টপিকঃ বঙ্গে সংস্কৃতির এক অংশ

বঙ্গে সংস্কৃতির এক অংশ
গিনি
সংস্কৃতি হইল সংস্কার হইতে। অর্থাৎ যত রকম আচার ব্যবহারের পরিবর্তন বা পরিবর্ধন আসে সেই গুলি পরবর্তীতে সংস্কৃতি  বিবাচিত হয়।  সেই রুপ বঙ্গেও বহু বার সংস্কৃতির রুপ ভিন্ন ভাবে দেখা গেছে। উল্লেখ্য যে , ৮০০ শতাব্দি হইতে ভারতে তুরকি দের আগমন শুরু হয় তাদের সাথে আসে সুফি মতবাদিরা। এরা দ্রুত ভারতের প্সহিম হইতে পূর্বে প্রায় স্থায়ী নিবাস গড়েন ও বাংলার সংস্কৃতে পরিবর্তন আনেন। পরবর্তীতে তাদের সময়ের গল্প, কবিতা, জীবন বৃতান্ত  ও অন্য রচনা গুলি এখন পীর সাহিত্য বলে অনেকে নাম করন করেন। এ বিষয়ে একটি বই “বাংলা পীর সাহিত্যের কথা,” ডক্টর গিরিন্দ্র নাথ দাস, ১৯৭৬ ইং প্রকাশ করেন সেখান বিস্তারিত আলোচনা আছে। বাংলার বাহিরের জনগণের আসা যাওয়ার কারনে এর সাহিত্য ভান্দার প্রসার লাভ করে সাথে সাথে ভাশার অনেক তারতম্য ঘটে। ঐ পুস্তকে শ্রী গিরিন্দ্র নাথ  লিখেছেন যে পীর সাহিত্য কে চার ভাগে ভাগ করা যায়, পিড় লোক কথা, পিড় কাব্য, পীর জীবনী গদ্য রচনা, পীর নাটক। সেখানে তিনি অপর একটি বিষয়ে লিখেছেন যে , এটা অঙ্কে সময় “মঙ্গল সাহিত্য” বলা হয়েছে যা গতানুগতিক মঙ্গল সাহিত্য থেকে পৃথক কারন সাধারন ভাবে মঙ্গল সাহিত্য হয় এমন লেখা যা এক মঙ্গলবার থেকে শুরু করে অন্য মঙ্গলবারে শেষ হয়, কিন্তু পীর লেখনি গুলা ছিল শুধু মানুষ কে সঠিক পথ দেখানো বা মানুষের উপকারের জন্য । দৈনিন্দিন জীবনের চলার পাথেয় হিসাবে। সাধারন ভাবে দেখা যায় এক সময় কার বারো মাসে তেরো পারবন যা অর্থনৈতিক কারনে জরুরী ছিল সেখানে ভাটা পরে, তত পরিব্রতে অন্য আচার আচরন স্থান লয়।  এই প্রভাবের ফলে মানুষের খাওয়া দাওয়া, বস্ত্র, বাড়ি ঘর নির্মাণ অনেক কিছু নূতন রুপ পায়। কিছু ক্ষেত্রে যাতায়াত এবং পরিবেষ পরিচ্ছন্ন হয়। বিদেশী ব্যবসা বৃধি পায়। শিক্ষা ও প্রসার লাভ করে। এল্কা ভিত্তিকে সংখ্যা গরিষ্ঠ সংখ্যা লঘু হয়।
পুস্তকে আরও বলা আছে যে, হজরত বাইজির বোস্তামি, খাজা মোইনুদ্দিন চিস্তি,  হজরত শাহজালাল, হজরত বাব অদহম শহীদ, হজরত গোরাচাঁদ বিশেষ ভূমিকা রাখেন।