টপিকঃ মাষ্টার মাইন্ডদের ধরতেই হবে
সম্প্রতি বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার মাষ্টার মাইন্ডদের ধরে আইনের আওতায় আনতে পারলেই জঙ্গি তৎপরতা অনেকাংশে কমে যাবে। রাজধানীর কল্যাণপুর, গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলাকারীদের মাস্টারমাইন্ড পাঁচ জঙ্গী ভারতে থাকতে পারে বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ভারতকে। উচ্চ শিক্ষিত, বিত্তবান ঘরের সন্তানদের নিয়ে নতুন করে সংগঠিত হওয়া জঙ্গী সংগঠন জামাআ’তুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের ব্লুপ্রিন্ট পাওয়া গেছে। কল্যাণপুরের জঙ্গী আস্তানা থেকে একে-২২ রাইফেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়া বড় মাপের জঙ্গী সহ অন্তত এক ডজন সুইসাইড স্কোয়াডের জঙ্গী একে-২২ রাইফেল, নাইন এমএম পিস্তল ও গ্রেনেড নিয়ে পলাতক থাকার খবর পাওয়া গেছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে যে বিদেশী হত্যা, ধর্মযাজক, পুরোহিত, সেবায়েত, ব্লগার, লেখক, প্রকাশক, পুলিশ ও ভিন্নমতাবলম্বীদের হত্যা ও আহত করা হয়েছে জেএমবির এই উচ্চ শিক্ষিত বিত্তবান ঘরের সন্তানদের সমন্বয়ে গঠিত জেএমবির এই গ্রুপটিই করে যাচ্ছিল। রাজধানীর কল্যাণপুর, গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর শোলাকিয়ায় গ্রেফতারকৃত শাফিউল ও কল্যাণপুরে গ্রেফতারকৃত রিগ্যান-এই দুইজনকে আহত অবস্থায় আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে জেএমবির সুইসাইড স্কোয়াডের এই গ্রুপটির ব্লুপ্রিন্ট পাওয়া গেছে। উচ্চ শিক্ষিত বিত্তবান ঘরের তরুণদের টার্গেট করে তারুণ্যের কারণে ধর্মের উন্মাদনায় মগজ ধোলাইয়ের মাধ্যমে দলে ভিড়িয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে জঙ্গী হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে। ধর্মের যেসব ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তরুণদের জঙ্গীবাদে উদ্বুদ্ধ করা হত এমন কিছু তথ্য-উপাত্ত কল্যাণপুরের জঙ্গী আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাতে, ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে দেশে খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য শহীদ হয়ে বেহেশতে যাওয়ার গাইডলাইন দিয়ে জঙ্গী তৈরি করে আসছে। এদেরকে রুখতেই হবে।