টপিকঃ এসো গল্প বলি
এসো গল্প বলি
গিনি
গল্পেরও যে গল্প তাই আজ বলি।
তখন মানুষ সবে কথা অর্থাৎ অর্থ বহ কিছু শব্দ উচ্চারন করতে পারে। পাথরে ঘসা বা কাঠের কঞ্চি হাতের তালুতে ঘুরিয়ে কিম্বা প্রকৃতির কোথাও আবহাওয়ার কারনে আগুন জ্বলেছে তা সংগ্রহ করে, ঠিক স্নদ্ধ্যায় কোথাও একত্রে বসে আঁকার, ঈঙ্গিতে আর শব্দে আলাপ শুরু করেছে। সেই প্রথম আলাপটাই শুরু গল্পের। সে সময় সব চেয়ে বয়স্কর কথাটাই সবাই শুনত আর মানত। সেই বয়স্ক ব্যক্তি সে নারী বা পুরুষ যেই হউক সে কি বলত? যেহেতু তখন আজকার দিনের মত এই প্রেম ভাব ছিল না, তাই প্রেম বিষয় নয়। এরা গল্প করতো ঐ দিন তারা কিভাবে পশু-পাখি ধরেছে বা মেরেছে। কথায় কোন বিপদে পরেছে তার বিশদ আলোচনা। সেই গল্প থেকেই বেরিয়ে আসতো কিভাবে আরও সহজে শিকার করা যায় বা বিপদে পরলে কি করতে হবে।
আরও দিন , কাল, যুগ গেল।
মানুষের মস্তিস্ক উন্নত হতে থাকলো কারন তার উন্নত মানের শিকার পদ্দতির জন্য খাদ্য সহজ হল।
এখন মানুষ অনেক বেশী মনে রাখতে পারে আর চিন্তার মাধ্যমে গল্প বানাতে পারে। অলস সময়ে সকলেই গল্প শুনতে আনন্দ পায় তাই প্রতিদিনকার একই রকম শিকারের গল্পের চেয়ে বানানো গল্প ভালো লাগতে লাগলো। শুরু হয় মন রঞ্জনের জন্য গল্প বলা।
তবে এই সময়টা কখন, তা সময়ের কুয়াশার চাদরে ঢাকা পরে গেছে এবং তা জানা আর কোনো ক্রমেই সম্ভব না।
ইতিহাস বলে সুমারিয়ান রাজা গিলগিমিশের গল্প বলার আসরের কিছু শিলা লিপি পাওয়া গেছে।
আর নতুন কালে এসে আমরা পেয়েছি আরব্য উপন্যাস।