রেজওয়ানুর লিখেছেন:mcctuhin লিখেছেন:আরো লেখার ইচ্ছে আছে, বেশি বড় হয়ে যাচ্ছিল, তাই ক্ষ্যামা দিলাম।
পরেরবার ক্ষ্যামা দেয়ার দরকার নাই
, এমন হলে এক নিঃশ্বাসেই পড়ে শেষ করে ফেলা যাবে। 
সামনে থিসিসের একগাদা কাজ পড়ে আছে, তাই লেখার মুডও চলে আসতেছে আস্তে আস্তে। 
মরুভূমির জলদস্যু লিখেছেন:নানান কারণে আমাকেও আধ ডজন স্কুলে যেতে হয়েছিলো। 
আধ ডজন স্কুল তো জাফর ইকবালের উপন্যাসের নাম থেকে ধার করা, তবে বাস্তবে স্কুলের সংখ্যা আরেকটা বেশি।
তার-ছেড়া-কাউয়া লিখেছেন:আহা! তুহিন নাম্বার ওয়ানের স্মৃতিচারণ চমৎকার লাগলো
বাই দ্যা ওয়ে, আমি একখান স্কুল, একখান কলেজ আর একখান ইউনিতে পড়েছি। এরকম অভিজ্ঞতা চাইলেও আমার পক্ষে পাওয়া আর সম্ভব না 
কল্পনা একখান বস জিনিস, জীবনে যা যা পাই নাই, সবই কল্পনা কইরা নেই, আপনিও ট্রাই মাইরা দেখতে পারেন।
আহমাদ মুজতবা লিখেছেন:অসাধারণ। আপনার লেখনীর হাত ভালো। প্রুফরিডারও মনে হয় ভালই পেয়েছেন 
সবই আল্লাহর দয়া আর আপনাদের দোয়া ভাইজান। 
খাজানার ব্যাপারটা কি আমি যা ভাবতেছি তাই???
আর প্রুফ রিডারের ব্যাপারে কই, বেটার লেট দ্যান নেভার!
Jol Kona লিখেছেন:অনেক অনেক ভাল লাগছে ভাইয়া পড়ে 
সময় নিয়ে আস্তে আস্তে পড়লাম। অনেক দুষ্টু ছিলেন
আমরা সবাই কম বেশি দুষ্টু ছিলাম মনে হয় অই সময় 
সেই পুরানো বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ কি আছে এখনো!? স্কুলের বন্ধুদের মত বন্ধু আসলে হয় না। পরবর্তী সময়ের লাকিলী কয়েক জনকে পাওয়া যায়!
সবার সাথে নাই, অপু নামের ছেলেটাকে আজান দিয়ে খুঁজেছি, পাই নি। ওরা সাভার থেকে কই চলে গেছে, কেউ জানে না। 
শামীম নামের আরেকজন বন্ধু ছিল, ছোটখাট গোলগাল গাট্টুগুট্টু। ওকে পেয়েছিলাম আমার স্টুডেন্ট হিসেবে, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। চিনতে পারে নি। 
দ্যা ডেডলক লিখেছেন:বড় লেখা তাও এক ধাক্কাতে লেখাটি পড়লাম। অসাম অসাধারণ একটি লেখা লিখেছেন। প্রজন্ম ফোরামের বছরের অন্যতম সেরা লেখা এটা। ধন্যবাদ ব্যাক্তি জীবনের ঘটনা শেয়ার করার জন্য।
ছোট ছোট পর্ব করে লেখাগুলো রিলিজ করলে টপিক আরো বেশী হিট পেত বলে আমি মনে করি। কারণ ফোরামের পাঠকেরা বরই অলস টাইপের
।
mcctuhin লিখেছেন:এই ভয়াবহ কথাটা আমি জানতাম না যে মেডিক্যালে প্যান্ট খুলতে হবে।
আমিও শুনেছি। কিন্তু সত্যি সত্যি যে খুলতে হয় তা আগে শিওর ছিলাম না
। মূলত কি জন্য এই পরীক্ষা নেওয়া হয় ?
mcctuhin লিখেছেন:মতান্তরে মির্জাপুর কেন্দ্রীয় কারাগার
। এই কারাগার থেকে বের হয়ে কি আর্মিতে পরীক্ষা দিয়ে ছিলেন ?
mcctuhin লিখেছেন: ব্যাটা, তোরা এই জেলখানায় থাকবি ছয়ডা বচ্ছর, আর আমি থাকুম মাত্র ৭ দিন। খ্যাক খ্যাক!

