টপিকঃ বৈথা (বথুয়া) শাক রান্না
রান্না করা শাকের ছবি দিতে পারলাম না। রান্না করে চেটেপুটে খেয়ে ফেলেছি।
ছবি উইকিপিডিয়া থেকে নেয়া
বৈথা শাক বা বথুয়া শাক মূলত শীতকালে পাওয়া যায়। অন্য জায়গায় পাওয়া যায় কিনা জানি না, তবে উত্তরবঙ্গের দিকে পাওয়া যায়। ধানের ক্ষেত, গমের ক্ষেত ইত্যাদি জায়গায় বেশি জন্মে আগাছা হিসেবে। অনেকেই শাকটির নাম জানে না। ইনফ্যাক্ট দিন চারেক আগে আমিও জানতাম না। সকালবেলা বাজারে একজন নিয়ে আসলেন- তখনও শাকে মাটি লেগে আছে, লেগে আছে কুয়াশার পানি। মানে একদম টাটকা। অন্যদের দেখাদেখি আমিও কিনে ফেললাম আধা কেজি। কীভাবে রান্না করতে হয় তাও জেনে নিলাম বিক্রেতার কাছ থেকে। সেই রেসিপি এখন আপনাদের জন্য।
এই শাক রান্না করতে যা যা উপকরণ লাগবে (আন্দাজ ছয় জনের জন্য)-
১. বৈথা শাক - আধা কেজি
২. পেঁয়াজ কুচি - বড় পেঁয়াজ হলে একটা, ছোট হলে দুটো
৩. রসুন - মাঝারি চার কোয়া, কুঁচি কুঁচি করে কাটা
৪. কাঁচামরিচ - চারটা
৫. শুকনা মরিচ - পাঁচটা
৬. কালোজিরা - আধা চা-চামচ
৭. গুড়ো মরিচ - আধা চা-চামচ
৮. হলুদ - আধা চা-চামচ
৯. লবণ - পরিমাণমতো
১০. তেল - এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ
প্রণালী
১. শাক ভালো করে বেছে ধুয়ে ফেলুন। অনেকে শুধু শাকের পাতা রান্না করেন, অনেকে ছোটখাট শাখা-প্রশাখাগুলোও রান্না করেন। আমি শাখাপ্রশাখাসহ রান্না করেছি। এই গাছের সবকিছুই পুষ্টিকর। সুতরাং একেবারে বাধ্য না হলে শাখাপ্রশাখাগুলো না ফেলাই ভালো।
২. প্রেসার কুকারে শাক সিদ্ধ করতে দিন। সেদ্ধ করার সময়ই লবণ পরিমাণমতো দিয়ে দিবেন। শাখাপ্রশাখাসহ রান্না করলে তিনটি সিটি দিবেন, আর শুধু পাতা রান্না করলে দুটো সিটি।
৩. একটি কড়াইয়ে তেল ভালোভাবে গরম করুন। তারপর একে একে পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি, শুকনো মরিচ, কাঁচা মরিচ, কালোজিরা দিয়ে নাড়তে থাকুন। হালকা একটু ঝাল গন্ধ বেরুলে সেদ্ধ করা শাক পানি ঝরিয়ে কড়াইয়ে দিয়ে নাড়তে থাকুন।
৪. ভালোভাবে নাড়া হয়ে গেলে কড়াইটি ঢেকে দিন। রান্না করতে হবে অল্প আঁচে। মিনিট পাঁচেক পর এতে গুড়ো মরিচ ও হলুদ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে দিন।
৫. আঁচ আরেকটু কমিয়ে দশ মিনিট রান্না করুন। আবার ভালোভাবে নেড়ে দিন।
৬. ফাইন্যালি আবার ঢাকনা দিয়ে পাঁচ মিনিট রান্না করুন।
ব্যাস, হয়ে গেল বথুয়া শাক রান্না। খেয়ে দেখুন, দারুণ মজা। শাকটি হালকা তেতো, কিন্তু একটু অতিরিক্ত হলুদ ও মরিচ দেয়ার কারণে আশা করি আর তেতো লাগবে না।