টপিকঃ ফুলের নাম "তমাল"
তমালের কথা শুনেননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া যেমন দুষ্কর তেমনি, তমাল গাছ বা ফুল দেখেছেন এমন লোকের সংখ্যাও খুব বেশী নেই।
বাংলা সাহিত্যে তমালের উপস্থিতি উজ্জ্বল। হিজল-তমালের কথা যেমন আছে তেমনি আছে তাল-তমালের কথাও।
তবুও রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন-
'কোন তমালের কাননতলে মধ্যদিনের তাপে
বনচ্ছায়ার শিরায় শিরায় তোমার সুর কাঁপে।'
পল্লিকবি জসীমউদ্দীন বলেছেন-
‘জালি লাউয়ের ডগার মত
বাহু দুখানি সরু
গা-খানি তার শাওন মাসের
যেন তমাল তরু’।
লোক সাহিত্যে আছে-
"না পেড়াইও রাধার অঙ্গ
না ডুবাই ও জলে,
মরিলে তুলিয়া রাইখো
তমালের ও ডালে"।
সাহিত্যে যতোই তমালবন্দনা হোক প্রকৃতিতে তমালের উপস্থিতি কিন্তু অতিনগন্য, প্রায় দেখা যায়না বললেই চলে।
তমালের অন্যান্য নাম : বনগাব, মহেশকাণ্ড, বিস্তেন্দু, জগলকান্তি, মানজাকারা, ব্যাংকিনি, ভাক্কনাই, কাল ধোয়া, কেন্দু, দাকানান ইত্যাদি।
ইংরেজি ও কমন নাম : Mottled Ebony, Bombay ebony, Mountain persimmon
বৈজ্ঞানিক নাম : Diospyros montana বা Diospyros cordifolia
তমালের ফল বিষাক্ত। এমনকি পাতাও মাছেদের জন্য ক্ষতির। তবে তমালের প্রতিটা অংশই ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ।
তমাল নিয়ে একটা প্রচলিত চুটকিও রয়েছে-
এক শিক্ষক ক্লাশে পড়াচ্ছিলেন - কপল ভিজিলো নয়নেরই জলে....
হঠাত এক ছাত্র মাঝ পথে বাধা দিয়ে বললো স্যার চোখের জলে কপাল কেমনে ভিজবো?
রেগে গিয়ে স্যার বললেন - দাঁড়া ভিজানোর ব্যবস্থা করতেছি।
"কপল ভিজিলো নয়নেরই জলে,
পা দুটি তার বাঁধা ছিল তমালেরই ডালে।"
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : বোটানিক্যাল গার্ডেন, মিরপুর, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ০২/০৪/২০১৭ ইং, ০৩/০৩/২০১৮ ইং এবং ১৭/০৩/২০১৮ ইং