টপিকঃ কাজ না থাকলে বসে কাগজ মুড়ান বা প্যাচান.......
সবার জীবনেই পড়াশুনার ফাঁকে কিছু অবসর মুহুর্ত চলে আসে। অথবা পড়াশুনা পর্ব শেষ করে কিছু সময় শুধু নিজের হয়ে থাকে। অনেকেই অবসর কাটাতে কাটাতে এক গেয়েমি চলে আসে তাদের মধ্যে।
আমারও এমন মুহুর্ত বহুবার এসেছে। এখন অবশ্য বসারও টাইম নাই। এখন মনে হয় আর কিছুই করতে পারবো না । যখন অবসর মুহুর্তগুলো হাতে পেয়েছিলাম । চেষ্টা ছিলো যে যাই একটা কিছু করি বা করে দেখাই । কখনো রেসিপি দেখে দেখে বিভিন্ন ধরণের পিঠা, নারকেলের চিড়া, ফুডিং কেক বিভিন্ন সময়ে তৈরী করে সবাইকে দিয়ে বলতাম কেমন হইছে। কেউ যদি বলতো অনেক মজা তখন মনে হতো বানানোটাই বুঝি সার্থক। আবার অনেক সময় ফুল গাছ অথবা বিভিন্ন সব্জির চাষও করেছি। অবশ্য তখন আমি গ্রামে বাস করতাম হয়তো তাই বিভিন্ন ধরণের কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম।
একবার তিন বান্ধবী মিলে ঠিক করলাম কাপড় কিনে সুতার কাজ করে থ্রিপিচ বিক্রি করবো । যেই কথা সেই কাজ। তিন বান্ধবী মিলে কাপড় কিনে হাতের কাজ শুরু করে দিলাম । কিন্তু সে সময় অবসর মুহুর্ত কমই ছিল । দেখা গেছে আমরা তিনজনই অন্য কাজে বিজি হয়ে গেছি। শেষ মেষ লটারী করে তৈরী করা সূতার কাজের জামাগুলো নিজেরাই নিয়ে নিলাম। বিক্রি করা আর হয়ে উঠেনি।
একেক সময় একেক ভুত চাপতো মাথায়। এক সময় কি করলাম । গাছের শুকনা পাতা সংগ্রহ করতে লাগলাম যেমন খেজুর গাছের মাঝে যে গাছগুলো হয় ফার্ণ উদ্ভিদ এর মতো। পাতাগুলো অনেক শুক্ত । সেগুলো শুকালেও মচমচে ছিলো না । সোনালী রঙ করে ঘরের কোণায় কাটি দিয়ে আটকিয়ে বড় মাটির ফুলদানিতে রাখতে শুরু করলাম। বিভিন্ন ধরণের গাছের শুকনা পাতার সমাহারে আমার ঘর হয়ে উঠেছিল উজ্জ্বল। আহ আজ আর নেই সে দিনগুলো।
আবার এক সময় কি করলাম .... সবুজ মাঠে অথবা সব্জির ক্ষেতে আপনার দেখে থাকবেন যে ঘাসের ছোট ছোট ফুল ওগুলো দেখতে কাশফুলের মতই । ওগুলো আফোটা অবস্থাতেই তুলে এনে বিভিন্ন কালার করে ফুলদানিতে রাখতাম। আফোটা ফুলগুলো ধীরে ধীরে ফুঠত কিন্তু কখনো ঝরে পড়তো না। ময়লা না হওয়া পর্যন্ত অনেকদিন রাখা যেতো ফুলদানিতে।
আবার কি করলাম। কাশবন হতে কাশের পাতাগুলো কেটে শুকিয়ে বিভিন্ন ধরণের টুকরি বানিয়ে ঘরে রাখতাম। এগুলো এখন দেখছি মাটির জিনিসের দোকানে পাওয়া যায়।
সূতার কাজ আমি প্রচুর করেছি। ওয়ালমেট যে কত বানিয়েছি। ম্যাচের কাটি দিয়ে ওয়্যালমেট, ফ্রেবিকস এর কাজ , সোনালী সূতা দিয়ে স্মৃতিসেৌধ আরো কত কি। এগুলো এখনো বাড়ির দেয়ালে শুভা পাচ্ছে। সূতা দিয়ে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু সিনারীটি আজো বাড়ির দরজায় লাগানো আছে।
সে সময় কাজই ছিল আমার ঘর গুছানো ফুল গাছ লাগানো আর বিভিন্ন ধরণের সৃজনশীল কাজ। আমি কখনো সময় বৃথা যেতে দেইনি। একটা না একটা কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছি। সেলাই মেশিন কিনে কোশনগুলো বালিশের কভারগুলো আমিই বানাতাম । আসলে এগুলো হচ্ছে শৌখিন কাজ। আসল কথা হচ্ছে মনের ইচ্ছেটাই সব।
সেদিন বিপদে পড়ে বড় ছেলের স্কুলের কারুকাজের জন্য বানালাম দুটি কলমদানি। বোতল কেটে আর ঔষধের প্যাকেট জোড়া লাগিয়ে। অবশ্য তা-সীন বলে দিছে মা এভাবে বানিয়ে দাও।........... ২৫ মার্কের পরীক্ষার জন্য একটু তো কষ্ট করতেই হয় । ছেলের পড়াশুনার জন্য সে বানানোর সময় পায়নি।
নিচের কলমদানি গুলো ছেলের জন্য বানিয়েছিলাম...... কয়েকদিন আগে
কাগজ পেঁচিয়ে বানাতে পারেন ওয়ালমেট/গিফট কার্ড আরো নানান ধরণের শো পিচ। দরকার শুধু ধৈর্য্য আর মনোবল আর ইচ্ছার । এগুলো বানাতে বেশী কিচু লাগবে না যে উপকরণগুলো লাগবে তা হলো.......
১। সময়
২। ইচ্ছে
৩। আগ্রহ
৪। একাকিত্ব
৫। আঠা
৬। হরেক কালারের কাগজ
৭। কাচি
৮। আর্ট পেপার
অনেক সময় আইডিয়া মাথায় আসে না তাতে কি ইন্টারনেট থেকে আইডিয়া চুরিও করতে পারেন। একদিন দেখবেন আইডিয়া অটো চলে আসবে মাথায়......... তখন কি মজা তাইনা!
(ছবিগুলো নেট থেকে সংগৃহীত) এগুলো বের করতে চাইলে ক্রিয়েটিভ পেপার ওয়ার্ক লিখে সার্চ দিলেই অনেক বের হবে।
১।
২।
৩।
৪।
৫।
৬।
৭।
৮।
৯।
১০।
১১।
১২।
১৩।
১৪।
১৫।
১৬।
১৭।
১৮।
১৯।
২০।
২১।
২২।
২৩।
২৪।
২৫।
২৬।
২৭।
২৮।
২৯।
৩০।
৩১।
এই মেঘ এই রোদ্দুর