক আছে। তার এই অধিক কিভাবে এলো? যদি এই উপার্জন সৎ পথে না আসে সেই দান কি ধর্মের নামে গ্রহণ করা ঠিক? তবে শুধুই ধর্ম পালন করলে এই লালসার শেষ হবে না। তবে , তবে রাস্তাটা কি? উপায় কি? না সেই জ্ঞান কি মানুষের নাই?
আছে উপায় আছে জীবন ব্যপ্তিকে সীমিত করা অর্থাৎ অল্প সময়ের মধ্যেই মৃত্যুকে কাছে টানা। জন্মের অল্প দিনের মধ্যেই মরণ।
এ কেমন সমাধান!