টপিকঃ রাষ্ট্র ব্যবস্থায় মানব জীবন
রাষ্ট্র ব্যবস্থায় মানব জীবন
গিনি
অতিত বলে, মানুষের সংখ্যা যখন বৃদ্ধি পেলো তখন এক জন অন্য জনের উপর নিজের শক্তি তা যে রুপেই হউক, যেমন বুদ্ধি মত্তায়, কিম্বা শারীরিক সে যাহির করা শুরু করলো আর এখান থেকেই মূলত প্রতিযোগিতা, রেশা রেশি , দলা দলি, কারাকারি প্রশ্রয় পেলো। এই ঝামেলা নিরসনে কিছু জ্ঞানী বা চতুর ব্যক্তি তার উচ্চ স্থান বজায় রাখার জন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থা নামক বিভিন্ন পদ্ধতি ও রীতি নীতি গঠন করে। দেখা যায়, পরবর্তীতে কখনও অতি জ্ঞানি,অতি শক্তশালি, অতি চতুর, জাদুকর, কখনও দলের মধ্যে যে সবচেয়ে বৃদ্ধ তাকে নেতা রুপে গ্রহণ করা। কিছু পরে যখন একক ব্যক্তি শান্তি ও মানুষের সুযোগ সুবিধা অব্যাহত রাখতে ব্যর্থ তখন দল বেঁধে শাসন পদ্ধতি শুরু। এর একটা মূল ধারা ধর্মের, অন্য যেটা সাধারনের তার আবার বিভিন্ন নাম করন, যেমন, একনায়ক্ত, গনত্রন্ত, সমাজতন্ত্র, প্রজাতন্ত্র। যে একনায়ক্ত সে কিন্তু একা নয় তার পিছনে বহু জন আছে, যে গনত্রন্ত বা প্রজাত্নত্র, সমাজতন্ত্র তাদের সকলের পিছনেই অনেক আছে। এ সব ব্যবস্থায় জন গন কি পায়? একনায়ক্তে সকল অধিকার হাঁড়ায়। শুধু সহযোগীরা পায় সুযোগ সুবিধা। অন্য ধারায় বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ হয়, মানুষের ব্যক্তি সত্তা হাঁড়ায়। আবার কতক সময় দেখা যায় মানুষের জন্মের উপর ভিত্তি করে কর্ম নির্ধারণ করা হয়।
এতো কিছুর পরও আজ অবধি কোনো পদ্ধিতি স্থায়ী হয় নাই। এক ই মানুষ এ দল ও দল পাল্টা পালটি করেছে।
তাই সমাজ বিদদের মতামত প্রয়োজন, দার্শনিকদের মতামত প্রয়োজন।
এতো জ্ঞানের ছড়া ছড়ি তবে কেন এই ব্যর্থতা।
এই সকল ব্যর্থতার কারন গুলি কি পার্থিব ধন, সম্পদ আহরণ, মানবতার ভুল ব্যাখ্যা, আর মনের লাগাম ছেঁড়া!
পার্থিব চিন্তা যখন মানুষকে ঘেরে তখন কি সুচিন্তা করা চলে যায়? মানুষ কেন এবং কিভাবে পার্থিব চিন্তা দূর করবে মানুষের জন্ম ত পৃথিবীতে।তা হলে ঐ কথাই ঠিক যে সারা খন পর জীবনের কথা ভাবো আর জীবন দেও। এখানে সুচিন্তা তা কি ?
আমি দ্বিধান্বিত। অর্থ, সম্পদ অরজন কি সুচিন্তা না?
তাহলে মানবতা আসলে কি?
প্রয়োজনের সীমা কোথায়? তা হলে আমরা শেষ মেষ সে অলৌকিক এর নিকট আটকানো। প্রশাসন দিয়ে যে রাষ্ট্র, সমাজ নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা এ সকল ধোকা বাজি। মানবতা একটা মানসিক ও বস্তুগত ধর্ম মাত্র। নিদ্রায় কিম্বা জাগরণে নির্মল ভাবে অবস্থান করা। প্রকৃতি যেমন সকল শিক্ষা বিহিন কিন্তু একটা সীমা বদ্ধটায় জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কাল ক্ষেপন করে, তেমন টা মানুষের জন্যও পালন করা। সকল রকম ধ্বংস থেকে বিরত থাকা। আদি গ্রন্থ থেকে জানা যায় যখন স্বর্গে ছিল তখন শুধু ফল, আর রস খাওয়ায় যতেস্থ ছিল সেখানে পশু, পাখি নিধন ছিল বলে উল্লেখ্য নাই। মানবতা হল সকলকে সাথে নিয়েই ,বস্তুগত এবং চিন্তাগত, জীবন পার করা।
সব চেয়ে কঠিন হল মানুষের মন ও চিন্তা কে নিয়ন্ত্রণ করা। যা মানুষ নিজেরটাই নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়। মানুষ যে হেতু পশু, পাখি, গাছ পালার চেয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করতে পারে ও সচল তাই সে প্রতি সময় নিজের অজান্তেই সমস্যা তৈরি করে। মানব তার প্রকৃতি গত ভাবে বিধাতার দ্বারা যে ধর্ম পেয়ে ছিল তা থেকে বের হয়ে এসেছে। তা কখন করেছে বলা দুরহ। কিন্তু সে যে এটা তার অতি বুদ্ধির জন্য করেছে তা বলা যায়। যখন দৈহিক শক্তিতে হেরেছে তখন বুদ্ধি বাহির করেছে আর যখন বুদ্ধিতে হেরেছে তখন শক্তি প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছে। তাই দেখা যায় দুর্বল দল মিছিল করে, হরতাল করে আর শক্তিশালী গুলি চালায়। হাক পারে আলোচনা করার। আর আলোচনায় কিছু ঠিক হয় না। এই রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রেত্রনের তানা পোরন আধুনিক কালের গড়িমসি।