টপিকঃ জল'স কিচেনঃ চিংড়ি পোকা উইথ আলু!
জল'স কিচেন এ সবাইকে স্বাগতম!
হইসে হইসে লাইন পরে হাসতে হাসতে মুখ চেপে ধরতে হবে না কারো! আমি তো এত ভালা কিছু লিখতে পারিনা, আবাম্বা লিখা পড়ে পড়ে সবাই টায়ার্ড হয়ে যায়! আর সবাই ইয়া লম্বা লম্বা হামি তুলে বলে এত্ত বড় লিখা পড়তে পড়তে চোখ ফুটা হয়ে গেছে!
এখন থেকে আর এত্ত লম্বু লম্বু লিখা পড়তে হবে না কাউকে!
খালি কিচেনে আসবেন আর একটা করে খাবার তুলে সাথে করে নিয়ে যাবেন
এরপরও খাওয়ার কষ্ট থাকলে গলায় দড়ি দিয়া মইরা যাবেন!
তো আজ আমি আপনাদের দেখাবো! কি করে 'চিংড়ি পোকা উইথ আলু' রান্না করা যায়!
তাহলে শুরু করা যাক!
আমাদের যা যা লাগবে!
উপকরণঃ
১। হলুদ গুঁড়া - ১/২ চা চামুচ (প্রয়োজন হলে বেশি নিতে পারেন)
২। মরিচ গুঁড়া - ১/২ চা চামুচ ( ")
৩। ধনে গুঁড়া - ১/২ চাচমুচ (")
৪। গোল মরিচ গুঁড়া -১/২ চামুচ (")
৫। চিংড়ি - বড় হলে ৫-৬ টা
৬। আলু - মাঝারি দুটা/ বড় হলে ১টা/ ছোট হলে ইচ্ছে মত!
৭। ধনিয়া পাতা/ পুদিনা পাতা
৮। কাঁচামরিচ - ২/৩ টা (ইচ্ছা)
৯। পেঁয়াজ - দেশী হলে ৫-৬ টা বা ইচ্ছে হলে বেশি! ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ হলে ২টা।
১০। লবণ - স্বাদ অনুয়ায়ী
১১। তেল
১২। কড়াই
১৩। চুলা
১৪। নাড়ানোর জন্য খন্তি। কাঠে চামচ
তৈরির প্রানালীঃ
প্রথমে কড়াই ভাল করে গরম করে নিতে হবে! তারপর প্রয়োজন মত তেল দিতে হবে! বেশি দেবার দরকার নাই। তেল গরম হয়ে এলে তাতে পেঁয়াজ ছেড়ে দিতে হবে!
টিপসঃ
যদি মনে হয় তেল এর প্রয়োজন আছে তবে আরও একটু তেল দিয়ে দিন! আগুনের আঁচ কমিয়ে দিন!
১।
এরপর আমাদের মশলা কষাতে। এর জন্য কিছুক্ষণ ডুবুডুবু তেলে পেঁয়াজ ভাজতে হবে! ভেজে জয়লা করবেন না। দেখতে সুন্দর মোলায়েম হবে! তখন হলুদ, মরিচ, ধনে, গোলমরিচ গুঁড়া আর লবণ দিয়ে ভাল করে মশলা কষাবো।
টিপসঃ
যত বেশি পেঁয়াজ হবে তত স্বাদ পাওয়া যায়! আর ভাল করে মশলা কষালে পেয়াজের কচকচ ভাবটা থাকে না! এর জন্য কিছু ক্ষন ঢাকনা দিয়ে রেখে দিলে হয়ে যায়; নরম হয়ে আসে!
২।
মশলা কষানো হলে এর মাঝে চিংড়ি ছেড়ে দেই! কিছু ক্ষন নাড়তে থাকি! **
**এইখানে আমরা আলু যদি না দিতে চাই তাহলে চিংড়িগুলো ভাল করে মশলায় মাখিয়ে নিয়ে ঢাকনা দিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর্যন্ত ঢেকে রেখে দিলেই হয়ে যাবে চিংড়ির দোঁ-পেয়াজা!!
৪।
এরপর আলু দিয়ে,মশলা গুলো ভাল করে মাখিয়ে দেই! এরপর একটি ঢাকনা দিয়ে কড়াই ঢেকে দেই! মিনিট পাঁচেক পর এসে একটু নেড়ে আবার ঢেকে দেই! তারপর আবার ঢাকনা দিয়ে রাখব! আলু নরম না হওয়া পর্যন্ত ঢেকে রাখতে হবে। একটু পর পর এসে নেড়ে দিলে আর কড়াইয়ের তলায় লেগে যাবে না!
হয়ে মিনিট ১৫-২০ ভেতরে হয়ে যাবার কথা! নামাবার আগে একটু ধনিয়াপাতা বা পুদিনা পাতা দিয়ে নামিয়ে নেই!
টিপসঃ
আলু যদি পুরানো হয় তবে একটু পানি দিতে পারেন! নরম হওয়ার জন্য তবে বেশি নয়!
আবার একটু মাখা মাখা ঝোল ঝোল করে রাঁধলেও ভাল লাগবে খেতে! একটু ঝাল বাড়িয়ে দিলে স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যাবে!আব্র অনেক সময় মশলা কষতে গিয়ে লবণ এর মাত্রা আমরা বেশি দিয়ে ফেলি বা আন্দাজ অনেক সময় বুঝতে পারি না; তখন সেটা লবণের মাত্রাকে ব্যালেন্স করার জন্য আলু দিয়ে দিলে হয়।
চাইলে কয়েক টুকরা টমেটো দিতে পারেন! একটু টকটক ভাবের জন্য! তবে ইচ্ছা!
তো, আজকের রান্না এই পর্যন্তই। নিজেরা নিজেরা চেষ্টা করে দেখুন! কেমন পারলেন!
আমাকে বলে ল্যাব নাই! উহু । আমি দাওয়াত করে কাউকে খাওয়াতে পারব না!
বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছিঃ
এডু-মডু আর ফোরামের বড় বড় মাথা মোটাদের...... মাথা চিকনরাও আসতেন পারেন, আমি কিছু মনে করব না
একটা "রান্না-বান্না" বিভাগের জন্য অনুরোধ করেছিলাম! কেউ এই পিচ্চি মানুষটার কথায় কান দিল না!
কি সব আকদুম বাকডুম ঘোড়াডুম নির্বাচন-ফির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত সবাই!!
এই দিকেও একটু নজর দিয়েন ভাইয়া-আফু-দাদা-দাদী-চাচা-চাচী-নানা-নানীরা!
ব্যস, আজকের জন্য অনেক হইসে!
এই বার জলের কিচেন এর তালা দেয়া হল! আগামীতে আবারো কোন শর্ট-কাট রেসেপি নিয়ে হাজির হব সবাইকে টাটা!