টপিকঃ জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল ও নায়িকা হ্যাপির গভীর প্রেম অতঃপর মামলা
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল ইসলাম তো দেখি পুরাই ভিজা বিড়াল। টিভির সামনে এতো লাজুক আর গভীর প্রেম করে বেড়াতেন বাংলাদেশী নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপী এর সাথে। এখন গভীর প্রেম করে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেবার কারণে জেলের ভাত খেতে হতে পারে রুবেলের।
মানবজমিনের রিপোর্ট
ক্রিকেটার রুবেলের বিরুদ্ধে নায়িকার মামলা
জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করেছেন একজন অভিনেত্রী। তার নাম নাজনীন আক্তার হ্যাপী। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯/১ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় রুবেলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই অভিনেত্রী। পুলিশ জানায়, চিত্রনায়িকা হ্যাপী তার অভিযোগে বলেছেন, প্রায় ১০ মাস আগে ক্রিকেটার রুবেলের সঙ্গে তার ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। এরপর ধীরে ধীরে ফেসবুকের বাইরে মোবাইল ফোনে কথা বলতে শুরু করেন। দু’জনে জড়িয়ে পড়েন প্রেমের সম্পর্কে। এক পর্যায়ে রুবেল তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মিরপুর কমার্স কলেজের সামনের একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যান। সেখানে তারা বিভিন্ন সময়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। হ্যাপী তার অভিযোগে বলেন, গত পহেলা ডিসেম্বর থেকে রুবেল তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এ সময় তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন রুবেল অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেম করছেন। পরে তিনি বাধ্য হয়ে মামলা দায়ের করেন। মিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মইনুল ইসলাম বলেন, ক্রিকেটার রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা (নং ৩৭) দায়ের হয়েছে। রোববার মেয়েটির মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে। তাকে তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন সুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ক্রিকেট অপারেশনস্ কমিটির প্রধান বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান বলেন, আমি এ বিষয়ে এখনও কিছু জানি না। আমাকে কেউ জানায়নি। বিষয়টি জানার পর আমি মন্তব্য করতে পারবো। যদি সত্যিই এরকম কিছু হয়ে থাকে তবে তা দুঃখজনক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই চিত্রনায়িকা হ্যাপী মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকেন। চলতি বছর তিনি এইচএসসি পাস করেন। মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘কিছু আশা কিছু ভালবাসা’ চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চিত্রজগতে পা রাখেন তিনি। গত বছরের ২০শে সেপ্টেম্বর ছবিটি মুক্তি পায়। হ্যাপী অভিনীত আরও কয়েকটি চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া, তিনি কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রেরও মডেলিং করেছেন। তার পিতা একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা।
http://mzamin.com/details.php?mzamin=%2 … amp;s=Mw==
নাজনীন আক্তার হ্যাপি।‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’ চলচ্চিত্রের নায়িকা তিনি। কিন্তু তার কিছু আশা এখন ধুলিস্মাত, পেলেন না কিছু ভালবাসাও। তাই, নাম হ্যাপি হলেও তিনি এখন আর হ্যাপি (সুখী) নন। বরং প্রেমের নামে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন হ্যাপি। অভিযোগ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে।
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় হ্যাপির সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘রুবেলের সঙ্গে আমার ৯ মাসের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সে কয়েকবার আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছে। আর এটা হয়েছে মিরপুর কমার্স কলেজের বিপরীতে তার বাসায়।’
হ্যাপি বলেন, ‘কয়েকদিন আগেও সে ডেকে নিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছে। এ সময় আমি তাকে বিয়ের কথা বলি। যা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। বিয়ের কথা বললেই সে নানা অজুহাতে পাশ কাটিয়ে চলে। এখনও বিয়ের বয়স হয়নি। কিছুদিন পড়ে করব। ক্যারিয়ারটা আরেকটু এগিয়ে নেই। তুমি পড়াশোনা শেষ কর। তারপর ধুমধাম করে বিয়েটা হবে। এমন সব গল্প বলে দিন পার করত আর আমাকে ভোগ করত।’
‘৩/৪ দিন আগে আমি তাকে বিয়ের কথা বলি। উত্তরে রুবেল বলে, মিডিয়ার মেয়েরা ভালো না। তাদের চরিত্র খুব খারাপ। তাদের সঙ্গে প্রেম করা যায়, কিন্তু বিয়ে কোনোভাবেই সম্ভব না। সুতরাং আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব না। বিয়ে করবে না তো এতদিন আমার শরীরটা নষ্ট করলে কেন? এ কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেল আমার গায়ে হাত তোলে। সেদিনের পর আর কোনো কথা হয়নি তার সঙ্গে। আমি ভেবেছিলাম রুবেল আমাকে ফোন করবে। কিন্তু না কয়েকদিন ধরে কোনো যোগাযোগ নেই তার সঙ্গে। ফলে এক প্রকার বা্ধ্য হয়েই আমাকে মামলা করতে হলো,’ অভিযোগ করেন নাজনীন আক্তার হ্যাপি।
কে এই নায়িকা হ্যাপি
২০১৩ সালে মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘কিছু আশা কিছু ভালবাসা’ সিনেমার মাধ্যমে হ্যাপির চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। তিনি বর্তমানে কাজ করছেন বদরুল আমিনের ‘রিয়েলম্যান’, মুশফিকুর রহমান গুলজারের ‘লাল সবুজের সুর’, মেজবাহ শিকদারের ‘অন্যরকম’, জামশেদুর রহমানের ‘ছন্দপতন’ চলচ্চিত্রে। এ ছাড়া কয়েকটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন তিনি। হ্যাপির গ্রামের বাড়ি খুলনায়। পরিবারসহ ঢাকার রূপনগর আবাসিক এলাকায় বাস করছেন এখন। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টারে পড়ছেন।এর আগে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর মডেল থানায় হাজির হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন হ্যাপি। যার নম্বর ৩৭। মামলার এজাহারে তিনি বলেন, ক্রিকেটার রুবেল হোসেন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এখন বিয়ের কথা বললে সে টালবাহানা করে। মামলার বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার এসআই এবং এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ রাইজিংবিডিকে জানান, হ্যাপি নামের ওই নায়িকা মামলা করার পরপরই ওপর মহলের নির্দেশে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে তার সুরতহাল পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ রোববার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে নেওয়া হতে পারে তাকে। সেখানে না হলে অন্য কোনো প্রাইভেট হাসপাতালেও এ রিপোর্ট করানো হতে পারে।
- See more at: http://www.risingbd.com/detailsnews.php … K5zdD.dpuf