টপিকঃ ফরাসীদের হতাশার সাগরে ডুবিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পর্তুগালের জয়
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাগতিক ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে পর্তুগিজরা। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের একমাত্র গোল করে রোনালদোর দলের জয়ের নায়ক বদলি হিসেবে নামা এদার। ইউরোতে এটাই পর্তুগালের প্রথম শিরোপা। রোববার রাতে প্যারিসের স্তাদে দি ফ্রান্সে দুদল সতর্কতার সঙ্গে শুরু করলেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে দেরি করেনি ফরাসীরা। নবম মিনিটে চমৎকার একটা সুযোগ পেয়েছিল ‘লা ব্লুজ’। কিন্তু গ্রিজম্যানের হেড অসাধারণ দক্ষতায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে তুলে দিয়েছেন পর্তুগালের গোলরক্ষক রুই প্যাত্রিসিও। ১৬ মিনিটে দিমিত্রি পায়েতের ট্যাকলে পায়ে ব্যথা পেয়ে মাঠের বাইরে চলে গিয়ে সমর্থকদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলেন রোনালদো। মিনিট পাঁচেক শুশ্রূষার পর অবশ্য মাঠে ফিরেছিলেন পর্তুগালের সেরা খেলোয়াড়। কিন্তু বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ২৫ মিনিটে আবার ব্যথা পেয়ে স্ট্রেচারে শুয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার। আর ফিরতে পারেননি। বাধ্য হয়ে রোনালদোর জায়গায় রিকার্দো কুয়ারেসমাকে নামিয়েছেন পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। দলের প্রধান সেনাপতির বেদনাদায়ক প্রস্থানে হতচকিত পর্তুগিজদের ওপরে এরপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে ফ্রান্স। ফরাসীদের মুহুর্মুহু আক্রমণে অবশ্য ভেঙে পড়েনি পর্তুগালের ডিফেন্স। নিজেদের পোস্ট অক্ষত রাখতে প্যাত্রিসিওর অবদানও কম নয়। ৩৩ মিনিটে সিসোকোর বুলেটগতির শট ঠেকিয়ে আবারো দলকে রক্ষা করেছেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক। প্রথমার্ধে প্রাধান্য বিস্তার করে খেললেও গোলের দেখা পায়নি স্বাগতিকরা। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া এদারের জোরালো শট ফ্রান্সের গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ঢুকে গেছে জালে। বাকি সময়ে গোলটা ধরে রেখে ইউরোপ জয়ের উৎসবে মেতে উঠেছে পর্তুগাল। ফরাসীদের হতাশার সাগরে ডুবিয়ে পর্তুগাল এখন ইউরোপ জয়ের উল্লাসে মত্ত।