বাপ্পা ভাই, এইটারে চাপ বলে? এটাকে বলে পরামর্শ!
চাপ হত তখন যেমন অং সাং সুচী কে গৃহবন্দী করার কারণে মিয়ানমারের উপর ৮-১০ টা নিষেধাজ্ঞা ছিল, সামরিক সরকার কুল কিনারা না পাইয়া শেষে গণতন্ত্র দিয়েছে। এরকম কয়েকটা দেশ পণ্য রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা জারী করলে, কয়েকটা দেশ জনশক্তি রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করলে, জাতিসংঘ খালি একটা হুমকি দেক শান্তিরক্ষা মিশনে আর্মি নেওয়া বন্ধ করে দেবে, তবে দেখতেন আওয়ামীলীগ লেজ গুটিয়ে চেয়ার ছেড়ে দিত। আসলে আওয়ামী লীগের ভারতের মত শক্তিশালী একটা মিত্র আছে যে সব আন্তর্জাতিক চাপ ঘুড়িয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখে কিন্তু বিএনপি এতকাল রাজনীতি করেও এমন কোন মিত্র তৈরি করতে পারেনি।
অপর দিকে বিএনপির আন্দোলনে জামাত শিবির ছাড়া কিছু দেখা যায় না। মিডিয়া কর্মীদের সামনে দুএকটা ককটেল ফুটানো আর রাস্তায় টায়ার জ্বালানো ছাড়া বিএনপি কর্মীরা তেমন কিছুই করতে পারে নি। অবশ্য এর পেছনে বিএনপি নেতাদের পলায়ন অনেক ভূমিকা রাখে। নেতারাই নাই কর্মী থাকবে কোত্থেকে? অল্প বয়সে ছাত্র রাজনীতির অভিজ্ঞতা থেকে এটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক কোন কর্মী দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে আসে নি। তারা মূলত নেতাদের আশে পাশে থেকে নেতাদের মন জয় করে নিজেরাও নেতা হতে চায়, এই চাটুকারিতা সেই একজন সাধারণ কর্মী থেকে শুরু করে দলীয় প্রধান পর্যন্ত বিদ্যমান। সবাই চাই পজিশন। বিএনপির নেতারাও মাঠে নাই, বিএনপির কর্মীরাও তাই মাঠে নাই, কারণ এখন মাঠে দৌড়লেও কেউ দেখবে না, পজিশন ও পাওয়া যাবে না, এর চেয়ে ঘরে বসে ফেসবুকে দুএকটা স্ট্যাটাস দিলেও যদি নেতার চোখে পরে যায় লাভ হতে পারে কিছু।
এবার আওয়ামীলীগের আন্দোলন, আওয়ামীলীগ দলটা সেই জন্ম লগ্ন থেকেই মাঠে। রাস্তায় শুয়ে মতিয়া চৌধুরী, তোফায়েল, নাসিম ও আসাদুজ্জামান নুরের মত নেতাদেরও আমরা মার খেতে দেখেছি বেশিদিন হয় নি, তাদের কাছে প্রিয়ভাজন হতে তখন কর্মীরাও তাদের সাথে রাস্তায় শুয়ে পরেছে শ্লোগান দিয়েছে। রাস্তা ছাড়ে নি। বলা যেতে পারে বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ, এখন আওয়ামীলীগ যদি এই নির্বাচনেই পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকে তবে অবাক হওয়ার মত কিছু হবে না।
অনিশ্চয়তার পৃথিবীতে অনিশ্চয়তার মাঝে ডুবে আছি।