টপিকঃ আগ্নেয় দ্বীপ বালি ( পর্ব #১)
দক্ষিন পূর্ব এশিয়াতে অবস্থান ইন্দোনেশিয়ার । ভারত আর প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে এর অবস্থান।এত্ত গুলো দ্বীপ নিয়ে এই রাষ্ট্র গঠিত ,যার মাঝে একটি হল বালি। ইন্দোনেশিয়া মুসলিম প্রধান দেশ হলেও বালির অধিবাসীরা বেশির ভাগ হিন্দু ধরমালম্বি । ফলে এখানে স্থাপত্য ,ভাস্কর্য ইত্যাদিতে হিন্দু পুরাণ এর প্রতিচ্ছবি দেখা যায় আর একে বলা হয় দেবতাদের দ্বীপ । আগ্নেয় শিলা আর আগ্নেয়গিরি ,ধাপ চাষ (টেরেস কালটিভেশন ) বাহারি ফুল আর মন্দির নিয়ে বালি এর মোহনীয় সৌন্দর্য এর কারনে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য ।
বালি যাবার খুব একটা ইচ্ছা আমার না থাকলেও সবাই মিলে অনেকটা জোর করেই নিয়ে গেল। ডিসেম্বর ২০১৬ এর ২২ তারিখে আমরা ছয়জন রওয়ানা দিলাম কুয়ালালামপুর মালয়শিয়ান এয়ার এ। ভোর রাতে পৌঁছে গেলাম কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্ট এ , এখন চার ঘন্টার ট্রানজিট । তান্দাস (ওয়াশ রুম) ঘুরে এসে আমি সোজা খালি বসার জায়গায় শুয়ে দিলাম একঘুম ,আমার সাথী হল রুনিয়া আপা। বাকিরা মোবাইল নিয়ে বাস্ত। অনেকেই অবাক হয়ে হয়ে দেখছিল কিন্তু কিছুই করার নেই ,আমি ঘুমের সাথে কম্প্রমাইজ করতে রাজি না । কেয়াপু রাগে গজগজ করছিল আর বলছিল এটা কি স্টেশন পাইছিস ?
একঘুম দিয়ে উঠে দেখি তিনঘণ্টার মত পার হয়ে গেছে ,তখন একটু ফ্রেশ হয়ে ফোটো সেশন এর পালা এবং আবার উড়ান এর জন্য ধাবিত হওয়া ।
ভারত মহাসাগর এর কাছে যত বার গেছি আমি একটা জিনিষ খেয়াল করেছি যে প্লেন বেশ ঝাঁকি খায় এখানে। দুইটা এয়ার মাস ( বায়ু পুঞ্জ) এর মাঝে পরে এই দশা । এখানে বাতাস বেশ তীব্র মনে হয় । সিটবেল্ট বেধে রাখার সংকেত দেখানোর পাশাপাশি ড্রাইভার (পাইলট) ভাই জান বেল্ট না খোলার জন্য বলছিলেন বার বার । প্রায় পৌঁছে গেছি এমন সময় জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি উত্তাল সমুদ্র পাহাড়ের গা ছুয়ে ছুয়ে বয়ে যাচ্ছে ।
সব ক্লান্তি বিরক্তি এক নিমিষেই হাওয়া ।
অবশেষে দেনপাসার এয়ারপোর্ট এ নামলাম , ড্রাইভার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল আগে থেকেই।
এয়ারপোর্ট টাও ছবির মত সুন্দর । পর্যটকের আনাগোনাও বেশ ছিল ।
বাতাস এর বেগ আর গরম দুটোই বেশ ভাল মাত্রায় ছিল । গাড়ি আমাদের নিয়ে রওনা দিল কুটায় ,আমাদের জন্য নির্ধারিত হোটেলে ।
রাস্তায় প্রায় প্রতিটি মোড়ে নানারকম ভাস্কর্য দেখা যাচ্ছিল ।