অফঃ টপিকঃ
আহমাদ মুজতবা লিখেছেন:অসাধারণ। আপনার লেখনীর হাত ভালো। প্রুফরিডারও মনে হয় ভালই পেয়েছেন 
তা আর বলতে
। লেখাতে কোন ভুল চোখে পড়লো না।
আমি তো মনে করে ছিলাম, আমারা বিদেশিনী সুইডিশ ভাবী পাবো
। তাও দেশী ভাবি কে প্রাণ ঢালা অভিনন্দন
। তা আমাদের ভাবী এখন কি সুইডেনে আছে নাকি দেশে আছেন ?
আসলে কোথাও পোস্ট করার জন্য লিখা শুরু করি নাই, এমনিতেই নোটপ্যাড খুলে লেখা শুরু করেছিলাম, অনেক্ষণ লেখার পর মনে হল, অনেক বড় হয়ে গেছে। তাই পোস্ট করে দিলাম।
রেজওয়ানুর লিখেছেন:দ্যা ডেডলক লিখেছেন:...তা আমাদের ভাবী এখন কি সুইডেনে আছে নাকি দেশে আছেন ?
./topic44865.html 
ধন্যবাদ ভাই, এই টপিকে কারো রিপ্লাই দেওয়া হয় নি, ভুলে গেছিলাম। 
গৌতম লিখেছেন:দারুণ লেখা! 
ধন্যবাদ।

faysal_2020 লিখেছেন:প্রজন্মতে এখন আর খুব একটা আসা হয় না। মাঝে মাঝে আসলেও সাইন ইন না করে কিছু লেখা পড়েই চলে যাই, কমেন্ট আর করা হয় না।
এ লেখা পড়ার পর কমেন্ট না করে আর থাকতে পারলাম না। মনে হচ্ছে অনেক অনেক দিন পর মনের মত একটা লেখা পড়লাম। আপনি একটু নিয়মিত লিখেন, দেখবেন প্রজন্মের অনেক সদস্যই নিয়মিত হয়ে গেছেন।
mcctuhin লিখেছেন:তবে জাকারিয়া, অনিন্দ্য, কিংবা রেসিডেন্সিয়ালের ওই মেয়েটা, এরা ভাইভাতেও কুড়াল দিয়া কোপাইতো!
এইটা কেমনে হইলো?

আলোচ্য অংশে "কোপানো" বলতে পরীক্ষায় ভাল করা বোঝানো হয়েছে। 
সমালোচক লিখেছেন:রেসিডেন্সিয়ালে ভর্তি হয়েছিলাম। পড়েছিলাম ২ মাস তারপর টাটা ......
তবে আমার স্কুল বদলের অভিজ্ঞতা খানিক বেশীই হবে। এক ক্লাসেই একাধিক বার বদল সহ ( ১ম টু এসএসসি ) ১১টা স্কুল এবং কলেজ একটাই... তবে ইউনি চারটা ( জাতীয় বিশ্বঃ, চট্টগ্রাম ইউনি, গণ বিশ্বঃ এবং UAP ) বদল করেছি...
তবে ক্যাডেটে থেকেও কেন যেন অনেকেই মিলিটারিতে যায় না বুঝিনা... নিশ্চিত জীবন, লোভনীয় স্যালারী, ক্ষমতা, প্লাস সুন্দরী বউ ( বিশেষ করে এই কারণটাই ঈর্ষনীয় ) মিলিটারিতে জব করে এমন অফিসার এবং সৈনিকরা জাদুমন্ত্রে সুন্দরী বউ পেয়ে যায়, এবং সুন্দরী মেয়েদের বাবারাও মিলিটেরী জামাই পেলে বর্তে যায়... 
আমি ইউএপি তে লেকচারার ছিলাম। ভাগ্যিস আপনার সাথে দেখা হয় নাই। 
আর মিলিটারিতে কেন যায় আর কেন যায় না, সেটা নিয়ে আর কিছু না বললাম। অনেকের মাঝেই আর্মি নিয়ে আজাইরা খাউজানি আছে, তারা ক্যাঁক করে ধরে কাইজ্জা স্টার্ট করে দিবে। শুধু একটা কথাই বলি, মিলিটারি কিংবা মেডিক্যালে গেলে আপনার জীবনের সুখ বলতে কিছু থাকবে না, বিনিময়ে আপনার পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী প্রজন্ম খানিকটা আরাম ভোগ করবে।
বোরহান লিখেছেন:faysal_2020 লিখেছেন:
এইটা কেমনে হইলো?

