টপিকঃ ইস্পিশাল মালাই চা!
রাস্তার ধারে বসে মালাই চা খেয়ে যে মজাআআআআআআ!!
সেটা ঘরের মালাই চায়ের মধ্যে নাই! উহু!! একদম নাই!
কাআআ-রওও-নন হইলোওওওওওওও রাস্তার ধারে যেনতেন পানি; ধুলা-বালি মিক্সড থাকে বলে সেটার টেইস্ট একটু আলাদাই হয় আর ঘরে এর কিছু থাকে না বলে সেটার টেইস্টও একটু আলাদাই হয়!
আচ্ছা আচ্ছা আর ঘ্যান ঘ্যান না করে রেসেপি দিয়ে দেই। নিজেরা নিজেরা বানায় খেয়ে ফেলেন! মনে হয় না খুব বেশি পার্থক্য করতে পারবেন!
ঠিকঠাক মত যদি করতে পারেন! আর একটা মাটির পেয়ালা জোগার করে তাতে খেতে পারলে খুশির চোটে স্বাদ দ্বিগুণ এমনিতেই হয়ে যাবে
চা বানানোর উপকরণঃ
(কয়েক জনের জন্য)
১) দুধ- ৩ কাপ
২) চা পাতা- ৪ টেবিল চামচ কিংবা ৪টা টি ব্যাগ
৩) চিনি- স্বাদমত
৪) ডিমের কুসুম- ১টি কুসুমের অর্ধেক/
৫) বাটার বিস্কুট - গুড়া
৬) এলাচ (ইচ্ছা)- ১ টি
৭) জাফরানের দানা (ইচ্ছা)- এক চিমটি
৮) দুধের সর বা মালাই- ইচ্ছামত
নোটঃ
#এলাচ আর জাফরানদানা ঐচ্ছিক হলেও ব্যবহার করে দেখতে পারেন! অন্যরকম স্বাদ পাবেন।#যারা ডিমের কুসুম দিতে চান না, তারা ভালো কোনও বাটার বিস্কুটের গুঁড়া ব্যবহার করবেন। বিস্কুট যেন একদম টাটকা হয়।
প্রনালীঃ
১) দুধের সাথে ডিমের কুসুম বা বিস্কুটের গুঁড়া ভালো করে মিশিয়ে দিন। তারপর চুলায় বসিয়ে জ্বাল দিন।
২) দুধ যেন উপচে না পড়ে। দুধ ফুটে উঠলে এলাচ দানা আর জাফরান ছড়িয়ে দিবেন ।
৩) এবার চা পাতা দিয়ে জ্বাল দিতে থাকেন। জাফরান দানার কারণে সুন্দর একটা গাড় কমলা- বাদামী রঙ আসবে। চা যত কড়া খেতে চান তত বেশি সময় জ্বাল দিবেন।
৪) চা ঢালার আগেই প্রতিটি কাপে অল্প অল্প করে মালাই দিয়ে দিন। এবার চা ঢালুন। তবে একবারে দিয়ে দিবেন না। এতে চায়ের কাপে মালাইয়ের ফেনা উঠবে না! ফেনা তুলবার পদ্ধতি নির্ভর করবে আপনার ঢালবার কৌশলের উপরে।
নোটঃ
#অনেকেই ভাবেন যে চায় ঢালার পর মালাই ছড়িয়ে দেয়া উচিত। এতে মালাইয়ের স্বাদ আর থাকে না!#চা ঢালবার কৌশলঃ
ছাঁকনিটা একটু ওপরে ধরুন, তারপর সরু ধারায় চা ঢালুন। সরু ধারায় চা গিয়ে যখন কাপের মালাইয়ের ওপরে পড়বে, আস্তে আস্তে কাপ মালাইয়ের ফেনা চায়ের সাথে সাথে উঠে আসবে! ঠিক হোটেলের মতই!!#এলাচ আর জাফরান বাদ দিলে নরমাল মালাই চা হবে!
নেট থেকে নেয়া!
এইবার, ঝটপট বানিয়ের গরম গরম এককাপ হাতে নিয়ে সোজা বারান্দায় বা খোলা জানালার পাশে বসে বা দাঁড়িয়ে; বাইরের মনোরম দৃশ্য দেখতে দেখতে আর এক চুমুক করে খেতে খেতে, উপভোগ করুন!