আপনি যদি বলতেন আমি আমার একটা হাতকে কেটে যদি পিঠের জয়েন্ট থেকে বিচ্ছিন্ন করি তবে সেটা আমার স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর? (যদিও উত্তরটা আপনার নিজেরই জানা)
তাহলে আমি উত্তর দিতাম আপনি আপনার একটি হাত কেটেই ফেলেন। কিভাবে কাটবেন? সেটাও আমাকেই যদি বলে দিতে হয় তাহলে আমি বলব ছুরি, চাপাতি, খুর, বটি দা, বলাকা ব্ল্যাড এগুলোর থেকে যেটিকে ব্যবহার করলে যুক্তিযুক্ত মনে হবে আপনার, আপনি সেটি দিয়েই কাটবেন।
মানুষ হয়ে মৃত মানুষের দেহাংশ খাওয়া, পশুপাখির মলমূত্র খাওয়ার মত বিরল ঘটনা পৃথিবীতে যে ঘটেনা তা না। হয়ত সেটি অহরহ ঘটতে দেখা যায় না। তবে মানুষ হয়ে মানুষের পায়খানা খেতে কাউকে যদি দেখেন (এক বার ভাবুন)। সে যেনে শুনে বর্জ্য ভক্ষন করছে। তার পরেও কি সেই বর্জ্য বা মলমূত্রের ভক্ষণকারীকে আপনার অনুসরণ করতে মনে চাইবে? যে শূকর মলমূত্র/পায়খানা/বর্জ্যসহ যাবতীয় নোংরা জিনিস আহার করে বাচে সেটি খেলে সেই সেই পায়খানা ও আবর্জনার উপাদান আপনার পেটেও কি যাচ্ছে না তাহলে?
জীবনে যতবার শূকর/শূয়োর যেটিই বলেননা কেন এই প্রাণীকে দেখেছি ময়লা আবর্জনার ভেতরেই থাকতে দেখেছি। আর আমাদের দেশে এই শূকর সহজলভ্য হবে আপনি যদি একটু কষ্ট করে কোন মেথর পট্টিতে যান তাহলে। সেখানে গিয়ে দেখবেন তাদের আশপাশের নোংরা পরিবেশে মলমূত্রতে পরে গড়াগড়ি খাচ্ছে মেথরদের চাষকরা শূকর। আর ইচ্ছেমত শূকরগুলো প্রাণীজ বর্জ্য খেয়ে বেড়াচ্ছে।
আরও একটি এমন প্রাণী আছে এই জগতে যেটি আবার আরও বেশি কমন আর আরও বেশি পপুলার এবং অতি সহজলভ্য। ইসলামে সেটির মাংস খাওয়াকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর এটি আর কিছুই না পক্ষিকুলের চিরদোষমন কাক বা কাওয়া। মানে কালা কাওয়া। তারও অতি প্রিয় খাদ্য হচ্ছে নোংরা আবর্জনা ও বর্জ্য পদার্থ। সামুতে কেউ হয়ত কাক খেয়ে তার পরে স্বাধের বিবরণ পুষ্টায় নাই। তাই আপনার প্রথম হবার সুযোগটা এখনও আছে। ইচ্ছে হলে ট্রাই করে দেখতে পারেন।
এবার আবারও যাই শুরুর দিকে আপনি স্বাস্থ্যের ক্ষতি চাননা নাকি ধার্মের অস্তিত্ব রক্ষা হউক সেটি চাননা তা আপনার লেখার মর্মতেই ফুটে উঠেছে। তাই বলছি সময়কে আপনার জীবনের কল্যাণমুখী কাজে ব্যয় করুন। সময়টা আপনার আমার সবার জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং সীমিত সম্পদ যেটি মহান স্রষ্টার একটি অন্যতম নিয়ামাত। আর সেটি করতে ব্যর্থ হলে বা করতে না চাইলে সেটি ভিন্ন কথা।
শূকর দুনিয়ার অনেক হালাল ও পাক ছাফ খাবারগুলোকে রেখে নোংরা বর্জ্য নিয়েই পড়ে থাকে। আপনি অন্তত আপনার স্বাধের প্রাণীটিকে অনুসরণ কইরেন না। শূকর এমনটি করে কারণ এই প্রাণীটি অভিশপ্ত প্রাণী আর এটির কণ্ঠস্বর শুনলেও আপনি বুঝতে পারবেন যে এটি অন্য সব প্রাণীর থেকে কতটা আলাদা। কাওয়ার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রোযোজ্য (অন্য পাখির থেকে ভিন্ন)। তাই এগুলো খাওয়া হারাম করা হয়েছে।
আর এমনিতে শূকরের মাংস খেলে আপনি এক দিক দিয়ে একেবারে সেইফ। কারণ স্বাস্থের ঝুকি মোটেও নেই। তাই প্রয়োজন নেই কোন মোবাইল কোর্টেরও। কারণ আপনাকে মাংস ব্যবসায়ী শূকরের মাংস বলে কুকুরের মাংস খাওয়াবে না কোন দিনই বরং এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা অন্য হালাল প্রাণীর নাম করে কুকুরের মাংস বেচে অসৎ পয়সা আয় করে। তারা পরিণাম সম্পর্কে ভাবে না। কেননা তারা ঈমানদ্বার নয়। তাদের না আছে আল্লাহর প্রতি ভয় না আছে পরকালের শান্তির কামনা।
আমি জানি আমার কথায় আপনার মত লোকেরা যুক্তি খুজে পাবে না বা পেলেও সেটি তাদের দৃষ্টিগোচর হবে না। তাই যার যেটিকে কল্যাণময় বা কল্যাণকর বলে মনে হবে তার উচিৎ সেটিকেই বেছে নেয়া অন্যথায় তা পরিহার করে চলা।
ভাষার অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য আন্তরিকভাবে আমি দুঃখিত।