টপিকঃ নাগেশ্বর
বাংলা নাম : নাগেশ্বর
ইংরেজি নাম : Ceylon ironwood, Indian rose chestnut, Cobra's saffron.
বৈজ্ঞানিক নাম : Mesua ferrea
সংস্কৃত নাম : নাগচম্পা বা নাগকেসর [“কাগকেশর” নামে সম্পূর্ণ ভিন্ন আরেকটি গাছ রয়েছে]
অন্যান্য নাম : জানা নেই।
এক প্রকার চিরসবুজ বৃক্ষ। এটি শ্রীলঙ্কার স্থানীয় বৃক্ষ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও দক্ষিণ ভারতে প্রচুর দেখা যায়। বাংলাদেশেও এই গাছ প্রচুর দেখা যায়। মোট কথা সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এটি প্রচুর দেখা যায়। সাগর সমতলের ১০০০ থেকে ১৫০০ মিটার উঁচুতেও এটি জন্মাতে পারে।
নাগেশ্বর শোভাবর্ধক চিরসবুজ গাছ, গাছে প্রচুর পাতা হয়। পাতাগুলো সরু ও বল্লমাকৃতির। পাতার রঙ গাঢ় সবুজ। কচি পাতা দেখে মনে হয় রঙ্গের ছোপ লেগেছে গাছের উপরে। এই গাছের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সারা বছর নতুন নতুন পাতা গজানো। পাতার বিন্যাস ঘনবদ্ধ ফলে নাগেশ্বর গাছ বেশ ছায়া সুনিবিড় হয়।
নাগেশ্বর গাছ প্রায় ১০০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হযতে পারে আর গাছের গুঁড়ির পরিধি প্রায় ২ মিটার হতে পারে। এদের কাণ্ড থেকে আঠা পাওয়া যায়। এই গাছের কাঠ বেশ শক্ত হয়। কাঠের রঙ লাল। বীজ থেকে সহজেই চারা জন্মে ছোট চারা দেখতে হুবুহু ছোট লিচু চারার মত হয়। নাগেশ্বর গাছ খুবি ধীর গতিতে বড় হয়। ফুল আসতে বেশ কয়েকবছর সময় লাগে।
নাগেশ্বরের আদি নিবাস শ্রীলঙ্কা। ১৯৮৬ সালে এটিকে সে দেশের জাতীয় ফুল হিসাবে ঘোষণা করা হয়। শ্রীলঙ্কায় নাগেশ্বর গাছ 'না' বৃক্ষ বলে পরিচিত।
বয়স্ক গাছে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসে ফুল ফোটে। তবে নাগেশ্বর ফুল সবচেয়ে বেশি ফোটে বসন্তকালে। কিছু কিছু গাছে বর্ষায়ও ফুল ফুটতে দেখা যায়। নাগেশ্বর ফুল সুগন্ধিযুক্ত। ফুলগুলি দুধ সাদা ও কিছু কিছু গাছে হালকা গোলাপী রঙ্গের হয়ে থাকে। ফুলের ব্যাস ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি। প্রতিটি ফুলে চারটি বড়বড় কিছুটা কোঁকড়ানো পাপড়ি থাকে।
পাপড়ির রং সাদা ও হালকা গোলাপী হলেও ফুলের মাঝ খানে অসংখ্য হলদে সোনালী রংঙ্গের পুংকেশর থাকে। একেবারে কেন্দ্রে থাকে গর্ভকেশর। অর্থাৎ ফুলগুলো উভয় লিঙ্গিক। পূজার উপকরণে এ ফুল কাজে লাগে। নাগেশ্বরের ফুল ভেষজগুণেও অনন্য।
নাগেশ্বর গাছে সেপ্টেম্বর মাসে ফল হয়। ফলগুলি দেখতে অনেকটা আমাদের দেশি গাবের মত। ফলের আকার ১ থেকে ১.২৫ ইঞ্চি। ১ থেকে ৪টি বীজ হয়। বীজের রঙ ধূসর।
ছবি তোলার স্থান : বোটানিক্যাল গার্ডেন, নমনা পার্ক, চন্দ্রিমা উদ্যান।
তারিখ : ০৬/০৩/২০১৭ ইং, ১৪/০৩/২০১৭ ইং ও ১০/০৪/২০১৭ ইং,
সূত্র : নিজ, উইকি, অন্যান্য।
2 minutes and 35 seconds after:
১/ বাংলার ফুল
বাংলাদের সুপরিচিত ফুলগুলিকে নিয়ে সামান্য তথ্যভিত্তিক কিছু লেখা।
কৃষ্ণচূড়া বা রক্তচূড়া বা গুলমোহর
বাংলার ফুল "পলাশ"
বাংলার ফুল "শাপলা"
লাল শাপলা বা রক্ত কমল
বাংলার ফুল "মান্দার"
"বরুণ ফুল"
"শিউলি"
"নাগলিঙ্গম"
" নীল হুড়হুড়ে"
"রঙ্গন"২/ ফুলের ছবি
আমার ক্যামেরায় তোলা কিছু ফুলের ছবি ভিত্তিক টপিক।
পলাশ ফুটেছে
শিমুল গাছে আগুন
অশোক
কাকড়ল ফুল
নাগলিঙ্গম
ডালিয়া
সাদা জবা
ধুতরা ফুল
ভাট ফুলের সুবাস
কচুরি পানারা ফুল
কাঠগোলাপ
মাধবপুর লেকের শাপলা
১০টি গোলাপ
১০টি ফুলের ছবি
১০টি ফুলের ছবি[পার্ট টু]৩/ গোলাপ নামা
পৃথিবীতে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ প্রাজাতির গোলাপ ফুল রয়েছে। এই সমস্ত প্রজাতির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন উপ-প্রজাতি। সব মিলিয়ে প্রায় ৫৫০টি আলাদা আলাদা গোলাপের অস্তিত্ব রয়েছে পৃথিবী জুড়ে। সেই সব গোলাপের পরিচয় পর্ব নিচের টপিক গুলিতে।
বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ ফুল : পর্ব ০১
বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ ফুল : পর্ব ০২
বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ ফুল : পর্ব ০৩
বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ ফুল : পর্ব ০৪
বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ ফুল : পর্ব ০৫
বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ ফুল : পর্ব ০৬
বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ ফুল : পর্ব ০৭
বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ ফুল : পর্ব ০৮
বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ ফুল : পর্ব ০৯
বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ ফুল : পর্ব ১০
বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ ফুল : পর্ব ১১
বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ ফুল : পর্ব ১২
বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ ফুল : পর্ব ১৩
বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ ফুল : পর্ব ১৪
বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ ফুল : পর্ব ১৫৪/ বিচিত্র ফুল ও উদ্ভিদ
মাছি ফাঁদ উদ্ভিদ
ভুত ফুলের শুভেচ্ছা
মহাবট
ভেন্না বা রেঢ়ী
বিলম্বচলবে......