টপিকঃ প্রিয় খেলোয়ারের জন্মদিনে ভক্তের আকাঙ্খা

আজ-কাল নারী পুরুষ নির্বিশেষে আমরা প্রায় সকলেই খেলা দেখি। এবং এক এক জনের প্রিয় দল এক একটি। আর সেরা খেলোয়ার প্রশ্নে তো পুরো দেশ ছোট ছোট দল বিভক্ত।
যাইহোক এইটা মুল কথা না। মূল কথা হইলো আমরা  ভক্ত হিসেবে প্রিয় খেলোয়ার তথা প্রিয় দেশের সফলতা কামনা করি। তেমনিভাবে প্রিয় দল/খেলোযারের সফলতা বা অকেশনে তাদের উপহার দিতে চাই। এই উপহারের ধরণ আবার এক এক জনের এক এক রকম।

তবে বর্তমানে এই ট্রেডিশনটি দিন দিন শরীরের দিকে ঘুরে যাচ্ছে। বিশেষ করে নারী ভক্তদের ক্ষেত্রে। আবার এইসব খবর আমাদের নিউস পোার্টালগুলো ফলাও করে প্রচার করতেছে।
এইটাতে বেশ কয়েক বছর ধরেই চলতেছিলো যে, পপ স্টার বা নায়িকারা এইসব ঘোষণা দিতেন তাদের প্রিয় দল বা খেলোযারকে উৎসাহিত করার জন্য। আজ সেই প্রচলন ঢুকে গেছে আমাদের দেশের কোমলমতি তরেুণীদের মধ্যেও।
কয়েকদিন আগে বর্তমান ফুটবলের অন্যতম তারকা খেলোযার  “মেসি” এর জন্মদিন ছিলো। ফেসবুকে দেখলাম তার এক নারী সমর্থক তার জন্মদিনের উপহার হিসেবে তার  তার সাথে শারিরিক মিলন অপার করতেছে। হয়তো এই খবর কখনোই মেসির কানে যাবে না। কখনোই সে জানবে না তার সমর্থকের এই ব্যকুল আবেদনের কথা। কিন্তু এইটাকি সুস্হ মানুষিকতা??

আমি নিজেও এর প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী।
তখন পাকিস্তানের অন্যতম সেরা স্টার খেলোয়ার “শোয়েব আকতারের” জয় জয়কার। হয়তো আজ থেকে ৭-৮ বছর আগের কথা। আমরা যে বাড়িতে থাকতাম প্রত্যেকের মধ্যেই ছিলো সুন্দর সম্পর্ক এবং এই সম্পর্ক যেমন ছিল বড়দের মধ্যে ঠিক তেমনি ছিলো ছোটদের মধ্যে। আমাদের পাশের বাসায় আমার সমবয়সি কয়েকজন ছিলো। দু পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত হওয়ার কারনে আমারো ছোটরা প্রায় প্রতিদিন ৪-৬ ঘন্টা এক সাথে কাটাতাম। এর মধ্যে একজন ছিলো মেয়ে সমর্থক। সে আবার শোয়েব আখতারের অন্ধ ভক্ত। তখন একদিন খেলা দেখতেছি এই অবস্হায় ঐ মেয়েটি আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল আমাকে পাকিস্তান নিয়ে যাবা??
আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম(!!!) কেন প্রশ্ন করতেই বলেছিল “শোয়েব আখতারের” সাথে সে দেখা করবে। পারলে শোয়েব আখতারের কাছে থেকে যাবে। আমি বিষয়টা খুব মজা পেয়ে বলেছিলাম “শোয়েবের তো বউ আছে। তোরে লাখবেনা । মাইরা ভাগাইয়া দিবো”। সে বলে মারলেও সে আসবে না। থাকবে। শোয়েবের বাসার কাজের মেয়ে হিসেবে হলেও থাকতে চায়। শোয়েব যেভাবে চায় সেভাবে সে শোয়েবের  সেবা করবে। আমি  তো আরো মজা পাওয়া শুরু করেছিলাম। বললাম “শোয়েব যদি অন্য কিছু চায় তাইলে কি করবি?”
উত্তরে বলেছিল: যা চায় তাই দিবো। আমি তো তারই। সুতরাং দিতে আপত্তি কোথায়”।
তখন যে ৭ কি ৮ এ পড়তো। আজ সে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রি। আজ যদি তাকে প্রশ্ন করা হয় যাবা শোয়েবের কাছে। হয়তো সে নাক ছিটকাবে। কেননা শোয়েবের আজ কোন দাম নেই।

ছিক তেমনি ভাবে আমার  এই  বান্ধবীর মতো বাংলাদেশের প্রায় সব মেয়ে অনুভুতিই তার প্রিয় স্টার (হোক খেলোযার কিংবা মডিল) প্রতি এমনই।
কিন্তু এইটা কি সুস্হ?? এইটাকি আমাদের মানবিক ও চারিত্রিক দুর্বলতার বহিপ্রকাশ নয়?? আমাদের কি কিছুই করার নেই??
এর জন্য দ্বায়ি কে??

***আমি গুছিয়ে লিখতে পারি না। তবুও আজ মেজির জন্মদিনে তার ভক্তের অনুভুতির কথা পড়ে লিখলাম। কষ্ট করে হলেও এই অগোছালো লিখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সেই সাথে পরামর্শ কমনা করতেছি।

সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন দ্যা ডেডলক (২৫-০৬-২০১৪ ১৮:৫০)

Re: প্রিয় খেলোয়ারের জন্মদিনে ভক্তের আকাঙ্খা

Re: প্রিয় খেলোয়ারের জন্মদিনে ভক্তের আকাঙ্খা

Re: প্রিয় খেলোয়ারের জন্মদিনে ভক্তের আকাঙ্খা

টিপসই দিবার চাই....স্বাক্ষর দিতে পারিনা......

Re: প্রিয় খেলোয়ারের জন্মদিনে ভক্তের আকাঙ্খা

লেখাটি LGPL এর অধীনে প্রকাশিত