টপিকঃ সীমান্ত ব্যাংক এলাকার বিপথগামী ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে

গত ১ সেপ্টেম্বর প্রথম অ্যাকাউন্ট খুলে তফসিলি ব্যাংক হিসেবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পরিচালিত সীমান্ত ব্যাংকের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেসরকারি ব্যাংকের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে এই ব্যাংকে। সীমান্ত ব্যাংক এলাকার বিপথগামী ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করবে। ‘আলোকিত সীমান্ত’ ও ‘সমৃদ্ধির পথে সীমান্ত’ কর্মসূচির মতো জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে সীমান্তের বিপথগামী মানুষদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে এবং সীমান্ত এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা দেওয়া সম্ভব হবে। ‘ব্যাংকের আয় থেকে বিজিবি সদস্যদের সহজ শর্তে বিভিন্ন প্রকার ঋণ প্রদান, ডিপোজিট পেনশন স্কিম, গৃহ নির্মাণ ঋণ, দুরারোগ্য রোগের জন্য দেশি ও বিদেশি চিকিৎসা সহায়তা, কৃষি ঋণ এবং একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে অর্থায়ন করা হবে। এছাড়া সীমান্তে বসবাসকারী জনসাধারণের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও কাজ করবে এই ব্যাংক। ‘বিজিবি’র মুক্তিযোদ্ধা সদস্য, কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং তাদের পরিবারের কল্যাণে ব্যয় হবে ব্যাংকটির আয়। ঋণের ক্ষেত্রেও তারা বিশেষ সুবিধা পাবেন। থাকবে পেনশন স্কিম, গৃহ নির্মাণ ঋণ ও চিকিৎসা সহায়তা। সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। ব্যাংকে চাকরির ক্ষেত্রে বিজিবির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরা অগ্রাধিকার পাবেন। প্রাথমিকভাবে দেশের কয়েকটি স্থানে ছয়টি শাখার কার্যক্রম শুরু করা হবে। আগামী বছর খোলা হবে আরও ২০টি শাখা। পর্যায়ক্রমে ব্যাংকের পরিধি বাড়ানো হবে। ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেডকে তফসিলি ব্যাংক হিসেবে গত ১০ আগস্ট গেজেট প্রকাশ করে সরকার। সেনাবাহিনী পরিচালিত ট্রাস্ট ব্যাংকের আদলে পরিচালিত সীমান্ত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে পদাধিকারবলে দায়িত্ব পালন করবেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।