টপিকঃ বান্দরবান ভ্রমণ – “নীলাচল”
২০১৪ইং সালের ২৫শে জানুয়ারির রাতে “খাগড়াছড়ির পথে” রওনা হয়ে ২৬ তারিখ সকালে পৌছাই খাগড়াছড়িতে।
২৬ তারিখ দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে বের হই খাগড়াছড়ির “আলু-টিলা গুহা”, “রিছাং ঝর্ণা”, “শতায়ূবর্ষী বটবৃক্ষ”, ও “হর্টি কালচার পার্ক” এর “ঝুলন্ত সেতু” দেখতে।
২৭ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি থেকে রাঙ্গামাটির দিকে রওনা হই একটি চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করে। পথে থেমে দেখে নিই “অপরাজিতা বৌদ্ধ বিহার”।
২৭ তারিখ দুপুরের পরে পৌছাই রাঙ্গামাটি। বিকেল আর সন্ধ্যাটা কাটে বোটে করে "কাপ্তাই লেক" দিয়ে “সুভলং ঝর্ণা” ঘুরে।
২৮ তারিখ সকাল থেকে একে-একে দেখে এলাম “ঝুলন্ত সেতু”, “রাজবাড়ি” ও “রাজবন বিহার”। দুপুরের পরে বাসে করে রওনা হয়ে যাই রাঙ্গামাটি থেকে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে। রাতটা কাটে বান্দরবনের “হোটেল ফোরস্টারে”।
২৯ তারিখ সকালে একটি চান্দের গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে চলে যাই “নীলগিরিতে”। নীলগিরিতে অনেকটা সময় কাটিয়ে ফেরার পথে “চিম্বুক” পাহাড় চূড়া আর “শৈলপ্রপাতের” শীতল জলের ছোঁয়ায় কিছুটা সময় পার করে ফিরে আসি শহরে।
২৯ জানুয়ারির বিকেলটা কাটাবো নীলাচলে। নীলাচলের চূড়ায় দাঁড়িয়ে দেখবো সূর্যাস্ত। বান্দরবান শহর থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটারের মত। শহরের কাছের সবচেয়ে উঁচু পাহার এটি, এর উচ্চতা প্রায় দেড় হাজার ফুটের মত।
একটু দেরি করেই খেতে হল দুপুরের খাবার সেই পরিচিত রেস্টুরেন্টে। বিকেলে শহরের ট্রাফিক মোড়ের কাছ থেকে একটা মাহেদ্রার রিজার্ভ নিলাম আমরা নীলাচলের জন্য আপ-ডাউন ভাড়া ৫০০ টাকা নিয়েছিলো মনে হয়। নীলাচলে গেলে সব সময়ই গাড়ি আপ-ডাউন হিসেবেই ভাড়া নিতে হবে। নইলে ফেরার সময় নীলাচলে কিছুই পাওয়া যায় না। এর আগেও গিয়েছি এখানে, তাই চেনা রাস্তায় আবার যেতে ভালোই লাগছে।
{সামনের মোড় থেকে নীলাচলের চূড়া}
বেশ কয়েকটা ভিউ পয়েন্ট আছে এখানেও। দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের ভিউ পয়েন্টে দাঁড়ালে দেখা যায় সূর্যাস্তের সময় মেঘেদের সাথে আলোর লুকোচুরি খেলা।
পূর্ব-দক্ষিণ দিকে গেলে দেখা যাবে দূরের থানচি রোড চিক সুরত মতো বিছিয়ে আছে পাহারের বাকে-বাকে।
{ছোট-বড় পাহার চার ধারে, এরই মাঝে একে-বেকে চলে গেছে পাহাড়ি পথ "বান্দরবান-থানচি" রোড}
চার পাশেই ছড়িয়ে আছে ছোট-বড় উঁচু-নিচু পাহার সারি। কখনো মেঘ আবার কখনো ধোঁয়াশা খেলা করছে পাহারদের সাথে। বর্ষায় মেঘের লেখা আর মনোহর। এখানে আছে অনেকগুলি বসার যায়গা, প্রতিটিই একটি আরেকটি থেকে আলাদা ধরনের।
বিলাকের পর থেকেই সূর্য পাটে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সোনালী রোদ বিছিয়ে থাকে চার ধারে। সূর্য অস্ত যাওয়ার পরেও তার আলোর ছটা খেলা করে মেঘের মাঝে। এই সব দেখতে দেখতে কখন যে সময় কেটে যাবে টেরও পাওয়া যায় না। সূর্য অস্ত গিয়েছে, সারা দিনের দৌড়-ঝাপ শেষে আমরাও এখন ফিরবো হোটেলে। আগামী পর্বে দেখা হবে বান্দরবানের অন্য স্পটে, আজ দেখুন নীলাচলের কিছু ছবি।
{দূরে পাহাড়ি গ্রাম}
{ইস্রাফীল+শম্পা}
{দস্যু পরিবার}
{সাইয়ারা দাঁড়িয়ে আছে বিকেলের কনে-দেখা হলদে রোদে}
{দূরের এমন একটা বাড়িতে রাত কাটানোর মজাই হবে আলাদা}
{সাইয়ারা ও বুসরা}
{দস্যু পরিবার}
{স্বপন নাকি সূর্য নিবে মাথায়}
{শেষ বিকেলের আড্ডা}
পূর্বের পর্বগুলি -
“খাগড়াছড়ির পথে”।
“খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – প্রথম পর্ব”।
“খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – আলু-টিলা গুহা”।
“খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – রিছাং ঝর্ণা”।
“খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – শতবর্ষী বটবৃক্ষ”।
“খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – ঝুলন্ত সেতু”।
“খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – অপরাজিতা বৌদ্ধ বিহার”।
“রাঙ্গামাটি ভ্রমণ – সুভলং ঝর্ণা ও কাপ্তাই হ্রদে নৌবিহার”।
“রাঙ্গামাটি ভ্রমণ – ঝুলন্ত সেতু, রাজবাড়ি ও রাজবন বিহার”।
“বান্দরবান ভ্রমণ – নীলগিরি”।
“বান্দরবান ভ্রমণ – শৈলপ্রপাত”।
“বান্দরবান ভ্রমণ – নীলাচল”।