টপিকঃ রেসেপিঃ ফুলকপির পাকোড়া
একটা গল্প বলি,খুব ছোট থাকতে আম্মু শীতের সময় ফুলকপির একটা চপ বানাতো......
তখন থেকেই শীতের সময়টাতে এই খাবারটা আমার খুব প্রিয়।এখনো শীত আসলেই আম্মু বাসায় বানায় এটা দারুন লাগে, তো এবারতো শীত চলে আসলো বাজার ভর্তি ফুলকপি, কি আর করার নেটে ঘেটে ঘুটে বেশ কিছু টিউটোরিয়াল দেখলাম তার মধ্যে এইটা ভালো লাগলো একটা আধুনিক নামো পেলাম পাকোড়া
এক ফাঁকে বন্ধুকে
* ফুলকপি
* মরিচের গুড়া
* হলুদের গুড়া
* বেশন
* জিরা
* লবন
*গোল মরিচ
*ডিম
*তেল
কিনে রাখতে বললাম , ব্যাস রুমে যেয়ে দেখি সব রেডি ।ফ্রেশ হয়েই লেগে পড়লাম মিশনে যার নাম
মিশন অব ফুলকপির পাকোড়া
যেহেতু আমরা মানুষ মাত্র দুইজন সেই পরিমাণ অনুযায়ি ফুলকপি থেকে কয়েকটা ফুল ছাড়িয়ে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম যদিও এরপরে যেহেতু গরম পানি দিয়ে সিদ্ধ করবো তাই না ধুলেও চলে তারপরেও বাজারে ছিলো কতো ময়লা পড়েছে,কতজন হাত দিয়ে ধরেছে তাই ঠান্ডা পানি দিয়ে না ধুলেই না
এরপর সাস্পেন হইলে ভালো হতো কিন্তু আমার এখানে কোন সাস্পেন নাই তাইলে আর কি করার একটা টেম্বা মার্কা পাতিল পাইলাম সেটা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তাতে পানি দিয়ে ফুলগুলো ছেড়ে দিলাম এরপর পানির ভেতরে একচিমটি লবন মিশিয়ে একটা ঘুটা দিয়ে চুলায় চড়িয়ে ৫ মিনিট পানি ফুটার জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম …
তো ! এই ৫ মিনিট কি বসে থাকবো না , তাইলে শুনুন কি করলাম একটা ছোট বাটিতে মরিচের গুড়া (বুঝে শুনে), হলুদের গুড়া (সামান্য), বেশন (হাফ কাপ), জিরা (সামান্য), লবন (পরিমান মত), গোল মরিচ (এক চিমটি), ডিম (একটা), পানি (কত টুকু গাঢ আপনি চান, বুঝে) দিয়ে একটা কাই বানিয়ে ফেললাম
এরই মধ্যে চুলায় দেওয়া ফুলকপি সহ পানি ফুটতে শুরু করল
চুলা থেকে পাতিল নামিয়ে ,ফুলগুলো পানি ঝরিয়ে একটা আলাদা পাত্রে কিছুক্ষন রেখে দিলাম
এরপর ফ্রাইপেন পেলে ভালো হতো না থাকলে কি করার যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে তাই না , কড়াইটা চাপিয়ে দিলাম চুলোয় একটু গরম হবার জন্য
কড়াই গরম হয়ে এলে পরিমাণ মতোন তেল ঢেলে দিলাম , এবং কিছুক্ষন তেলটা গরম করে নিলাম
এরপর ফুলগুলোকে আগে থেকে তৈরি করে রাখা কাই দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিলাম
এরপর এক এক করে ফুলগুলো ছেড়ে দিলাম গরম তেলের মাঝে
মিনিট পাচেক পর ফুলগুলো উল্টিয়ে দিতে হবে
এরপর অনেকের হালকা ভাজা ভালো লাগে , আমার কড় কড়া বা মচমচা ভাজা না হলে ভালো লাগে না তাই একটু লাল লাল করে ভেজে নিলাম আর ব্যাস তৈরি হয়ে গেলো আমার পাকোড়া আমার মতোন করে সাজিয়ে একটা ফটুক তুলে নিলাম
তারপর কি ?
তারপর ! আর কি গপাগপ পেটে ঢুকালাম
বিকালের ঝটপট সহজ নাস্তা হিসাবে বেশ ভালো একটা আইটেম তাছাড়া সাদা ভাত এবং পোলাউয়ের সাথেও এটা খাওয়া যেতে পারে আর হ্যা খেতে খেতে একটা কথা মনে পড়লো একইভাবে আলু এবং পটোল দিয়েও করা যায়…
এইরে ! এইডা কি হইলো
আমিতো গল্প বলতে বলতে পুরো রেসেপিই দিয়ে দিলাম , রেসেপি যখন দিলামই একটা টপিক করে দিলে কেমন হয় ? টপিক দিলেতো একটা হেডিং দিতেই হবে কি দেয় , কি দেয়
……
নতুন শেখা নামটাই দিলে কেমন হয় ফুলকপির পাকোড়া…
টপিকতো হয়ে গেলো…হ্যা ডেডিকেটেড সবাইকে, সব্বাইকে !!
আচ্ছা হাড়ি-পাতিল পরিস্কার করতে করতে আর কড়াই খুন্তি নাড়তে নাড়তে রেসেপির টপিকতো অনেকগুলোই করে ফেললাম তাই না
তাহলে একটা লিস্ট করলে কেমন হয় চলুন একটা লিস্ট করে ফেলি…
রেসেপিঃসবজির কাঠি কাবাব
আসুন খুব সহজে বানাই তিলের নাড়ু
ব্যাচলর রান্নাঘর ,ঝট পট সহজ রান্নাঃরেসেপি বাঁধাকপি ভাজি
রেসেপিঃ পাটিসাপটা পিঠা
রেসেপিঃ ইলিশ পোলাও
আসুন একটু মিষ্টি মুখ করে নি - রেসেপিঃ গোলাব জামুন
আমার রন্ধন মুখর একটি দিন এবং কিছু অখাদ্যের ছবি
এতক্ষন ধরে আমার ঘ্যানর-ঘ্যানর,প্যানর-প্যানর মন দিয়ে ,চোঁখ দিয়ে, ব্রাউজার গুতায়ে , মাউস নাড়ায়ে কষ্ট করে পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।