টপিকঃ নোংরা মাছির জাত ভাইয়েরা।
অনেক দিন কিছু লেখা হয় না। তেমন বিশেষ কিছু লেখার আইডিয়া মাথাতে আপাতত নেই। আমার সর্বশেষ ফেসবুক স্ট্যাটাসটিই এখানে পোস্ট করলাম।
যাদের চোখে এলার্জি আছে কিংবা যারা সচেতনতামূলক এবং কুরূচিপূর্ণ স্ট্যাটাসের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন না তাদের জন্য এই স্ট্যাটাসটি নয়:
এটি আমাদের চার পাশের চিহ্নিত নোংরামি বিষয়ে একটি সুবিশাল স্ট্যাটাস, ধৈর্য্য থাকলে পড়বেন।
আপনাদের কারও কি কখনো মাছির মল ত্যাগ করার দৃশ্য চোখে পড়েছে? আমি দেখেছি মাছি কিভাবে যত্রতত্র সেটা করে থাকে (খুবই বেপরোয়া ভাবে করে আর সেটা খুবই বিছিরি দেখতে)। তাছাড়াও মাছি যেকোন যায়গায় যায় যেকোন ময়লা আবর্জনার উপরে বসে। দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে সেই মাছিটিই আবার আমাদের খাবারের উপরে এসে বসে এবং সেখানে হাঁটাচড়া করে। তাই আমাদের খাবার দাবার কে মাছির ছোঁয়া থেকে সামলে রাখার জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক সকল তথ্য সম্প্রচারেই আমাদের সতর্ক করা হয়।
ধরুন আপনি হেঁটে হেঁটে কোথাও চললেন তখন দেখতে পেলেন যে পথে কোন ইঁদুর কিংবা অন্য কোন প্রাণী মরে পড়ে আছে। সেখানে মাছি থাকবে না সেটা ১২৫% মিথ্যা একটি ধারণা। কারণ কোথাও ইঁদুর মরেছে তো মাছি আলোর গতিকে যদিও হার মানাতে পারে না তার পরেও তার মোটামুটি কাছাকাছি গতিতে হলেও সে মরা ইঁদুরের কাছে গিয়ে পৌছবে। হউক সেটা একা কিংবা দলবল নিয়ে সে যে সেখানে যাবেই সেটা একেবারে নিশ্চিত। মরা ইঁদুরের যায়গায় মানুষ অথবা অন্য কোন প্রাণির পায়খানা কিংবা বমিও থাকতে পারে।
সুতরাং আপনি ঠিক কী কারণে এই সচেতনতামূলক স্ট্যাটাসটি পড়ছেন, সেটা তো বুঝতেই পারছেন। মাছি যে কতটা অস্বাস্থ্যকর আর আমাদের জন্য কতটা ভয়ানক সেটার উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা কি আপনার আরও চাই.....? (চাইলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজেই গবেষণা করে নিবেন)
ঘরের বাহিরে থেকে খাবার গ্রহণ করা (হউক সেটা ঘরে বানানো কিংবা ফুটপাথ থেকে কিনে আনা) রোগাক্রান্ত হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান একটি কারণ। কী? এ বিষয়ে কী আপনাদের আর কোন সন্দেহ আছে? থাকলে বলেন, ভবিষ্যতে এরকমের আরও দু'একটি স্ট্যাটাস লিখবো শুধুমাত্র আপনার কিংবা আপনাদের জন্য।
এবারে আপনাদের জন্য ছোট্ট একটি মাছি বিরোধী টিপস:
