টপিকঃ নটরডেম-কদমতলী ফ্লাইওভার হচ্ছে শীঘ্রই
উড়াল সেতুর সঙ্গে রাজধানীবাসীর পরিচয় মহাখালী ও খিলগাঁও ফ্লাইওভারের মাধ্যমে। ১১৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে দেশের প্রথম রেলওভার উড়াল সেতু নির্মাণ করা হয় মহাখালীতে। ৬৬৭ দশমিক ৭৮ মিটার দীর্ঘ এই ফ্লাইওভারটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় ২০০৫ সালে। ঢাকার যানজট সমস্যা নিরসনে বিভিন্নধরনের মতের মধ্যে একটি হল ফ্লাইওভার নির্মাণ। রেলক্রসিং এবং বিভিন্ন মোড়ে যানবাহনকে দীর্ঘ সময় যে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সেটি যানজটের অন্যতম বড় কারণ।রাজধানীর নটরডেম কলেজের সামনে থেকে বাবুবাজার পার হয়ে কদমতলী সার্কেল পর্যন্ত নতুন একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করার জন্য সরকার দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রায় দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ফ্লাইওভার প্রকল্পে বিদ্যমান বাবুবাজার ব্রিজের উপর আধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত হবে এ ফ্লাইওভারটি। ফ্লাইওভার নির্মাণের সময় যাতে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ঠিক থাকে এবং মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওভার নির্মাণের সময়ের মতো ভোগান্তি যেন না হয় সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নির্মাণাধীন মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা মোড় থেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত দুই কিলোমিটার অংশ সাধারণের চলাচলে উম্মুক্ত করা হচ্ছে। আগামী ৩০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অংশের উদ্বোধন করবেন। এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ এ ফ্লাইওভারের মগবাজার থেকে রাজারবাগ ও মালিবাগ আবুল হোটেল পর্যন্ত অংশ সাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। আগামী এপ্রিলের শেষে মেট্রোরেল রুট-৬ প্রকল্পের নির্মাণকাজের সূচনা হবে। সরকার এখন বেশ কিছু ফ্লাইওভার প্রকল্পে হাত দিয়েছে, এবং সবগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে ঢাকার যানজট পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে। আর যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হলে বিশ্বের অন্যতম বসবাস অযোগ্য শহর বলে ঢাকার যে বদনাম তৈরি হয়েছে তা অনেকটা ঘুচবে বলে আশা করা যায়।