টপিকঃ ছাত্রলীগ নেতার হামলায় আহত ছাত্রী আশঙ্কাজনক
এর আগে এই ধরনের পৈশাচিক ঘটনায় দেশবাসী বিচার পায়নি, পাবেও না।, "ব্যক্তিগত" ব্যাপার" "সে এখন আর সংগঠনে নাই" "আগেই তার প্রাথমিক সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছিল"..ইত্যাদি নাটক চলছে।
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/a … 8%E0%A6%95
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/a … 4%E0%A6%BE
সিলেটে ছাত্রলীগ নেতার হামলার শিকার ছাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল সোমবার বিকেলে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসের ওপর হামলা চালান শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম। হামলার পর আহত ছাত্রীকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন কর্মীকে আজ মঙ্গলবার স্কয়ার হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেখা যায়। ছবি: জাহিদুল করিমআজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালের দায়িত্বরত এক চিকিৎসক প্রথম আলোকে জানান, ছাত্রীটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। দেড়-দুই ঘণ্টা পর ছাত্রীর শারীরিক অবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, আহত ছাত্রীর সারা শরীরে কোপের দাগ। মাথার আঘাত গুরুতর। দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচারের জন্য তাঁকে ওই কক্ষে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল বিকেলে খাদিজা সিলেট এমসি কলেজের পরীক্ষা হল থেকে বের হওয়ার পথে চাপাতি দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে আহত করেন বদরুল। প্রথমে খাদিজাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এক দফা অস্ত্রোপচার শেষে গতকাল রাতে তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জারির জ্যেষ্ঠ পরামর্শক রেজাউস সাত্তারের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন।
এদিকে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন কর্মীকে স্কয়ার হাসপাতালে ঢুকতে দেখা গেছে।সিলেটের এমসি কলেজে পরীক্ষা দিতে আসা সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তারের ওপর হামলার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন খাদিজার বাবা মাশুক মিয়া। ছবিটি গতকাল সোমবার রাতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তোলা। ছবি: আনিস মাহমুদজানা গেছে, খাদিজাকে কোপানোর পর তাঁর সহপাঠীসহ স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে বদরুলকে ধরে পুলিশে দেন। তাঁর বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায়। তিনি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সহসম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান সৈয়দ হাসানুজ্জামান শ্যামল জানান, বদরুল এ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
এদিকে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল মুন্সি জানান, হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছেন আটক বদরুল। খাদিজার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে টানাপোড়েন থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি হামলা করেছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।