টপিকঃ হরেক রকম লিলি পর্ব #৩
আমার ভীষণ অদ্ভুত লাগে ক্যালা লিলি দেখতে ।মনে হয় কাগজ মুড়িয়ে বানানো । এই ফুল আমি প্রথম দেখি সিঙ্গাপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে ।
: হলুদ ক্যালা লিলি (গুগল থেকে নেয়া):
এই ফুল নানা রঙের হয় ।সাদা ,বেগুনী , গোলাপি, হলুদ ইত্যাদি ।
: সাদা ক্যালা লিলি
এই ফুলের আদি বাসস্থান দক্ষিণ আফ্রিকা, লেসোথো, সোয়াজিল্যান্ড, মোজাম্বিক, জাম্বিয়া, তাঞ্জানিয়া, কেনিয়া এবং মালায়ী। এরপর অস্ট্রেলিয়া বিশেষ করে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়াতে এর ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটে । এখন অনেক স্থানেই এই ফুল দেখা যায় ।
এরপর আছে টাইগার লিলি । এই ধরনের লিলি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে ।
: হলুদ টাইগার লিলি (গুগল থেকে নেয়া):
: সাদা টাইগার লিলি (গুগল থেকে নেয়া):
টাইগার লিলি আরও অনেক রঙে দেখা যায় । লাল,বেগুনী ,মেরুন আরও মেলা রঙের সমাহার আছে বর্ণিল এই ফুলে। পাপড়ির মাঝে বিন্দুর মত অনেক গুলো ডট আছে বলেই এর নাম টাইগার লিলি।
টাইগার লিলির আবার হাইব্রিড প্রজাতি আছে যার নাম আমেরিকান হাইব্রিড লিলি। নানা রঙের এই ফুলের আকৃতি একটু ভিন্ন।
: আমেরিকান হাইব্রিড লিলি (গুগল থেকে নেয়া):
তবে লিলি ফুলের মাঝে যার নাম সবচেয়ে বেশি শুনেছি তা হল লিলি অফ দ্যা ভ্যালি।এটা আমাদের ছাদে নাই। লিলি অফ দ্যা ভ্যালি এর সুঘ্রাণ এর জন্য বিখ্যাত। অনেক নামি দামি প্রসাধন কোম্পানির ট্যালকম পাউডার এর বোতলে এর নাম আর ছবি দেখা যায় ।
: সাদা লিলি অফ দ্যা ভ্যালী (গুগল থেকে নেয়া):
দেখলে মনে হয় অনেক গুলো ছোট ছোট ঘণ্টা বা বেল কেউ ঝুলিয়ে রেখেছে।
: গোলাপি লিলি অফ দ্যা ভ্যালী (গুগল থেকে নেয়া):
সাদা আর গোলাপি ছাড়াও হালকা হলুদ লিলি অফ দ্যা ভ্যালী দেখা যায় । এই প্রজাতিটি সাধারনত ইউরোপ আর এশিয়ার উত্তরাংশে দেখা যায় ।
লিলি অফ দ্যা ভ্যালি ফুলটি নিয়ে অনেক কিংবদন্তি আর উপকথা প্রচলিত আছে।খ্রিস্টান কিংবদন্তীতে এই ফুলটিকে বলা হয় আওয়ার লেডিস টিয়ারস বা মেরিস টিয়ারস । বলা হয়ে থাকে যিশু খ্রিস্ট কে যখন ক্রুশ বিদ্ধ করা হয় তখন মেরি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন আর সেই অশ্রু বিন্দু যেখানে পড়েছে সেখানেই জন্ম নিয়েছে এই ফুল।
আরেক উপকথা অনুযায়ী এই ফুলের নাম ইভস টিয়ারস। স্বর্গ হতে বিতাড়িত হবার সময় ইভ এর কান্নায় জন্ম হয়েছে এই ফুলের। আবার অনেকে বলে সেন্ট লিওনারদ অফ নব্লাক যখন ড্রাগন এর সাথে যুদ্ধ করছিল তখন যে রক্তপাত হয়েছিল সেখান থেকেই উৎপত্তি এই ফুলের।
নেরিন লিলি অনেক খানি স্পাইডার লিলির মত হলেও একটু পার্থক্য আছে। মনোমুগ্ধকর রঙ আর থোকায় থোকায় ফুটে থাকা এই ফুল দেখতে দারুন ।হরেক রঙের হয় এই ফুল।লাল, গোলাপি , বেগুনী ,কমলা,সাদা আরও কত শত রঙ।এই লিলি গ্রাঞ্জি লিলি ,জারসি লিলি ইত্যাদি নামেও পরিচিত।
: নেরিন লিলি (গুগল থেকে নেয়া):
সিসিলিয়ান হানি লিলি ফুলটা দেখতে অসাধারণ । কয়েক রঙের মিশ্রন একে করেছে বৈচিত্র্যময় ।
: সিসিলিয়ান হানি লিলি (বন্ধুর কাছ থেকে নেয়া):
পেরুভিয়ান লিলিও থোকায় থোকায় ফোটে । সাধারণত গোলাপি রঙের হয় এই ফুল।
: পেরুভিয়ান লিলি (বন্ধুর কাছ থেকে নেয়া):
গোলাপি পাপড়ির মাঝে হলুদের ছোঁয়া । মনে হয় যেন রংতুলিতে আঁকা ছবি।
এরপর আছে গ্লোরিওসা লিলি। এই লিলি ট্রপিকাল দেশ গুলোতে বেশি দেখা যায় ।
: গ্লোরিওসা লিলি:
সিঙ্গাপুর থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশে প্রচুর জন্মে এই লিলি।
সবশেষে বলি ওয়াটার লিলি বা শাপলার কথা । আমাদের জাতীয় ফুল ।বাংলাদেশের নদী নালা খালবিলে হামেশাই দেখা যায় এই ফুল ।
: আমাদের চিরচেনা জাতীয় ফুল শাপলা বা ওয়াটার লিলি (গুগল থেকে নেয়া):
সাদা ছাড়াও গোলাপি আর বেগুনী রঙে পাওয়া যায় শাপলা বা ওয়াটার লিলি ।
এছাড়া আরও অনেক রকম এবং রঙের লিলি বিভিন্ন মহাদেশে দেখা যায় । উদ্যানবিদরা আরও অনেক রকম হাইব্রিড লিলি চাষ করে চলেছেন।