টপিকঃ পোগামার জুক্স - ০.১
১.
সেদিন পোলাপাইনের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম। তো কথা প্রসঙ্গে এক ছোট ভাই এক স্যারকে নিয়ে বলল
-ভাগ্যিস অমুক স্যারের বাড়ি নোয়াখালি না!
আমরা জানতে চাইলাম কেন! ফাজিলটা বলে কিনা- স্যারের উচ্চারণে সমস্যা আছে। স্যার আমাদের যখন প্রোগামার বলেন সেটা শুনতে “পোগামার” এর মত লাগে! তার উপর যদি আবার স্যারের বাড়ি নোয়াখালি হইত তাইলে তো...
শুনে তো আমাদের হাসতে হাসতে গড়াগড়ি যাওয়ার মত অবস্থা!
২.
পলাশদা তখনো কেউকেটা গোছের তেমন কিছু হয়ে ওঠেননি। তো তিনি গেছেন ম্যানেজার হওয়ার জন্য কোর্স করতে। প্রথমদিন স্যার ক্লাসে ঢুকেই প্রশ্ন করলেন।
-ধর তুমি একটা বড় সফটওয়্যার কোম্পানীতে কাজ কর। কোন একটা বিজনেস ট্রিপে যাবার সময় যখন তুমি প্লেনে উঠলে তখন দেখলে একটা নোটিশে বলা আছে যে ওই প্লেনে ব্যাবহৃত হচ্ছে এমন একটি এভিওনিক্স(বিমানের যন্ত্রাংশ নিয়ন্ত্রণ করার সফটওয়্যার) সফটওয়্যারের বেটা ভার্শন যেটা কিনা তোমারই টিম ডেভেলপ করেছে। তখন কে কে প্লেন থেকে নেমে যাবে?
পলাশদা বাদে সবাই হাত তুলল। তখন স্যার পলাশদাকে জিজ্ঞেস করলেন
-তুমি কেন নামবে না?
-স্যার, আমার টিম যদি ঐ সফটওয়্যার ডেভেলপ করে তাহলে তো প্লেন মাটি থেকে আকাশেই উঠবেনা। ক্র্যাশ করা তো অনেক দূরের কথা!
লেও ঠ্যালা!
৩.
জেলাল ভাই বারান্দায় লুকিয়ে লুকিয়ে সিগারেট খাচ্ছিলেন। কিন্তু ভাবী ঠিক ধরে ফেললেন। আচ্ছামত বকুনী দিয়ে যখন দেখলেন জেলাল ভাই কিছুই বলছে না তখন ভাবী বললেন
-আচ্ছা তুমি কি সিগারেটের প্যাকেটের গায়ের ওয়ার্নিং দেখনি? এসব ছাইপাশ খেয়ে যে তুমি মরে যেতে পার এটা জাননা?
জেলাল ভাই তখন বললেন
-দেখ আমি কিন্তু একজন প্রোগ্রামার!
-তো কি হয়েছে? ভাবী মুখ ঝামটা দিলেন।
-আমরা শুধু এরর নিয়ে মাথা ঘামায়, ওয়ার্নিং নিয়ে না! জেলাল ভাইয়ের সরল উক্তি!
৪.
ব্রাসুদার জাপানী কন্যাদের প্রতি দূর্বলতার কথা তো এক ব্রাসু ভাবী বাদে সবাই জানে। তো জাপানে থাকাকালীন হয়েছে কি ব্রাসুদা একদিন এক ইউনিভার্সিটিতে জাভার উপরে নেয়া একটি ক্র্যাশ কোর্সে এটেন্ড করলেন। পাশের এক জাপানী সুন্দরীকে দেখে ব্রাসুদা নিজেকে ঠিক রাখতে পারছিলেন না। লেকচার শেষ হওয়ার পর ব্রাসুদা যা হওয়ার হবে ভেবে মেয়েটির হাত ধরে ফেললেন । মেয়েটি তখন মুখ ঝামটা দিয়ে পাশের আরেক জাপানী ভদ্রলোককে দেখিয়ে কিচিরমিচির করে আর নিজের হাত দেখিয়ে যা বলল সেটার বাংলা করলে দাঁড়ায়- এইটা প্রাইভেট! বুঝলেন?
-কিন্তু আমি তো দেখলাম আমরা একই ক্লাসে আছি! ব্রাসুদার অব্জেক্ট ওরিয়েন্টেড যুক্তি!
৫.
একটা নতুন সুপার কম্পিটারের প্রদর্শনী হচ্ছে। আয়োজকরা এমনভাবে বিজ্ঞাপন করছেন যাতে বলা হচ্ছে যে সুপার কম্পিঊটারটি সব জানে! তো এক লোক ওই প্রদর্শনীতে গিয়ে সুপার কম্পিঊটারকে জিজ্ঞেস করল- তুমি কি বলতে পারবে আমার বাবা কোথায়?
কম্পিঊটার কিছুক্ষন চুপ থেকে বলল- তোমার বাবা এখন হাজতবাস করছে!
লোকটা তখন আনন্দে প্রায় লাফায়ে উঠে বলল- আমি জানতাম তুমি বলতে পারবা না! আমার বাবা তো দুইবছর আগে মারা গেছে।
তখন সুপার কম্পিউটার বলে উঠল- আরে গাধা, দুই বছর আগে যে মারা গেছে সেতো তোর মায়ের স্বামী ছিল। তোর বাপ এখনো জেলহাজতে!
বি.দ্রঃ লেখাটা শুধুই মজা করার জন্যে লিখেছি, দয়া করে কেউ(পলুদা, ব্রাসুদা, জেলাল দা...প্রমুখ) মাইন্ড খাইবেন না! কোন ফোরামিকের নাম ব্যাবহারে তার অনুমতি নেইনি। সুতরাং কারো যদি আপত্তি থাকে তাহলে অভিযোগ করার আগে দয়া করে গোবা করবেন, নাম চেঞ্জ করে দিব
বাধা ছিল মন কিছু স্বার্থের মায়াজালে...