তাহলে আমি প্রেসিন্ডেন্ট হইলাম কি বালটা ফেলাইতে?
ওবামার প্রথম (০৮) নির্বাচন প্রচরনায় বড় প্রমিজ গুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল "উপযুক্ত" আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্টদের জন্য "একটা ব্যাবস্থা" করা। প্রমিজটা ছিল সিম্পল এবং ছোট খাট। কারন, তিনি বলেননি সকল আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্টদের গ্রীন-কার্ড দিয়ে দেবেন। বরং "উপযুক্ত" মানে হল যারা আমেরিকায় দীর্ঘ্য দিন যাবৎ আছেন, নিয়মিট টেক্স দেয়, যাদের পরিবার আছে এবং আমেরিকায় জন্মগ্রহন করা সন্তানের পিতা-মাতা। শুধু মাত্র ঐ জাতীয় ক্লাসের আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্টদের ডকুমেন্ট দেয়া হবে (গ্রীন কার্ড না!!) যাতে করে পর্যায় ক্রমে তারা গ্রীন কার্ড পেতে পারেন।
খুবই ছোট্ট প্রমিজ। প্রমিজ যেটা করতে আইনত কোন বাধা নেই, যেটা করলে আখেড়ে আমেরিকার লাভই হত। ওবামার মত একজন তুখড় রাজনৈতিক প্রসিডেন্ট, সত্যি সত্যি তার নিজের মন থেকে নিষ্ঠাবান ভাবে প্রানপন চেষ্টা করেছেন তার সেই ছোট্ট প্রমিজটা রাখতে। অথচ দীর্ঘ্য আট বছর চেষ্টা করেও তিনি সেটা করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত তার এক্সিকিউটিভ পাওয়ার ব্যাবহার করে করা রুল জারী করলেন, সেটাও দুদিন পর সিনেটে ব্লক করে দেয়া হল। আগেই বলেছি, আজকের দিনে প্রসিডেন্টের ক্ষমতা খুবই সীমিত।
তো, ট্রাম্পের মত একটা উজবুক, সংবিধান বহির্ভুত আগডুম বাগডুম প্রমিজ যে রাখতে পারবেনা সেটা বোঝার জন্য পোষ্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। আমার মনে হয়না ট্রম্পের প্রমিজের জন্য লোক তাকে ভোট দিয়েছে। বরং তাকে ভোট দেয়া হয়েছে বর্তমান রাজনৈতিক এবং "আপার ক্লাস সিটিজেন" দের গালে একটা চড় দেয়ার জন্য। ৮ নভেম্বর রাতেই সেই চড়টা দেয়া হয়েছে। ওদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে যে জনগন চাইলে একটা বাদরকেও প্রসিডেন্ট বানাতে পারে। অতএব দেশকে ধর্ষন করতে সাবধান। সন্দেহ নেই আগামী কয়েক বছর এর জন্য চড়া মুল্য দিতে হবে। কিন্তু ওয়াশিংটনের গালে চড় দিতে পারার মু্ল্য হিসেবে পুরোটাই সার্থক।
ট্রাম্পকে নিয়ে এখন কি করা যায় সেটা পরের সমস্যা। কয়েক মাস পর একটা অজুহাতে ট্রাম্পকে ইমপিচ করে ফেলেই ঝামেলা যাবে। 
invarbrass লিখেছেন:ট্রাম্প জেতার পরে ম্যাট তাইবী কি লিখে তা নিয়ে ব্যাপক আগ্রহান্বিত ছিলাম। আইসা পড়ছে... প্রথম প্যারাগ্রাফেই মধ্যম অঙ্গুলী 
ঠিকই আছে! ন্যায্য পাওনা। দে স্যুড বি লক্ড আপ!
ইলেশনের নিউজ কাস্টে সম্ভবত ডনা টেইলর (নাকি অন্য আরকে জন ঠিক খেয়াল নেই), ট্রাম্প জিতে যাবে বুঝতে পারার পর হতবাক হয়ে প্রশ্ন করেন "What do they want?" I was like.... bitch! first of all, we want people like you to realize the fact that regular people want something too. then second, we want all of you to be locked behind bars for lying to our face every morning! Freedom of speech/journalism my foot!!
দ্বিতীয় ইচ্ছেটা হয়তো পুরন হবেনা কিন্তু প্রথম ইচ্ছেটা ইতি মধ্যেই পুরন হয়েছে।
এমন কি নিউজে তখনও মিথ্যার পর মিথ্যা প্রচরনা চালিয়ে যাচ্ছিল, যে ট্রাম্প জিততে থাকার কারনে কিভাবে স্টক মার্কেটে ধস নামা শুরু হয়েছে, কিভাবে মার্কেট ইন্ডেক্স রাতের মধ্যেই ৭০০ পয়েন্ট নেমে গেছে ইত্যাদি ইত্যাদি। (আগের দিন আমি ধরেই নিয়েছিলাম হিলারী জিতবে, কোন কিছু বদলাবেনা, অতএব স্টক বিক্রি করার কারন নেই) পরদিন মোট লস হবে ধরে নিয়ে ঘুমোতে গেলাম, পর দিন... ইন্ডেক্স তো কমেই নি বরং ২৫০ পয়েন্ট বেড়েছে! আমি আবারও তাজ্জব হয়ে গেলাম। ঐ ব্যাটাদের নিউজ কাস্টের জন্য হুজুগে পরে সত্যি একটা ধস নামতে পারত! কি আর বলব।