টপিকঃ ইসসসস অল্পের জন্য নির্বাচনের আগেই জয়লাভ হতে বঞ্চিত হলো আওয়ামীলীগ।
আওয়ামীলীগের এতো তুমুল
জনপ্রিয়তা যে আজকে সকাল পর্যন্ত ১১৬
টি আসনে বিনা প্রতিদ্বিন্দিতায় নির্বাচনের
আগেই প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়ে গেছে। আর মাত্র
৩৫ টা আসনে জিতলেই বিনা প্রতিদ্বিন্দিতায় ১৫১
সিট পেয়ে সরকার গঠন করতে পারতো। নির্বাচন
না হলে রাষ্ট্রের অনেক টাকা বেচে যেতো
প্রধান
বিরোধী দল নেই। মাঠ ফাঁকা। ১২৭ জন
প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
হয়ে গেছেন। দেশের সংসদ নির্বাচনের
ইতিহাসে এটি নতুন নজির। এর আগে ১৯৯৬-এর ১৫
ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচনে এভাবে নির্বাচিত
হয়েছিলেন ৪৮ জন।
বিরোধী দলবিহীন দশম সংসদ নির্বাচনে গতকাল
শুক্রবার ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ
দিন। রাতে সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা যায়, ৩০০
আসনের মধ্যে ১২৭টিতে একক প্রার্থী থাকায় এসব
নির্বাচনী এলাকায় ভোট গ্রহণের দরকার হবে না।
ফলে আওয়ামী লীগের ১১৬, জাতীয় পার্টির ৫,
ওয়ার্কার্স পার্টির ২, জাসদের (ইনু) ৩
এবং জাতীয় পার্টির (জেপি) একজন
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের
নির্দেশে তাঁর দলের অনেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র
প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এই অবস্থার
সৃষ্টি হয়েছে।
রাত ১০টায় নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ হিসাব
অনুযায়ী, ২০৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র
প্রত্যাহার করেছেন। তাঁদের মধ্যে জাতীয় পার্টির
প্রার্থীর সংখ্যা শতাধিক। তবে নির্বাচনে এখন
প্রার্থীর সংখ্যা কত, সেই হিসাব কমিশন
সচিবালয় দিতে পারেনি।
৫ জানুয়ারির
একতরফা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ১৬টি দল
। এগুলো হলো: আওয়ামী লীগ, জাপা, জাতীয়
পার্টি (জেপি), গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি,
জাসদ, তরীকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ মুসলিম
লীগ, গণফ্রন্ট, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)
, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট
বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস,
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ
ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)।
এবারের নির্বাচনে বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র
প্রার্থী মিলিয়ে মোট এক হাজার ১০৭ জন
মনোনয়নপত্র জমা দেন।
বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা ২৬০ জনের
মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। ১৩৮ জন
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের
বিরুদ্ধে কমিশনে আবেদন করেন। কমিশন
শুনানি শেষে ৪২ জনের আবেদন মঞ্জুর করে।