টপিকঃ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিণত হচ্ছে দেশ
২০১০ সালে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ গঠনের পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৩৫টি এসইজেড কাজ শুরু করেছে সরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় ধাপে ধাপে ১০০টি এসইজেড স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সমগ্র বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক অঞ্চলে গড়ে তুলছে সরকার। সেই আলোকে মাদারীপুর, ফরিদপুর, নোয়াখালী ও কিশোরগঞ্জে বেসরকারি খাতে চারটি নতুন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। উন্নয়নের জন্য বেসরকারি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার। সরকারের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা কৃষি জমিতে যথেচ্ছা শিল্প স্থাপন করছে। অপরিকল্পিত শিল্প-প্রতিষ্ঠান পরিবেশের ক্ষতি করে। অপরিকল্পিত শিল্পায়ন থেকে কৃষিজমি রক্ষা করতে শিল্প স্থাপনা একটি নির্ধারিত অঞ্চলে স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এজন্য বিনিয়োগকারীরা সরকার নির্ধারিত অঞ্চলে শিল্প স্থাপন করছে। এতে যেমন কৃষিজমি রক্ষা পাচ্ছে তেমনি পরিবেশেরও কোন ক্ষতি হচ্ছে না। সরকার বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সেবার ব্যবস্থা করছে সেই সাথে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন প্রণয়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কল্যাণ তহবিল গঠনের ও পরিচালনা খসড়া নীতি, শুল্ক ব্যবস্থা ও বর্তমান বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিনিয়োগকারীদের যথাযথ মূল্যে জমি প্রদানের প্রস্তাব সহ নানা ধরণের সহযোগিতামূলক উদ্যোগ নিচ্ছেন।