মাছি ভিনেগার সহ্য করতে পারে না। যেখানে ভিনেগারের ঝাঝ সে আচ করতে পারে সেখান থেকে তার হাতের অনুপাতে কয়েক হাজার হাত দূরে সে অবস্থান নিবে আর তার পরে তার টার্গেট টা যত লোভনীয়ই হউক সে কোন অবস্থাতেই তার কাছে আর ভিরবেও না। তাই খাবার দাবার তৈরি হয় কিংবা খাওয়া হয় এমন কোন যায়গায় যেমন ডাইনিং টেবিল কিংবা রান্নাঘরের কিছু কিছু স্থানে ভিনেগার ছিটিয়ে রাখতে পারেন এবং সেই সাথে একটি ছোট্ট পেয়ালাতে করেও কিছুটা ভিনেগার মুক্তভাবে বরং সেটা না ঢেকে কোথাও রেখে দিতে পারেন (কিন্তু ৬/৭ দিন পরে আবার এই ল্যাইসেন্স নবায়নযোগ্য)। মানে প্রয়োজনে কিছু দিন পর পর এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারেন।
সব শেষে আপনাদের কে জানাচ্ছি আমার স্ট্যাটাস ভাবনা টি কোথা থেকে এলো সেটি:
মাছি যে একটি নোংরা প্রাণী সেটা আপনাদের আমি না বললেও আপনারা সেটি জানতেন। কিন্তু এই নোংরা মাছির সাথে এনালোজিক্যালি মিলে যাওয়া আরও কিছু নোংরার দল কে আমি দেখতে পাই। তারা হলো ঐ সকল কীট যারা যত্রতত্র মাছির ন্যায় মল ত্যাগ করে, তাও কোনরূপ দিধা ব্যতিরেকেই সেটি করে। কেউ দেখলো কি দেখলো না বা শুনলো কি শুনলো না সেটার কোন পরোয়া তারা করতে জানে না কিংবা সেটা ভাবতে তারা শিখেও নি কোন দিন। তারা ঐ মাছির ন্যায় সুস্থ্য পরিবেশকে গিয়ে অসুস্থ্য বানিয়ে ছাড়ে।
আমি ঠিক কাদের কথা ভাবছি বুঝতে চাচ্ছেন তো? তাহলে শুনুন ওনারা হলেন সেই সকল নর্দমার কীট যারা যেখানে সেখানে অকথ্য ভাষায় মানুষ কে গালমন্দ করে, অনৈতিক কাজ, আপত্তিকর কথাবার্তা, ছবি, অঙ্গভঙ্গি, ইভটিজিং, যৌন হয়রানিসহ সার্বিক দৃষ্টি কোণ থেকে যে কোন আপত্তিকর আচরণ ইত্যাদি করা যাদের কাছে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। হউক সেটা রাস্তায় বা ফোনে কিংবা সামাজিকসহ অন্য যে কোন যোগাযোগ মাধ্যমে। যেমন বিশেষ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গের ফেসবুক স্ট্যাটাস, প্রথম-আলোসহ যেকোন অনলাইন পত্রিকা, ইউটিউব ইত্যাদি সাইটের মন্তব্যগুলো প্রায়শই যখন চোখে পড়ে যায় তখন আমরা মুহূর্তের জন্য ভাবি যে এরা প্রাণিকূলের কোন প্রজাতির অন্তর্ভূক্ত। জেনে রাখেন ঐসকল খবিশের দল মাছির চাইতেও নোংরা। সুন্দর ও সুষ্ঠ সমাজ কে এরা এদের চিন্তা ও কাজের দ্বারা কলূষিত করে যাচ্ছে। এদের জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রে সভ্যতার ধ্বংস নেমে আসছে। মাছি যেরূপ আমাদের খাবার কে নষ্ট করে তেমনি ভাবে এরাও আমাদের চারপাশের পরিবেশটা কে নষ্ট করে। আর এরা নিজেরাও যে নষ্ট সেটা তাদের আচরণের দ্বারাই প্রকাশ পেয়ে থাকে।
কাজী আলী নূর
(৪/৫/২০১৫ ইং)
সঠিক পদ্ধতিতে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করুন এবং আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটটিকে সুরক্ষিত রাখুন