এই উপমা সম্ভবত "ব্যাপক পারফর্মেন্স" বুঝাইতে ব্যবহৃত হয়েছে।
বোরহান ভাই ঠিক ধরতে পারছেন। এই লেখায় হাউজ লীডার রাফি ভাই নামে যার কথা বলেছি, তার আগের ব্যাচে হাউজ লিডার যিনি ছিলেন, উনার নামও বোরহান ভাই। 
জামিল মণ্ডল লিখেছেন:কি মন্তব্য করবো বুঝতে পারছি না ! অতি অসাধারণ একটা লেখা ! আপনার লেখনীর ভক্ত হয়ে গেলাম ।
মন্তব্য কিন্তু করেই ফেলেছেন অলরেডি! ধন্যবাদ।
মোঃ বাবু লিখেছেন:দারুণ লেখেছেন! 
ধন্যবাদ।
কোরাকোরা লিখেছেন:আহা! আমার স্কুলজীবনের তেমন কোন উল্লেখযোগ্য স্মৃতি মনে পরে না।
বন্ধু-বান্ধবরাও হারিয়ে গিয়েছে, কারও সাথে দেখা-সাক্ষাত নেই। 
লেখা ভাল হয়েছে। 
mcctuhin লিখেছেন:শেষ পর্যন্ত আম্মা আমাকে বোঝালেন, ঠিক আছে কোচিং করে পরীক্ষাটা দাও, ক্যাডেটে যেতে হবে না।
আমাকেও এই ফাদে ফেলে(পরিক্ষা দেও, ভর্তি হওয়া লাগবে না) আমার অপছন্দের স্কুলে ভর্তি করিয়েছিল। পরে জেদের বশে আর কোন পরিক্ষাই দেইনি, ফলশ্রুতিতে এক বছর লস।
বছর লস দেওয়াকে যতটা গুরুতর অপরাধ হিসেবে দেখা হয়, আসলে কিন্তু অতটা না। আশা করি সেই একবছর লস কোন প্রভাব ফেলেনি আপনার ওপর।
রহস্য মানব লিখেছেন:কিছুই বলার নাই এক কথায় অসাধারন।
ধইন্যা ধইণ্যা

ভালোবাসার কোড লিখেছেন:চমৎকার বর্ণনা। জিনিয়াস। 
ফোরামের অন্যান্য জিনিয়াসদের (যেমন ব্রাসু ভাই, শামীম ভাই) এরকম অভিজ্ঞতামুলক পোস্ট চাই। 
সহমত!
টমাটিনো লিখেছেন:বছরের সেরা লেখা 
হুর্মিয়া!! কি যে কন আপনে!!
অংকিতা লিখেছেন:চমৎকার!!!
পড়তে পড়তে বাচ্চা এমসিসিতুহিন এর জন্য খুব মায়া লাগছিল, কেমন করে ভুল বুঝে বেচারা বন্দী হয়ে যাচ্ছিলো।
তবে পরে বন্দী জীবনটা খুব উপভোগ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
বাচ্চা থেকে আস্তে আস্তে বুড়া হয়ে যাচ্ছি, কিন্তু গল্প শেষ হচ্ছে না 
Gentlemen, you can't fight in here, this is the war room!