যেমন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ এলাকায় :
বিড়ালকে বলা হয় বিলাই, পাট গাছকে পাটা, কাঁঠালকে কোঁঠাল, কুলকে বোইর, পেয়ারাকে বিলাতি, টমেটোকে লাল ব্যাগন আর ঘ্যাট ব্যাগন, বাসমতি ধানকে লেলিয়া ধান, খেজুর রসকে তাড়ি, বাদুরকে বোগদোর, ঝাটাকে বাধনী, রাম ধনুকে বলে আরা।
খেত সম্পর্কে : বরো ধানকে বলা হয় পুসা ধান, আমনকে হেউতি, আউশকে ভাদোই, ভুট্টাকে মাকাই, হলুদ সর্ষাকে তরা, বাদামী সর্ষাকে তুরি।
পাখী : দার কাককে বলে ঢাত্ কুয়া বা কৌয়া, পাতি কাককে পাতি কুয়া, শালিক পাখীকে সারো পোখি, চড়াই পাখিকে গ্যান্ডা, বুলবুলিকে খপানাসী/কোটি নাল, ফিঙ্গে পাখীকে সেটুলটুল, কোকিলকে কুহুলি, রাম গড়ুরকে হাড় গোড়োল, শামুখ খোলকে শামকানি, বককে বগলা, পায়রাকে কোকতোর, দোয়েলকে সিতু পোখি।
ফল : আপেলকে শ্যাপ, কমলালেবুকে সন্তর।
মাছ : এই বিষয়ে পার্থক্য নেই বললেই চলে।
শাক সবজি : ধনে পাতা হল ধেনিয়া, মুলো মুলাই, বেগুন ব্যাগন।
এই জাতীয়। আপনার জেলায় কাকে কি বলা হয়?
ভাষার অস্তিত্ব সাহিত্য এবং ব্যাকরণ ছাড়া নাই, সঠিকধরনের ভাষা বলিতে, লিখিতে, বোঝিতে এবং বোঝাইতে তাহার ব্যাকরনটা জানা দরকার, এবং সাহিত্যের দ্বারা ভাষাকে সৌন্দর্য দেওয়া হয়, ভাষাটা সমৃদ্ধ হয় শুধু সাহিত্য দিয়া... এইটাই আমার ধারণা... কেমন???