টপিকঃ ছবিস্যু (তারপর)
প্রথম পর্বের পর.....
আমি তো আমতা আমতা করছি,কি বলব বুঝে উঠতে পারছি না।এমন সময় ইসরাত মেয়েটি উঠে দাড়ালো এবং ম্যামকে উদ্দেশ্য করে বলল-
-ম্যাম,আমি তো ওর কাছে পানির বোতলটা চাইছিলাম,একটু পানি খাবে তাই।কিন্তু, পানির বোতল চাইতেই ও না না না করে চিৎকার করা শুরু করল।
ম্যাম ত আমার দিকে অবাক দৃস্টিতে তাকিয়ে একটা কস্টমার্কা লুক দিলেন।তারপর শুরু করলেন ধর্ম থেকে শুরু করে শতাধিক কোটেশন সহ নানান মানবিক গুণাবলির উদাহরণ সহ উপদেশ।আমি ভদ্র বালিকার মত সব উপদেশ কান পেতে শুনলাম এবং অবশেষে আধা ঘন্টা পর বসবার অনুমতি পেলাম।
মেেয়টার ওপর তো ভীষণ চটে গিয়েছি ঘটনার পর।কত বড় মিথ্যুক মেয়েটা,আল্লাহ।"আল্লাহ ওকে আখিরাতে পানি দিবা না,দিলে আমি কান্না করব।ও পানি নিয়ে ও যা করল,ওকে পাপ দিবা পাপ।" -এসব মনে মনে বলে আমি ওকে শাপ-শাপান্ত করছিলাম।আমি এমনি ভালো মেয়ে,এসব কম করি,কিন্তু আজ,সে সব সীমানা পেরিয়ে আমাকে অপদস্ত করেছে।আমি ত ফুসছি আর ফুসছি।
ক্লাস শেষ হলো।ব্যাগ গুছাচ্ছি।হুট করেই কে যেনে গাট্টা মারল মাথায়। উহ্ করে পেছনে ফিরে তাকিয়ে দেখি ওই মেয়ে।রাগে তে গা জ্বলে যাচ্ছে আমার।আমি ভদ্র মেয়ে,ভদ্রভাবেই বললাম-
- কি হয়েছে? মারলে কেন?
-মারলা কই?
-ওমা! এই তো মারলা।
-হি হি হি।
-হাসো কেন?
হাসতে হাসতে সে আমার ব্যাগের পকেট থেকে পানির বোতল টা টেনে বেরর করে ঢকঢক করে পানিগুলে সব খেয়ে ফেলল।আমি তো অবাক।এরপর সে আমার দিেক তাকায় ব্যঙ্গের মত ইয়া বড় বড় দাঁত বের করে হেসে বলল-
- তুমি এত সরল-বোকা, তোমাকে জ্বালাইতে মজা।আর তুমি ছবি তুলতে চাও না,কিন্তু আমি চাই।আর আমি তুলবও।
এই বলেই সে আমাকে একটা হ্যাচকা টান দিয়ে ফোন বের করে ঘ্যাচাং করে একটা সেলফি তুলে হাসতে হাসতে চলে গেলো।আর যাবার আগে বলল-
-এই ছবিস্যুর হাত থেকে তোমার আর নিস্তার নেই শিথু।।।