টপিকঃ মা এর জন্য

মা এর জন্য
গিনি

হেঁসেলের হাঁড়ি পাতিল, খুন্তি, কাঠের বা কেরোসিনের চুলার সাথে উদয় অন্ত যার সংগ্রাম ছিল সে ছিল এক বিশাল পরিবারের গৃহ কৃতী যার পদাধিকার বলে এক ভূবন ঘেরা নাম “মা”।
মা মনে হলেই ধারনা হয় সকল আবদার সে যতই অলিক হউক তা পূর্ণ হয়ে গেছে।
সদ্য পাক করা গরম ভাতের সাথে শাক দিয়ে ঘন ডাল , খাসির মাংসের ঝোল আর আলু মাখা থালা হাতে দাঁড়িয়ে সেই হাঁক ছারা ডাক, তা নিজের জন্য নয়, আমাদের উদর পূর্ত্তির জন্য।
টিনের বোয়াম ভড়া বূটের ডালের হালূয়া, কাঁচের বয়াম ভরা আমের আর বড়ুয়ের আচাড় সব সব আমাদের মুখের স্বাদের জন্য। বর্ষার রাতে আমরা যখন সকল খেলা শেষে নিদ্রায় তলানো তখন মা এসে শরীরে চাদর টেনে দিয়ে কি আবেগ, ইতিহাস রচনা করলো কোনো শিলা লিপিতে আছে কি লেখা! অকথ্য পরিশ্রম করে বা গায়ের অঝর ঘাম ব্যয় করে মা যে ঋণের বোঝা দিয়ে গেল, তা পরিশোধের জন্য বিধাতা কোনো সময় দেয় নাই। তার সম তূল্যের কিছুই নাই। বিধাতা এমন ভাবে এই বিধান সন্তানের উপর চরায় দিয়েছে, যে চির কাল সে কঠিন শেকলে বাঁধা।
মা ত চায়নি কিছুই । শুধু দেওয়াতেই তার আনন্দ। বলে নাই ও তোর চেয়ে বেশী পারে তাই ওকে বেশী দিলাম। বলে নাই আমায় এটা দে, ওটা দে। মা শুধু চেয়েছে সন্তান কবে সুন্দর কথা বলবে, সকল জ্ঞানিদের ভিড়ে দাঁড়াবে, আত্মীয়, পাড়া প্রতিবেশী সু নাম করবে। মা থাকবে আড়ালে সব দেখে তৃপ্তিতে হ্রদয় ভরাবে।
আমার মত সারা বিশ্বের সকল সন্তান জীবনের সকল সময় একটা নামি মনে রাখে, সেই ছন্দে ভরা ধবনি “মা”।
অনেকের প্রায়শ হয় মৃত কিম্বা জীবিত মায়ের জন্য অনেক কিছু করা। বৃথা সে সব হয়।
কি ভাবে মায়ের সে সব অন্যায় সহ্য করার ফিরতি ফেরত দিবে?
কত হাজার রাজার ধন দিয়ে মায়ের ছবি মুরে দিলে সেই ঋন দায় মুক্ত হবে এ যদি কোনো মহা মানবের জানা থাকে তবে তা আজ আমরা জানতে চাই। তা হবে পরম পাওয়া। এরপরও কথা থাকে, এতো কিছুর পরও মা কি জিজ্ঞাসা করবে না, “ ভালো আছিস ত তুই?”
কি দিয়ে শুধবে সে ঋন!